হোম > সারা দেশ > ঢাকা

টাকার বিনিময়ে আসামি পালানোর নাটক সাজানোর অভিযোগ, তদন্ত কর্মকর্তাসহ বরখাস্ত ২

গোপালগঞ্জ প্রতিনিধি

আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২১: ৩২
মুকসুদপুর থানা। ছবি: সংগৃহীত

গোপালগঞ্জে মুকসুদপুর থানা হেফাজত থেকে হৃদয় শেখ নামে হত্যা মামলার এক আসামি পালিয়ে গেছেন। এ ঘটনায় আজ বৃহস্পতিবার থানা-পুলিশের তদন্ত কর্মকর্তাসহ দুজনকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে গতকাল বুধবার সকালে এই ঘটে।

পুলিশের দাবি, জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আসামি। অন্যদিকে মামলার বাদীর অভিযোগ, টাকার বিনিময়ে আসামি পালানোর নাটক সাজানো হয়েছে।

জানা যায়, গত মঙ্গলবার দুপুরে বাদীর সহযোগিতায় বাড়ি থেকে হৃদয় নামে হত্যা মামলার এক আসামিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। জিজ্ঞাসাবাদের জন্য আলাদা কক্ষ থাকলেও বুধবার সকাল ৮টার দিকে আসামিকে ছুটিতে থাকা ওসি তদন্তের রুমে নেওয়া হয়।

জিজ্ঞাসাবাদের একপর্যায়ে হাতকড়া খুলে কৌশলে পালিয়ে যান আসামি। বিষয়টি প্রথমে গোপন থাকলেও ওই দিন রাতে বিজ্ঞপ্তির মাধ্যমে জানায় থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা। ঘটনাটি জানাজানি হলে বেশ চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়।

হত্যার শিকার হওয়া আকাশের পরিবারের দাবি, টাকার বিনিময়ে আসামি হৃদয়কে পালাতে সহায়তা করেছে পুলিশ। ঘটনা ভিন্ন দিকে প্রবাহিত করতে গোপন রাখা হয়েছে সিসিটিভি ফুটেজ। তবে বিষয়টি নিয়ে কথা বলতে রাজি হননি থান-পুলিশের কোনো কর্মকর্তা।

বাদী শাহ আলম বলেন, ‘৭ জানুয়ারি বিকেলে পুলিশকে ফোন দিয়ে মামলার আসামির অবস্থান জানাই। পরে পুলিশ গিয়ে আসামি হৃদয়ের বাড়ি থেকে গ্রেপ্তার করে। পরের দিন সকালে থানা থেকে মামলার তদন্ত কর্মকর্তা ফোন করে জানান আসামি থানা থেকে পালিয়েছে এবং এ বিষয়ে কাউকে না জানাতে।’

তিনি বলেন, ‘ছেলে হত্যার এক বছর পার হলেও আমি বিচার পাচ্ছি না। আসামি ধরে দিয়েছি, কিন্তু তাকে ছেড়ে দিয়েছে পুলিশ। ঘটনায় ওসি টাকা খেয়েছে। যদি টাকা না খায়, তাহলে থানা থেকে কীভাবে আসামি পালায়। থানায় আমাদের কোনো দাম নাই। কারণ, আমরা গরিব। এ জন্য যারা বড়লোক তাদের দাম আছে। তারা টাকা দিয়ে এক রাতে ছাড়াই নিয়ে গেছে। আমরা এ ঘটনা ও আমার ছেলে হত্যার বিচার চাই।’

জানতে চাইলে মুকসুদপুর থানার ওসি মোস্তফা কামাল বলেন, ‘থানায় যে ঘটনা ঘটেছে, এটা একটা দুর্ঘটনা। দুর্ঘটনা ঘটতেই পারে। এটা সাধারণ কোনো ব্যাপার না, এটা অস্বাভাবিক একটা ঘটনা। এই অস্বাভাবিক ঘটনার কারণে সে সময়ে যে পুলিশ সদস্য ছিল, তাদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে এবং এ বিষয়ে তদন্ত হচ্ছে।’

পুলিশ সুপার মো. মিজানুর রহমান মোবাইল ফোনে জানান, আসামি পালিয়ে যাওয়ার ঘটনায় এক সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। দুই পুলিশ সদস্যকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ধরতে অভিযান চলমান রয়েছে।

উল্লেখ্য, ২০২৪ সালের ৫ ফেব্রুয়ারি ফরিদপুরের নগরকান্দা উপজেলার দামদরদী গ্রামের বাড়ি থেকে ভ্যান চালানোর উদ্দেশে বেরিয়ে নিখোঁজ হয় ভ্যানচালক আকাশ (১৬)। পরে ৭ মার্চ মুকসুদপুরের একটি ডোবা থেকে আকাশের বস্তাবন্দী লাশ উদ্ধার করে পুলিশ। এ ঘটনায় হৃদয় শেখসহ পাঁচজনকে আসামি করে থানায় একটি হত্যা মামলা করেন আকাশের বাবা শাহা আলম মাতুব্বর।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা পঞ্চগড়ে, ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি

লক্ষ্মীপুরে বিদেশি পিস্তলসহ নারী আটক

রাজশাহী ওয়াসা: মন নেই পানির মানে দাম বাড়াতে ঝোঁক

বনানীর ২০ বিঘা প্রকল্পের ফাইলের হঠাৎ নড়াচড়া