মুন্সীগঞ্জের গজারিয়ায় মেঘনা নদীতে নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের সঙ্গে রাতে দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষে নিহতের সংখ্যা বেড়ে তিনজন হয়েছে। এখনো উদ্ধার উদ্ধার অভিযান চলছে বলে জানিয়েছে নৌ-পুলিশ। গতকাল শুক্রবার রাতে ঘটনাস্থলেই দুজনের মৃত্যু হয় এবং আজ শনিবার সকালে একজনের মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত করেছে পুলিশ।
গত রাত সাড়ে ৯টায় মেঘনা নদীর কালিপুরা ঘাটের দিকে এ ঘটনা ঘটে। নিহতদের মধ্যে একজন হলেন গুয়াগাছিয়া ইউনিয়নের দক্ষিণ জামালপুর গ্রামের মাহামুদ আলী ব্যাপারীর ছেলে ওদুদ (৩৫)। অপর দুজনের মধ্যে একজনের নাম বাবুল নাম জানা গেলেও তাঁর ঠিকানা এবং সকালে নদী থেকে উদ্ধার হওয়া মরদেহের পরিচয়ও তাৎক্ষণিক জানাতে পারেনি পুলিশ।
নৌপুলিশ ও স্থানীয়রা জানায়, গতকলা শুক্রবার রাত আনুমানিক ৯টার দিকে একটি বিকট শব্দ হয়। পরে তারা জানতে পারেন নোঙ্গর করে রাখা বাল্কহেডের সঙ্গে স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়েছে। পরে এই ঘটনায় দুই ততোধিক হতাহতকে বিভিন্ন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়।
গজারিয়া উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগের চিকিৎসক সায়মা আক্তার আজকের পত্রিকাকে বলেন, হাসপাতালে তিনজনকে আনা হয়েছিল। তাঁদের মধ্যে দুজনকে মৃত অবস্থায় আনা হয়। বাকি একজন গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ঢাকায় পাঠানো হয়।
গজারিয়ার নৌপুলিশ ফাঁড়ির উপপরিদর্শক (এসআই) নাঈম হোসেন আজকের পত্রিকাকে বলেন, নদীতে নোঙর করে রাখা বাল্কহেডের সঙ্গে রাতের অন্ধকারে দ্রুতগতির স্পিডবোটের সংঘর্ষ হয়। এতে গতকাল রাতেই দুজন মারা যান। আজ (শনিবার) সকালে ঘটনাস্থলে থেকে আরও একজনের লাশ উদ্ধার করা হয়েছে। উদ্ধার কার্যক্রম চলমান রয়েছে।
এ বিষয়ে গজারিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আনোয়ার আলম আজাদ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সকালে একজনের লাশ উদ্ধারসহ মোট তিনজন নিহত হয়েছেন। ঘটনাটি নিছক সংঘর্ষ নাকি অন্য কিছু, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে।’