ক্ষমতায় আসার পর মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন ইরানের সঙ্গে পরমাণু আলোচনা পুনরায় শুরু করেছেন। অস্ট্রিয়ার রাজধানী ভিয়েনায় ইতিমধ্যে কয়েক দফা আলোচনায় হয়ে গেছে। চলতি মাসের শেষের দিকে পরবর্তী আলোচনার কথা রয়েছে। অর্থাৎ আফগানিস্তানে ২০ বছরের যুদ্ধের অবসান ঘটিয়ে চীন ও মধ্যপ্রাচ্যের অন্য বিষয়গুলোর প্রতি মনোযোগ বাড়াচ্ছে ওয়াশিংটন।
হংকংভিত্তিক পত্রিকা সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের এক বিশ্লেষণে বলা হয়, ২০১১ সালের আরব বসন্তের পর মধ্যপ্রাচ্যে চীনের প্রভাব বেড়েছে। অঞ্চলটিতে চীনের স্বপ্নের প্রকল্প ‘বেল্ট অ্যান্ড রোডের’ বা বিআরআই এ পর্যন্ত বিনিয়োগ অন্তত ১২ হাজার ৩০০ কোটি ডলার। গত এক বছরে চীন-মধ্যপ্রাচ্যের বাণিজ্যের পরিমাণ প্রায় ২৫ হাজার কোটি ডলারে পৌঁছেছে। সেখানে চীনের টিকা কূটনীতি সফল হয়েছে। সবচেয়ে বড় কথা সৌদি ও আবুধাবিসহ অঞ্চলটিতে চীনের ৫জি প্রযুক্তির চাহিদা বাড়ছে, যা যুক্তরাষ্ট্রের নিরাপত্তার জন্য বড় উদ্বেগের কারণ। তা ছাড়া ইরানের নতুন প্রেসিডেন্ট অতীতের যে কোনো সময়ের চেয়ে চীনের ওপর বেশি নির্ভর করছেন।
অন্যদিকে ওয়াশিংটনের চিরন্তন মিত্র ইসরায়েলও স্বাধীনভাবে পররাষ্ট্রনীতি নির্ধারণ করছে। সিরিয়ার সঙ্গে নতুন করে সম্পর্ক স্থাপন করছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো। অর্থাৎ অঞ্চলটির কৌশলগত অবস্থা দ্রুত বদলে যাচ্ছে। বিদ্যমান পরিস্থিতিতে অঞ্চলটি নিয়ে চীন ও যুক্তরাষ্ট্রের কৌশলগত যে অবস্থান রয়েছে, তা চরম বৈরী। কিন্তু স্থিতিশীলতার জন্য অঞ্চলটি নিয়ে উভয় দেশের সহযোগিতাপূর্ণ নীতি থাকা দরকার বলে উল্লেখ করা হয়েছে সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টের বিশ্লেষণে।