ভারতীয় পুলিশের হাতে আটক আনসারুল্লাহ বাংলা টিমের আট সন্দেহভাজন সদস্য ‘চিকেন নেক’ বা সিলিগুঁড়ি করিডরে হামলার পরিকল্পনা করেছিল বলে জানিয়েছেন পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের একজন শীর্ষ কর্মকর্তা। পশ্চিমবঙ্গের সঙ্গে উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্য বা সেভেন সিস্টার্সের সংযোগকারী একমাত্র অংশ এই সিলিগুড়ি করিডর।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ জানিয়েছে, এই অঞ্চলকে অস্থিতিশীল করতে তাঁরা পরিকল্পিত আক্রমণ চালানোর ষড়যন্ত্র করেছিল।
টেলিগ্রাফ ইন্ডিয়ার একটি প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, মুর্শিদাবাদে ধরা পড়া সন্দেহভাজন এই দুই ব্যক্তির কাছ থেকে একটি ১৬ জিবি পেনড্রাইভ, জিহাদি বই ও ভুয়া পরিচয়পত্র উদ্ধার করা হয়েছে।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশের এডিজি সুপ্রতিম সরকার বলেন, ‘আমরা মুর্শিদাবাদে একটি স্লিপার সেলের সন্ধান পেয়েছি। গত আগস্ট থেকে এরা এখানে কাজ করছে। আটক দুই সন্দেহভাজন ব্যক্তি আব্বাস আলী ও মিনারুল শেখ এই সেলের সদস্য। এরা দক্ষিণ ও উত্তরবঙ্গের পাশাপাশি উত্তর-পূর্বাঞ্চলের স্পর্শকাতর এলাকায় বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির পরিকল্পনা করেছিল।’
পুলিশ জানিয়েছে, মুর্শিদাবাদ ও আলিপুরদুয়ারে তাঁরা একটি গোপন ঘাঁটি স্থাপন করেছিল। তাঁদের লক্ষ্য ছিল পূর্ব ও উত্তর-পূর্বাঞ্চলে বিশিষ্ট হিন্দু নেতাদের হত্যা করা এবং ২০১৫ সালে বাংলাদেশের ব্লগার হত্যাকাণ্ডের মতো আক্রমণ চালানো।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ আরও জানায়, মুর্শিদাবাদ এখন নিষিদ্ধ বাংলাদেশি সংগঠনগুলোর জন্য একটি ট্রানজিট রুটে পরিণত হয়েছে। তদন্তে দেখা গেছে, সিলিগুরি করিডরে অস্থিতিশীলতা সৃষ্টির জন্য এরা পরিকল্পিতভাবে কাজ করছিল।
পশ্চিমবঙ্গ পুলিশ, কেরালা পুলিশ এবং আসাম পুলিশের যৌথ অভিযানে এই আটজনকে গ্রেপ্তার করা হয়। তাদের এই সন্ত্রাসী পরিকল্পনা সিলিগুরি করিডরসহ গোটা অঞ্চলের নিরাপত্তার জন্য বড় হুমকি হয়ে উঠতে পারত বলে মনে করছে ভারতীয় পুলিশ।