লক্ষ্মীপুরে পৃথক স্থানে সিএনজিচালিত অটোরিকশা-মোটরসাইকেলের মুখোমুখি সংঘর্ষে কলেজছাত্রসহ দুজন নিহত ও ৯ জন আহত হয়েছেন। শুক্রবার রাত ১০টার দিকে লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের বাসু বাজার ও লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পিয়ারাপুর এলাকায় পৃথক এই দুর্ঘটনা ঘটে।
নিহতেরা হলেন—সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার মুনছুর মিয়ার ছেলে ও লক্ষ্মীপুর সরকারি কলেজের দ্বিতীয় বর্ষের ছাত্র পিয়াস আহমেদ (১৮) এবং পৌরসভার বাঞ্ছানগর এলাকার বাসিন্দা ফরহাদ হোসেন (২৩)।
অন্যদিকে আহত সিফাত হোসেন, তানভীর হোসেন, সাব্বির হোসেন, নোমানুর রহমান নোমান ও জাহিদ হোসেনসহ ৯ জনকে উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। তাদের মধ্যে সিফাত হোসেন ও তানভীর হোসেনের অবস্থা আশঙ্কাজন। তাদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
পুলিশ, চিকিৎসক ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, সদর উপজেলার মির্জাপুর এলাকার নিজ বাড়ি থেকে কলেজছাত্র পিয়াস আহমেদ ও দুই বন্ধুসহ তিনজন মোটরসাইকেল নিয়ে পালেরহাটের দিকে আসছিলেন। মোটরসাইকেলটি লক্ষ্মীপুর-রামগঞ্জ সড়কের বাসু বাজারে পৌঁছালে বিপরীত দিক থেকে দ্রুতগতির সিএনজিচালিত অটোরিকশার মুখোমুখি সংঘর্ষ হয়। এ সময় অটোরিকশার তিন যাত্রীসহ ছয়জন গুরুতর আহত হন। আহতদের উদ্ধার করে সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর মারা যান পিয়াস আহমেদ। অন্য আহত পাঁচজনের মধ্যে তিনজনকে সদর ও দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।
অন্যদিকে এর কিছু সময় আগে লক্ষ্মীপুর-রামগতি সড়কের পেয়ারাপুর এলাকায় সিএনজিচালিত অটোরিকশা-মোটরসাইকেল সংঘর্ষে ফরহাদ হোসেন নামে একজনের মৃত্যু হয়। এ দুর্ঘটনা চারজন গুরুতর আহত হন। তাঁদের উদ্ধার করে একই হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার অরূপ পাল বলেন, পৃথক দুটি দুর্ঘটনায় দুজন নিহত হয়েছেন। গুরুতর আহত ৯ জনকে সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর মধ্যে সিফাত হোসেন ও তানভীর হোসেন নামে দুজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাঁদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। অন্য আহতদের চিকিৎসা চলছে।
এ বিষয়ে লক্ষ্মীপুর সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. আবদুল মোন্নাফ তথ্যের সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, ‘পৃথক দুটি সড়ক দুর্ঘটনায় দুজন মারা যান। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। তদন্তে শেষে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’