হোম > বিশ্ব > পাকিস্তান

ওআইসির সহযোগিতায় বাংলাদেশিদের জন্য ফেলোশিপ চালু করল লাহোর ইউনিভার্সিটি

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১১: ৫৫
আপডেট: ০৬ জানুয়ারি ২০২৫, ১৬: ১৭
ওআইসির সহযোগিতায় বাংলাদেশিদের জন্য ফেলোশিপ চালু করেছে লাহোর ইউনিভার্সিটি। ছবি: সংগৃহীত

ইসলামিক সহযোগিতা সংস্থার (ওআইসি) বৈজ্ঞানিক ও প্রযুক্তিগত সহযোগিতা সম্পর্কিত মন্ত্রী পর্যায়ের স্থায়ী কমিটি (কমস্টেক) এবং পাকিস্তানের লাহোর ইউনিভার্সিটি যৌথভাবে বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের জন্য একটি নতুন ফেলোশিপ প্রোগ্রাম চালু করেছে। গতকাল রোববার পাকিস্তানের রাষ্ট্রীয় গণমাধ্যমে এ তথ্য জানানো হয়। সৌদি আরবের সংবাদমাধ্যম আরব নিউজের প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

অ্যাসোসিয়েটেড প্রেস পাকিস্তান (এপিপি) জানিয়েছে, এই প্রোগ্রামটি বিশ্বের যেকোনো দেশে বসবাসরত ২২ থেকে ৪৫ বছর বয়সী বাংলাদেশি নাগরিকদের জন্য উন্মুক্ত। তবে আবেদনকারীদের অবশ্যই একাডেমিক ক্ষেত্রে অসাধারণ সাফল্যের অধিকারী হতে হবে এবং তাঁদের নিজ নিজ সম্প্রদায়ের উন্নয়নে অবদান রাখার প্রতিশ্রুতি থাকতে হবে।

এই প্রোগ্রামের আওতায় প্রার্থীরা টিউশন ফি মওকুফ, আসা-যাওয়ার বিমান ভাড়া, সম্মানী ও বিনা মূল্যে থাকার ব্যবস্থা পাবেন।

কমস্টেকের সমন্বয়ক ড. মুহাম্মদ ইকবাল চৌধুরী বলেছেন, ‘এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম আমাদের শিক্ষা ও গবেষণার ক্ষেত্রে মুসলিম বিশ্বের মধ্যে সেতুবন্ধন তৈরির প্রতিশ্রুতির প্রতীক। বাংলাদেশি শিক্ষার্থী ও গবেষকদের ওপর বিনিয়োগের মাধ্যমে আমরা এমন এক প্রজন্ম তৈরি করতে চাই, যারা বর্তমান সময়ের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলা করতে সক্ষম হবে।’

প্রার্থীরা কমস্টেক এবং লাহোর বিশ্ববিদ্যালয়ের অফিশিয়াল ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আবেদন করতে পারবেন। এপিপি জানিয়েছে, আবেদনপত্র জমা দেওয়ার শেষ তারিখ ২০২৫ সালের ১ মার্চ।

এই উদ্যোগ এমন একসময়ে গ্রহণ করা হয়েছে, যখন বাংলাদেশ ও পাকিস্তান উভয়ই তাদের মধ্যকার সম্পর্ক উন্নয়নের দিকে মনোনিবেশ করছে। গত বছর আগস্টে সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর থেকে এই প্রচেষ্টা আরও জোরালো হয়েছে।

উল্লেখ্য, ১৯৪৭ সালে ব্রিটিশ শাসনের অবসানের পর বাংলাদেশ ও পাকিস্তান একত্রে স্বাধীন একটি দেশ হিসেবে আত্ম প্রকাশ করে। পরে ১৯৭১ সালে তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানের জুলুম-শাসনের বিরুদ্ধে মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে বাংলাদেশ স্বাধীনতা অর্জন করে। পরে শেখ হাসিনার নেতৃত্বাধীন সরকার যুদ্ধাপরাধের জন্য জামায়াতে ইসলামীর কয়েকজন নেতার বিচার করায় দুই দেশের সম্পর্কের অবনতি ঘটে।

তবে সাম্প্রতিক সময়ে ক্ষমতাচ্যুত হয়ে শেখ হাসিনার ভারতে চলে যাওয়া এবং বাংলাদেশের সঙ্গে দেশটির সম্পর্কের অবনতির প্রেক্ষাপটে ইসলামাবাদের সঙ্গে ঢাকার সম্পর্ক আগের তুলনায় উন্নত হয়েছে। শেখ হাসিনা ভারতে আশ্রয় নেওয়ার পর থেকে ঢাকা-ইসলামাবাদ সম্পর্ক নতুন মাত্রা পেতে শুরু করেছে।

এই ফেলোশিপ প্রোগ্রাম উভয় দেশের মধ্যে শিক্ষা ক্ষেত্রে সহযোগিতা এবং সম্পর্ক উন্নয়নের একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচন করবে বলে আশা করা হচ্ছে।

অর্কা মায়ের দ্বিতীয়বার মৃত শাবক বহনে বিজ্ঞানীদের উদ্বেগ

থাইল্যান্ডে ভুলে মারাত্মক মাদক গ্রহণে কন্যার মৃত্যু, অভিযোগ ব্রিটিশ পরিবারের

ফ্যাক্টচেকাররাও রাজনৈতিক পক্ষপাতদুষ্ট, বাদ দিল ফেসবুক

জেটব্লু এয়ারলাইনসের বিমানে এবার পাওয়া গেল দুটি মরদেহ