হোম > বিশ্ব > ভারত

হাসিনা ভারতের জন্য অনেক করেছেন, তাঁকে আমৃত্যু থাকতে দেওয়া উচিত: কংগ্রেস নেতা

অনলাইন ডেস্ক

আপডেট: ১২ জানুয়ারি ২০২৫, ১২: ১১
মণি শংকর আইয়ার। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশের ক্ষমতাচ্যুত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভারতের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। তাই তাঁকে প্রয়োজনে আমৃত্যু ভারতে থাকতে দেওয়া উচিত। এমনটাই মন্তব্য করেছেন সাবেক কূটনীতিক, সাবেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী এবং কংগ্রেস নেতা মণি শংকর আইয়ার। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম ইকোনমিক টাইমসের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

গতকাল শনিবার রাতে মণি শংকর আইয়ার বলেছেন, বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে যত দিন ইচ্ছা ভারতে থাকার সুযোগ দেওয়া উচিত। তিনি বলেন, গত মাসে (ডিসেম্বর) ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ঢাকায় গিয়ে বাংলাদেশি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে আলোচনা করেছেন, যা খুবই ইতিবাচক।

কলকাতায় ১৬তম আপিজয় সাহিত্য উৎসবে পিটিআইকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে মণি শংকর আইয়ার বলেন, এই আলোচনা অব্যাহত রাখা দরকার এবং ভারতের উচিত বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সঙ্গে সরাসরি মন্ত্রী পর্যায়ে যোগাযোগ স্থাপন করা।

বাংলাদেশ সরকারের পক্ষ থেকে শেখ হাসিনাকে প্রত্যর্পণের দাবির বিষয়ে আইয়ার বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি, আমরা সবাই একমত হব যে—শেখ হাসিনা আমাদের জন্য অনেক ভালো কাজ করেছেন। আমি খুশি যে তাঁকে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। যত দিন তিনি থাকতে চান, এমনকি তা সারা জীবন হলেও, আমাদের তাঁকে অতিথি হিসেবে রাখা উচিত।’ ছাত্র-জনতার বিশাল আন্দোলনের মুখে দেশ ছেড়ে ৭৭ বছর বয়সী হাসিনা গত ৫ আগস্ট ভারতে চলে যান।

আইয়ার বলেন, বাংলাদেশে সংখ্যালঘু হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্যি, তবে বেশির ভাগ ক্ষেত্রেই তা শেখ হাসিনার সমর্থকদের ওপর রাজনৈতিক হামলা। তিনি বলেন, ‘হিন্দুদের ওপর হামলার ঘটনা সত্য হলেও, অনেক ক্ষেত্রে এগুলো রাজনৈতিক মতপার্থক্যের কারণে সৃষ্ট।’

এর আগে এক প্রশ্নোত্তর পর্বে আইয়ার বলেন, পাকিস্তানের মানুষ ভারতীয়দের মতোই, শুধু ভাগ্যের দোষে তারা আলাদা দেশে পরিণত হয়েছে। তিনি আরও বলেন, ‘আমি একজন তামিল, আমার স্ত্রী পাঞ্জাবি। আমাদের মধ্যে যে পার্থক্য, তার চেয়েও কম পার্থক্য আমার স্ত্রীর সঙ্গে একজন পাকিস্তানি পাঞ্জাবির।’

নরেন্দ্র মোদির সরকারকে আক্রমণ করে আইয়ার বলেন, ‘আমাদের সার্জিক্যাল স্ট্রাইকের সাহস আছে, কিন্তু এই সরকারের টেবিলে বসে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনার সাহস নেই।’ তিনি বলেন, ‘পাকিস্তান একদিকে সন্ত্রাস ছড়ায়, অন্যদিকে নিজেরাও সন্ত্রাসের শিকার। তারা ভেবেছিল তালেবানকে আফগানিস্তানের ক্ষমতায় আনতে পারবে। কিন্তু এখন তাদের সবচেয়ে বড় হুমকি আফগানিস্তানের সেই তালেবানই।’

সাবেক প্রধানমন্ত্রী মনমোহন সিংয়ের প্রশংসা করে তিনি বলেন, ‘তাঁর সবচেয়ে বড় সাফল্য ছিল কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে গোপন আলোচনার পথ তৈরি করা। জেনারেল পারভেজ মোশাররফ একে চার দফা চুক্তি হিসেবে উল্লেখ করেছিলেন। মনমোহন সিং দেখিয়েছিলেন সামরিক সরকারের সঙ্গেও আলোচনা সম্ভব। আমাদের উচিত তাঁর দেখানো পথ অনুসরণ করে কাশ্মীর ইস্যুতে পাকিস্তানের সঙ্গে আলোচনা চালিয়ে যাওয়া।’

মণিপুরে অনির্দিষ্টকালের জন্য কারফিউ জারি

১০০ বছর আগে নারীঘটিত যে খুন কাঁপিয়ে দিয়েছিল ব্রিটিশ ভারতের রাজনীতি

উত্তর কোরিয়ার দুই সেনাকে জীবিত ধরে ফেলেছে ইউক্রেন

টিউলিপের বিরুদ্ধে দুর্নীতির অভিযোগ তদন্তে স্কটল্যান্ড ইয়ার্ডকে চান সুজান হল