সিরিয়ার রাজধানী দামেস্কের কেন্দ্রে অবস্থিত উমাইয়া মসজিদে বক্তব্য দিয়েছেন বিদ্রোহের নেতৃত্ব দেওয়া ‘হায়াত তাহরির আল-শামের’ (এইচটিএস) নেতা আবু মোহাম্মদ আল জোলানি। আজ রোববার রাতে বিবিসি জানিয়েছে, জোলানি তাঁর বক্তব্যে সিরিয়ার জনগণের প্রতি একটি ‘বিজয়ের বার্তা’ দিয়েছেন।
জোলানি বলেন, ‘আসাদের শাসন হাজারো নিরীহ নাগরিককে অন্যায়ভাবে কারাবন্দী করেছে। আজ আমরা এই বিজয়ের পুরস্কার পেয়েছি। এটি সব সিরিয়ানে জন্য।’
আসাদ পরিবারের পাঁচ দশকের দমনমূলক শাসন অবসানের পর সিরিয়ার ভবিষ্যৎ এখন দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে। রাজধানী দখলে নিতে এইচটিএস বাহিনীর দ্রুত অগ্রগতি অন্যান্য বিদ্রোহী বাহিনী এবং স্থানীয় সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলোর মধ্যেও সক্রিয়তা সৃষ্টি করেছে।
আসাদ পরিবারের অর্ধশতাব্দীর দমনমূলক শাসনের এই আকস্মিক অবসানের পর সিরিয়ার নতুন ব্যবস্থাকে সংজ্ঞায়িত করতে জোলানি একটি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকায় থাকবেন। তবে আন্তর্জাতিকভাবে এইচটিএস একটি নিষিদ্ধ সংগঠন হওয়ায় এবং তাদের কট্টর ইসলামপন্থী আদর্শের কারণে, সিরিয়ার ভবিষ্যৎ শাসনব্যবস্থা কীভাবে গড়ে উঠবে তা নিয়ে উদ্বেগ রয়েছে। বিদ্রোহী জোটের মধ্যে মতবিরোধ এবং বিভিন্ন আঞ্চলিক গোষ্ঠীর ক্ষমতার লড়াই দেশটির নতুন শাসন কাঠামো গড়ে তোলার পথে বাধা হতে পারে।
এ অবস্থায় দ্রুত বদলাতে থাকা সিরিয়ার ভবিষ্যতে জোলানিকেই একমাত্র প্রধান খেলোয়াড় মানতে নারাজ বিশ্লেষকেরা।
কানাডার অটোয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মধ্যপ্রাচ্য বিশ্লেষক থমাস জুনো বলেছেন, ‘আসাদ বিরোধিতাই ছিল এই বিদ্রোহী জোটের মিলনের মূল শক্তি। তবে আসাদ পালিয়ে যাওয়ার পর এই গোষ্ঠীগুলোর মধ্যে ঐক্য ধরে রাখা একটি বড় চ্যালেঞ্জ হবে।’