ফরিদপুরের মধুখালী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) মো. আশিকুর রহমান চৌধুরীর ওপর হামলার ঘটনা ঘটেছে। আজ বৃহস্পতিবার মধুখালীর ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তপুর গ্রামের খাস জমি উদ্ধারকে কেন্দ্র করে তাঁর ওপর হামলা চালায় গ্রামবাসী। এ সময় ইউএনওর গাড়ি ভাঙচুর করা হয়। এতে ইউএনও ও তাঁর দেহরক্ষীসহ ৭ জন আহত হয়েছেন।
আহতদের মধ্যে ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী ও আইয়ুব নামে এক ব্যক্তিকে মধুখালী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে থেকে উন্নত চিকিৎসার জন্য ফরিদপুর বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে। বাকীদেরকে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়েছে। আহতরা হলেন, ইউএনও মো. আশিকুর রহমান চৌধুরী, তার গাড়ি চালক মো. সুমন শেখ, অফিস সহকারী রফিকুল ইসলাম, দেহরক্ষী জমিরউদ্দিন, ইমরান হোসেন, আহসান হাবিব ও আইয়ুব আলী। এ ব্যাপারে মামলা প্রক্রিয়াধীন।
আজ খাস জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য রাখা মালামাল লুট এর ঘটনা দুপুরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা পরিদর্শনে গেলে গ্রামবাসী তাঁর ওপর হামলা করে। এতে তিনি গুরুতর আহত হন।
হামলার বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা বলেন, ‘উপজেলার ডুমাইন ইউনিয়নের নিশ্চিন্তরপুর গ্রামে খাস জমিতে ঘর নির্মাণের জন্য লেবারশেড ও মালামাল নিলে স্থানীয়রা লুটকরে নিয়ে যায়। আমি সেখানে গেলে কিছু বুঝে ওঠার আগেই আমার ও আমার লোকজনের ওপর হামলা করে।’
এ ব্যাপারে ফরিদপুর জেলা প্রশাসক বলেন, ঘটনা যারাই ঘটাক না কেন তাদের আইনের আওতায় আনা হবে। যেখানে যেটুকু খাস জমি আছে উদ্ধার করে ভূমিহীনদের ঘর করে দেওয়া হবে।
এ বিষয়ে ডুমাইন ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান বলেন, ‘আমি বাইরে ছিলাম ইউএনও স্যারের মোবাইল পেয়ে ঘটনাস্থলে যেয়ে পরিস্থিতি শান্ত করতে চেষ্টা করি।’
মধুখালী থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম জানান, এলাকায় পুলিশ মোতায়েন আছে। অবস্থা শান্ত রয়েছে।