আজ শুক্রবার দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা উত্তরের জেলা পঞ্চগড়ে। আজ সকাল ৯টায় পঞ্চগড়ের তেঁতুলিয়া আবহাওয়া পর্যবেক্ষণ কেন্দ্রে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয়েছে ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস, যা আজ সারা দেশের মধ্যে সর্বনিম্ন তাপমাত্রা বলে নিশ্চিত করেছে আবহাওয়া অফিস। এর আগে সকাল ৬টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা রেকর্ড করা হয় ৭ দশমিক ৮ ডিগ্রি সেলসিয়াস।
তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিসের সিনিয়র আবহাওয়া পর্যবেক্ষক জিতেন্দ্র নাথ রায় বলেন, শুক্রবার সকাল ৯টায় সর্বনিম্ন তাপমাত্রা ৭ দশমিক ৩ ডিগ্রি সেলসিয়াস রেকর্ড করে তেঁতুলিয়া আবহাওয়া অফিস। এ সময় বাতাসের আর্দ্রতা ছিল শতকরা ৮৮ ভাগ। এটি আজকে দেশের সর্বনিম্ন তাপমাত্রা।
পৌষের শেষে আবারও শীতের দাপট বেড়েছে পঞ্চগড়ে। বয়ে যাচ্ছে মাঝারি শৈত্যপ্রবাহ। আজ শুক্রবার ভোরে ঘন কুয়াশা ভেদ করে সূর্যের দেখা মিললেও কনকনে শীতে বিপর্যস্ত অবস্থা মানুষের।
শীতজনিত নানা রোগে আক্রান্ত হয়ে মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, আধুনিক সদর হাসপাতালসহ বিভিন্ন স্বাস্থ্যকেন্দ্রে ভর্তি হচ্ছে অসংখ্য রোগী। বিশেষ করে শিশুরা ডায়রিয়া, নিউমোনিয়া, শ্বাসকষ্টসহ নানা রোগে আক্রান্ত হচ্ছে।
সরেজমিনে দেখা গেছে, অন্যান্য দিনের তুলনায় গত দুদিন ধরে শীতের তীব্রতা মাত্রাতিরিক্ত। গতকাল রাত থেকে পঞ্চগড়ের ওপর দিয়ে পাহাড়ি হিমেল হাওয়া ও ঘন কুয়াশার সঙ্গে মাঝারি শৈত্য প্রবাহ বইছে। শীতের দাপটে দুর্ভোগ বেড়েছে খেটে খাওয়া মানুষের। রিকশা-ভ্যানচালক ও কৃষিশ্রমিকেরা শীতে ঠিকমতো কাজ করতে যেতে না পারায় অভাব-অনটনের মধ্যে দিন কাটাচ্ছে।
জেলা প্রশাসক মো. সাবেত আলী আজকের পত্রিকাকে বলেন, পঞ্চগড়ের শীতার্ত মানুষের মধ্যে সরকারিভাবে শীতবস্ত্র হিসেবে ৩০ হাজার কম্বল বিতরণ করা হয়েছে। সরকারিভাবে পাওয়া কম্বল জেলার ৫ উপজেলার ৪৩টি ইউনিয়নের গরিব, অসহায় ও শীতার্ত মানুষের মধ্যে বিতরণ করা হয়েছে। এ ছাড়া বিভিন্ন বেসরকারি প্রতিষ্ঠান জেলা প্রশাসনের সঙ্গে সমন্বয় করে শীতার্ত মানুষের মধ্যে শীতবস্ত্র বিতরণ করছে।