হোম > সারা দেশ > ঢাকা

থানা থেকে যুবদল নেতাকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় পুলিশের মামলা

সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি 

আপডেট: ১১ জানুয়ারি ২০২৫, ১৭: ২২
থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজাসংলগ্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী শিক্ষার্থীরা অবরোধ করেন। আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে তোলা। ছবি: আজকের পত্রিকা

মুন্সিগঞ্জের শ্রীনগরে যুবদল নেতাকে থানা হাজত থেকে ছিনিয়ে নেওয়ার ঘটনায় যুবদল, ছাত্রদল ও স্বেচ্ছাসেবক দলের ৩১ জনের নাম উল্লেখসহ ২০১ জনের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। আজ শনিবার (১১ জানুয়ারি) বেলা ১টা ৩০ মিনিটের দিকে শ্রীনগর থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আব্দুর রাজ্জাক বাদী হয়ে এ মামলা করেন।

থানা থেকে ছিনিয়ে নেওয়া আসামি তরিকুল ইসলাম শ্রীনগর উপজেলা যুবদলের যুগ্ম আহ্বায়ক। গতকাল শুক্রবার রাত ১০টার দিকে বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতা-কর্মীরা থানার অফিস কক্ষ থেকে তাঁকে জোরপূর্বক ছিনিয়ে নিয়ে যান।

থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী জানান, থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়া, পুলিশকে মারধর এবং থানায় ভাঙচুরের ঘটনায় মামলা করা হয়েছে। মামলায় যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক এবং ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ ৩১ জনের নাম উল্লেখ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের আরও ১৬০-১৭০ জনকে অজ্ঞাতনামা আসামি করা হয়েছে।

পুলিশ ও থানা সূত্রে জানা যায়, মারামারির ঘটনায় গত ১৯ নভেম্বর শ্রীনগর থানায় একটি মামলা হয়। ওই মামলার এজাহারভুক্ত আসামি ছিলেন তরিকুল ইসলাম। শুক্রবার সন্ধ্যায় পুলিশ তাঁকে গ্রেপ্তার করে থানা হাজতে রাখে। সে সময় তরিকুলকে ছাড়িয়ে নিতে প্রথমে থানায় আসেন উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান, উপজেলা যুবদলের আহ্বায়ক জয়নাল আবেদীন মৃধা, সদস্যসচিব মামুনুর রশিদ, উপজেলা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক এমদাদুল হক, ছাত্রদলের সভাপতি আশরাফুল ইসলামসহ বেশ কয়েকজন। তাঁরা তরিকুলকে ছেড়ে দেওয়ার জন্য পুলিশকে বিভিন্নভাবে চাপ দিতে থাকেন। পুলিশ তাতে রাজি না হলে হাফিজুল ইসলাম খান সন্ধ্যা ৭টার দিকে অন্য নেতা-কর্মীদের থানায় রেখে তিনি বেরিয়ে যান।

পুলিশ ও প্রত্যক্ষদর্শীরা বলছেন, এর কিছুক্ষণ পর বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের উপজেলার বিভিন্ন পর্যায়ের নেতা-কর্মীরা থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হতে থাকেন। প্রায় ২০০ নেতা-কর্মী থানা প্রাঙ্গণে জড়ো হন। সেখানে তাঁরা বিক্ষোভ করতে থাকেন। পুলিশের সঙ্গে তাঁরা বাগ্‌বিতণ্ডা শুরু করেন। একপর্যায়ে রাত ১০টার দিকে বিভিন্ন স্লোগান দিয়ে জোর করে ওসি ও সার্কেল এসপির সামনে থেকে আসামি তরিকুলকে ছিনিয়ে নিয়ে যান তাঁরা।

উপজেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক হাফিজুল ইসলাম খান থানায় উপস্থিত থাকার অভিযোগ অস্বীকার করে বলেন, তাঁর বিরুদ্ধে মিথ্যা দোষারোপ করা হচ্ছে।

এদিকে, থানা থেকে আসামি ছিনিয়ে নেওয়ার প্রতিবাদে আজ শনিবার দুপুর ১২টার দিকে দক্ষিণ কেরানীগঞ্জের ধলেশ্বরী টোল প্লাজাসংলগ্ন এলাকায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতা-কর্মীরা এক্সপ্রেসওয়ে অবরোধ করেন। তাঁরা আসামিদের দ্রুত গ্রেপ্তার এবং ঘটনায় জড়িতদের বিচারের দাবিতে স্লোগান দেন।

হাসাড়া হাইওয়ে থানার ওসি আব্দুল কাদের জিলানী জানান, এক্সপ্রেসওয়েতে প্রায় এক ঘণ্টা যান চলাচল বন্ধ ছিল। পুলিশের আশ্বাসে আন্দোলনকারীরা অবরোধ তুলে নিলে যান চলাচল স্বাভাবিক হয়।

অবরোধে অংশ নেওয়া শ্রীনগর সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী সিয়াম হাওলাদার বলেন, ‘আইন সবার জন্য সমান হওয়া উচিত। যারা আসামিকে ছিনিয়ে নিয়েছে এবং এর নেতৃত্ব দিয়েছে, তাদের আইনের আওতায় আনতে হবে।’

ওসি কাইয়ুম উদ্দিন চৌধুরী বলেন, ‘জড়িতদের গ্রেপ্তারে অভিযান চলছে। আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে রাখতে সব ধরনের পদক্ষেপ নেওয়া হচ্ছে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

রাজধানীর এলিফ্যান্ট রোডের ব্যবসায়ীদের ওপর হামলা, দোকান বন্ধ রেখে প্রতিবাদ

কবি নজরুল বিশ্ববিদ্যালয়ের হলে মাদক সেবনের দায়ে ৪ শিক্ষার্থীর আসন বাতিল

বিদেশি পিস্তল-গুলিসহ কুমিল্লায় যুবক গ্রেপ্তার

৫ মাস পর আন্দোলনে আহত আরেকজনের মৃত্যু