প্রযুক্তি ও বিশ্বায়নের যুগে ইংরেজি ভাষার দক্ষতা এখন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ মাপকাঠি। এটি শুধু শিক্ষার ক্ষেত্রে নয়, কর্মসংস্থান, ব্যবসা এবং ব্যক্তিগত উন্নতির ক্ষেত্রেও অনস্বীকার্য। এই প্রেক্ষাপটে তরুণ উদ্যোক্তা সাইফুল ইসলাম ইংরেজি শিক্ষার জগতে এক নতুন দিক উন্মোচন করেছেন। তিনি ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠা করেন ‘ইংলিশ থেরাপি,’ যা আজকের দিনে দেশের ইংরেজি শিক্ষার ক্ষেত্রে একটি জনপ্রিয় নাম।
সাইফুল ইসলাম, যিনি ইউরোপিয়ান ইউনিভার্সিটি অব বাংলাদেশ থেকে সিভিল ইঞ্জিনিয়ারিং (ডিপ্লোমা) শেষ করে বর্তমানে ওয়ার্ল্ড ইউনিভার্সিটিতে ইংরেজি সাবজেক্টে অনার্স করছেন, তাঁর উদ্যোগে ইংরেজি শিক্ষার সাশ্রয়ী ও কার্যকর পদ্ধতি গ্রহণ করেছেন। ‘ইংলিশ থেরাপি’ প্ল্যাটফর্মটি আজ ৪৫ হাজারের বেশি শিক্ষার্থীকে প্রশিক্ষণ দিয়েছে এবং এর ফ্রি অনলাইন কনটেন্ট পৌঁছেছে ১০ মিলিয়নের বেশি মানুষের কাছে।
এখানে ইংরেজি শেখানোর পদ্ধতি সহজ, ব্যবহারিক এবং অন্তর্ভুক্তিমূলক; বিশেষ করে গ্রামীণ শিক্ষার্থীদের জন্য এটি এক নতুন দিকের সূচনা করেছে। মিরপুরে প্রতিষ্ঠিত তাঁদের ক্যাম্পাসে আবাসিক সুবিধাসহ শিক্ষার্থীদের জন্য কোর্স পরিচালিত হয়। সাইফুল ইসলামের লক্ষ্য শুধু ভাষা শেখানো নয়, বরং ইংরেজি ভাষাকে একটি আর্থসামাজিক ক্ষমতায়নের হাতিয়ার হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
সাইফুল ইসলামের একাধিক বইও বাজারে দারুণ সাড়া ফেলেছে। তাঁর লেখা ‘ইংলিশ থেরাপি,’ ‘ইংলিশ গ্রামার,’ এবং ‘ভোকাব থেরাপি’ বইগুলো রকমারি বেষ্টসেলার অ্যাওয়ার্ড অর্জন করেছে। সাইফুল তাঁর অবদানের জন্য বিভিন্ন পুরস্কারে ভূষিত হয়েছেন। সেগুলোর মধ্যে ২০২৩ সালে ‘জেসিআই টেন আউটস্ট্যান্ডিং ইয়াং পারসনস অব বাংলাদেশ (TOYP)’ পুরস্কার উল্লেখযোগ্য। এ ছাড়া ‘মজার ইশকুল’ থেকে সেরা নবাগত রাইজিং টিচার অ্যাওয়ার্ড এবং রকমারি ও বইফেরি বইমেলায় একাধিক সম্মাননা অর্জন করেছেন সাইফুল। সাইফুল ইসলাম বলেন, ‘শিক্ষার্থীদের মানসিকভাবে শক্তিশালী করার জন্য; তাদের মনোবল, আত্মবিশ্বাস এবং তাদের জীবনকে কীভাবে উন্নত করা যায়, সে সম্পর্কে তাদের নির্দেশনা দেওয়ার জন্য আনন্দের সঙ্গে ইংলিশ থেরাপিতে ইংরেজি শেখানো হয়। আমাদের কোর্স শিক্ষার্থীদের আত্মবিশ্বাস গড়ে তোলে এবং জীবনে উন্নতির পথ দেখায়। ভবিষ্যতে ইংলিশ থেরাপি থেকে একটি ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট ইনস্টিটিউট প্রতিষ্ঠা করতে চাই।’