জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় যুগ্ম সদস্যসচিব আব্দুল্লাহ আল আমিন বলেছেন, ‘জুলাইতে যে একটি গণবিপ্লব হয়েছে, এটা যদি ঘোষণা না হয় বা আইনগত ও সাংবিধানিক ভিত্তি না পায়, তাহলে শহীদ, আহত প্রত্যেকেই নিরাপত্তাঝুঁকিতে পড়বে। আমরা চাই, সব রাজনৈতিক দলের ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই ঘোষণাপত্র তৈরি হোক।’
আজ বুধবার সকালে নারায়ণগঞ্জ শহরের চাষাঢ়ায় জুলাই প্রোক্লেমেশন ঘোষণার দাবিতে গণসংযোগকালে জুলাই আন্দোলনের ওই নেতা এ মন্তব্য করেন। এদিকে বেলা সাড়ে ১১টায় নারায়ণগঞ্জ শহরে লিফলেট বিতরণ কর্মসূচি পালন করে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও জাতীয় নাগরিক কমিটি।
কর্মসূচির বিষয়ে কেন্দ্রীয় এই নেতা বলেন, ‘গত ৩১ ডিসেম্বর ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের সমাবেশ থেকে ঘোষণাপত্রের দাবি জানিয়েছিলাম। রাষ্ট্র দায়িত্ব নিয়েছিল যে রাষ্ট্রীয়ভাবেই ঘোষণাপত্র দেওয়া হবে। কিন্তু এখন পর্যন্ত আমরা রাষ্ট্রের পক্ষ থেকে দৃশ্যমান কার্যকলাপ দেখিনি।
সরকার যে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে, সেই আলোকে যেন জুলাই ঘোষণাপত্র রচিত হয়, সে জন্য আমরা গণসংযোগ চালাচ্ছি। জাতীয় নাগরিক কমিটি ও বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন যুগপৎভাবে এই কর্মসূচি পালন করছে। এর মাধ্যমে সারা দেশে একটি জনমত ও গণজোয়ার তৈরি হয় জুলাই ঘোষণাপত্রের পক্ষে।’
আব্দুল্লাহ আল আমিন আরও বলেন, ‘আমাদের এই কর্মসূচি দেশব্যাপী চলছে। জনসংযোগের পাশাপাশি জনসভা করারও পরিকল্পনা রয়েছে। নারায়ণগঞ্জের সাতটি থানাতেই এই গণসংযোগ চলবে। আগামী ১৪ তারিখ পর্যন্ত প্রতিদিন বিভিন্ন টিম এ কাজ চালিয়ে যাবে। আমরা সর্বস্তরের মানুষের কাছে এই প্রোক্লেমেশনের বার্তা পৌঁছে দিতে চাই।’
এ সময় উপস্থিত ছিলেন জাতীয় নাগরিক কমিটির কেন্দ্রীয় সদস্য শওকত আলী, সাবিত আল হাসান, বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সংগঠক নীরব রায়হান, জাহিদ হাসান প্রমুখ।