হোম > বিশ্ব > ভারত

লাদাখে নতুন দুই প্রশাসনিক অঞ্চল ঘোষণা চীনের, ভারতের প্রতিবাদ

অনলাইন ডেস্ক

প্রকাশ : ০৩ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ২৭
ভারতের কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনিক অঞ্চল লাদাখ। ছবি: এনডিটিভি

ভারতের কেন্দ্রশাসিত প্রশাসনিক অঞ্চল লাদাখে প্রতিবেশী দেশ চীন দুটি নতুন প্রশাসনিক এলাকা ঘোষণা করেছে বলে অভিযোগ করেছে ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। গতকাল বৃহস্পতিবার ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানান।

এর আগে গত ২৭ ডিসেম্বর চীনের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যম সিনহুয়া জানায়, উত্তর–পশ্চিম চীনের জিনজিয়ানের উইঘুর স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনিক অঞ্চলে হোটান প্রিফেকচারের অধীনে হি’আন ও হেকাং নামে দুটি নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার অনুমোদন দিয়েছে চীনা কমিউনিস্ট পার্টির কেন্দ্রীয় কমিটি ও স্টেট কাউন্সিল।

ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা গেছে, নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল হিসেবে ঘোষণা করা চীনের অধিকৃত এলাকাগুলোর কিছু অংশ ভারতের লাদাখ প্রশাসনিক অঞ্চলের মধ্যে পড়ে। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র রণধীর জয়সওয়াল বলেন, ‘আমরা কখনো এই লাদাখে চীনের অবৈধ দখলদারি মেনে নিইনি। নতুন প্রশাসনিক অঞ্চল প্রতিষ্ঠার এই পদক্ষেপ ভারতের সার্বভৌমত্বে কোনো প্রভাব ফেলবে না। কিন্তু চীনের অবৈধ দখলকে আমরা কখনোই বৈধতা দেব না।’

তিনি আরও জানান, বিষয়টি নিয়ে চীনের কাছে কূটনৈতিক প্রতিনিধির মাধ্যমে আনুষ্ঠানিক প্রতিবাদ জানানো হয়েছে।

এদিকে ব্রহ্মপুত্র নদে চীনের জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নিয়েও ভারত উদ্বেগ জানিয়েছে। গত ২৫ ডিসেম্বর সিনহুয়া জানায়, চীন স্বায়ত্তশাসিত প্রশাসনিক অঞ্চল তিব্বতের ইয়ারলুং সাংবো নদীতে একটি জলবিদ্যুৎ প্রকল্প নির্মাণ করছে।

ভারত জানিয়েছে, ভাটি এলাকার লাখ লাখ মানুষের জীবনজীবিকায় এর নেতিবাচক প্রভাব পড়তে পারে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র জয়সওয়াল বলেন, ‘নতুন প্রতিবেদন পাওয়ার পর চীনের কাছে আমাদের উদ্বেগ ও অবস্থান পুনর্ব্যক্ত করা হয়েছে। চীনের প্রতি আহ্বান জানানো হয়েছে, উজানে তাদের কর্মকাণ্ডের কারণে যেন ব্রহ্মপুত্র নদের ভাটি অঞ্চলগুলো ক্ষতিগ্রস্ত না হয়। আমরা পরিস্থিতি নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করব এবং প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেব।’