হোম > বিশ্ব > যুক্তরাষ্ট্র ও কানাডা

বিনা অপরাধে গুয়ানতানামো বে-তে বন্দী ২০ বছর, মুক্তি পেলেন ১১ ইয়েমেনি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৩৪
আপডেট: ০৭ জানুয়ারি ২০২৫, ১৮: ৩৪
কুখ্যাত এই কারাগারে এক সময় প্রায় ৮০০ জনের মতো বন্দি ছিল। ছবি: এএফপি

কিউবার গুয়ানতানামো বেতে অবস্থিত মার্কিন নৌবাহিনী ঘাঁটির কারাগারে বিনা অপরাধে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে বন্দী থাকা ১১ ইয়েমেনি মুক্তি পেয়েছেন। গতকাল সোমবার মার্কিন প্রতিরক্ষা বিভাগের সদরদপ্তর এ তথ্য জানায়।

পেন্টাগনের এক বিবৃতিতে বলা হয়, কারাগারটিতে বিনা অপরাধে যারা বন্দী রয়েছেন, তাদের মুক্তি দেওয়ার উদ্যোগ নিয়েছে বিদায়ী বাইডেন প্রশাসন। তার অংশ হিসেবে ১১ ইয়েমেনিকে মুক্তি দিয়ে ওমানে পাঠানো হয়েছে।

১১ জনের মুক্তির পর কারাগারটিতে এখন মাত্র ১৫ জন বন্দি আছেন। এর মধ্যে ৬ জন বিনা অপরাধে বন্দী, ২ জন দোষী সাব্যস্ত এবং ৭ জনের বিরুদ্ধে নাইন ইলেভেনসহ একাধিক বোমা হামলার অভিযোগ রয়েছে।

তবে, বন্দি স্থানান্তর প্রসঙ্গে কোনো মন্তব্য করেনি ওমান সরকার। অতীতে ২৮ জন বন্দিকে ওমানে পাঠানো হয়েছে, তাদের সম্পর্কেও তেমন তথ্য পাওয়া যায়নি।

ব্রিটিশ অ্যাক্টিভিস্ট গ্রুপ কেজ ইন্টারন্যাশনাল জানায়, তাদের মধ্যে একজন ইয়েমেনি ওমানে মারা যান। বাকিদের মধ্যে ২৬ জন ৭০ হাজার ডলার ক্ষতিপূরণ নিয়ে ইয়েমেনে ফিরে যান। আর ২৮তম বন্দির কী হয়েছিল, তা জানা যায়নি।

দীর্ঘদিন ধরে বিনা অপরাধে সাজা ভোগকারীদের মুক্তি দিয়ে গুয়ানতানামো বে কারাগারটি বন্ধের দাবি জানিয়ে আসছিলেন কিছু মানবাধিকার সংগঠন ও কয়েকজন আইনপ্রণেতা। এর প্রেক্ষিতে বন্দিদের মুক্তি দেওয়ার কার্যক্রম চলছে।

মার্কিন মানবাধিকার সংস্থা সেন্টার ফর কনস্টিটিউশনাল রাইটস জানায়, মুক্তদের মধ্যে একজন শাকাউই আল হাজ। তিনি এই কারাগারে বিনা বিচারে বন্দি ছিলেন ২১ বছর। একাধিকবার অনশন করেছেন তিনি; হাসপাতালেও যেতে হয় তাঁকে। সিআইএর হেফাজতে তাঁর ওপর টানা দুই বছর অত্যাচার চালানো হয়।

যুক্তরাষ্ট্রের কিউবা দ্বীপে অবস্থিত এই কারাগারে এক সময় প্রায় ৮০০ জন বন্দী ছিল। এদের অনেকেই যুদ্ধবিধ্বস্ত ইয়েমেন থেকে এসেছেন। ২০০২ সাল থেকে প্রায় ৩০ জন বন্দীকে ওমানে পাঠিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।

নাইন ইলেভেন নামে পরিচিত ২০০১ সালে যুক্তরাষ্ট্রের টুইন টাওয়ারে হামলার পর শত শত মানুষকে গ্রেপ্তার করা হয়। ‘সন্ত্রাসবিরোধী অভিযানে’র নামে নির্বিচারে মুসলিমদের গ্রেপ্তার করা হয়। তাঁদের রাখার জন্য ২০০২ সালে গুয়ানতানামো বেতে কারাগার প্রতিষ্ঠা করেন প্রেসিডেন্ট জর্জ ডব্লিউ. বুশ। এই কারাগারের বন্দীদের অত্যাচার, বিনাবিচারে দীর্ঘদিন আটকে রাখা এবং আইনজীবী বা ন্যায়বিচারের সুযোগ না দেওয়ার মতো হাজারো অভিযোগ রয়েছে।

শৈশবে ধর্ষণের অভিযোগ বোনের, অস্বীকার করলেন স্যাম অল্টম্যান

ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের হুমকির বিরুদ্ধে ফরাসি পররাষ্ট্রমন্ত্রীর কড়া হুঁশিয়ারি

গহিন বনে পথ হারিয়ে যেভাবে ১৩ দিন বেঁচে ছিলেন হাইকার

১৭ বছর আগে নিহতের উদয়, জেলের ঘানি টানলেন চারজন