গাজীপুরের শ্রীপুর থেকে অপহৃত মো. আমিনুর রহমান (৪০) নামের এক চিকিৎসক ১ লাখ মুক্তিপণে ছাড়া পেয়েছেন। গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় অহরণের পর রাত ১১টা পর্যন্ত ১ লাখ টাকা মুক্তিপণ দেয় পরিবার। পরে আজ রোববার ভোরে রাজেন্দ্রপুরে সড়কের পাশে তাঁকে ছেড়ে দেয় অপহরণকারীরা।
অপহরণের শিকার চিকিৎসক মো. আমিনুর রহমান টাঙ্গাইলের কালিহাতী উপজেলার কচুটি গ্রামের ইসমাইল হোসেনের ছেলে। তিনি ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের নিউরোসার্জারি বিভাগের চিকিৎসক।
চিকিৎসকের চাচাতো ভাই সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন বলেন, আমিনুর রহমান শনিবার বেলা ২টার দিকে ঢাকা থেকে শ্রীপুরের মাওনা চৌরাস্তা এলাকার একটি ক্লিনিকে চিকিৎসা দিতে যান। ফেরার পথে সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে চিকিৎসকের মোবাইল থেকে স্ত্রীর মোবাইলে ফোন আসে। চিকিৎসক কাঁদতে কাঁদতে বলেন, তাঁকে অপহরণ করা হয়েছে। মুক্তিপণ হিসেবে ২ লাখ টাকা দাবি করছে অপহরণকারীরা।
মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন আরও বলেন, ফোনে কথা বলা অবস্থায় ওই চিকিৎসককে মারধর করা হয়। এরপর লাইন কেটে দেওয়া হয়। পরবর্তী সময়ে দফায় দফায় মারধর করে চিকিৎসকের মোবাইল থেকে ফোন দিয়ে টাকা পরিশোধের জন্য চাপ দেওয়া হয়। বাধ্য হয়ে তিন দফায় ১ লাখ টাকা পাঠানো হয়। রাত ১১টা পর্যন্ত বারবার ফোন দিয়ে বাকি টাকার জন্য চাপ দিচ্ছিলেন অপহরণকারীরা। বিষয়টি তাঁরা শ্রীপুর থানাসহ আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে অবগত করেন।
মোয়াজ্জেম হোসেন মিল্টন বলেন, আজ সকালে আমিনুর রহমানকে রাজেন্দ্রপুর এলাকায় সড়কের পাশে ছেড়ে দেয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. জয়নাল আবেদীন মণ্ডল আজকের পত্রিকাকে বলেন, পরিবারের অভিযোগ পেয়ে ওই চিকিৎসকের মোবাইল নম্বর ট্র্যাক করে অভিযান চালানো হয়। আজ সকালে তিনি বাসায় ফিরেছেন বলে জানতে পেরেছি।