জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. রেজাউল করিম বলেছেন, ‘বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্তমান কর্তৃপক্ষ দায়িত্ব নেওয়ার শুরু থেকেই দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের কাজ সেনাবাহিনীর হাতে হস্তান্তর করার জন্য দৃঢ়প্রতিজ্ঞ এবং তা অনেকবার প্রকাশ্যে ঘোষণাও দেওয়া হয়েছে। এর জন্য ইউজিসিকে আর্মড ফোর্সেস ডিভিশনে লিখিতভাবে অনুরোধ করতে হবে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ সে অনুযায়ী ইউজিসিকে চিঠি দিয়েছে, যা এখন সেখান থেকে মন্ত্রণালয়ে যাওয়ার অপেক্ষায়।’
আজ রোববার জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের প্রকল্প ও অস্থায়ী আবাসনের অগ্রগতি নিয়ে উপাচার্যের কনফারেন্স রুমে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে উপাচার্য এ কথা বলেন।
উপাচার্য রেজাউল করিম বলেন, ‘সেনাবাহিনীকে কাজ দেওয়ার ক্ষেত্রে ইউজিসিকে চিঠি দেওয়ার পর তা নিয়মিত মনিটরিং করছে জবি কর্তৃপক্ষ। জবি কর্তৃপক্ষ যেহেতু প্রকল্প সেনাবাহিনীকে হস্তান্তরের ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য লিখিতভাবে যথাযথ কর্তৃপক্ষকে জানিয়ে দিয়েছে এবং বিষয়টি অব্যাহতভাবে মনিটরিং করছে, তাই এ বিষয়ে আর কোনো সন্দেহের অবকাশ থাকার সুযোগ নেই।’
প্রকল্পের বর্তমান অবস্থা নিয়ে উপাচার্য বলেন, ‘জবির দ্বিতীয় ক্যাম্পাস প্রকল্পের সব কাজ দুর্নীতিতে নিমজ্জিত এবং অদক্ষতায় জর্জরিত। এতে অর্থছাড় বন্ধ থাকায় সব কাজ আপাতত থমকে আছে। অর্থছাড়ের এই নিষেধাজ্ঞা তুলে নিতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ ইতিমধ্যে গত বছরের ২৭ নভেম্বর চিঠি পাঠিয়েছে এবং সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখছে। আজকেও (রোববার) এ বিষয়ে মন্ত্রণালয়ের সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তার সঙ্গে কথা হয়েছে। আশা করা যাচ্ছে, খুব শিগগির অর্থছাড়ের নিষেধাজ্ঞা উঠে যাবে এবং পুরোদমে সব কাজ শুরু হবে।’
উল্লেখ্য, প্রকল্পের মেয়াদ বৃদ্ধিসংক্রান্ত মন্ত্রণালয়ের পত্রে উল্লিখিত শর্তসমূহের বিপরীতে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ কর্তৃক গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবগত করে মাননীয় সচিব, শিক্ষা মন্ত্রণালয় বরাবর গত ৬ জানুয়ারি চিঠি পাঠানো হয়েছে।
তিন দফা দাবিতে অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে উপাচার্য বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের দাবিগুলোর সঙ্গে আমরা একমত। সেই লক্ষ্যে কাজ চলমান রয়েছে। অনশনে বসা শিক্ষার্থীদের আমরা বোঝাব।’