হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ভারত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার: তালেবান

অনলাইন ডেস্ক

আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ২২: ১৮
দুবাইয়ে ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রি ও তালেবানের ভারপ্রাপ্ত পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভি আমির খান মুত্তাকি। ছবি: এএনআই

তালেবান ক্ষমতা নেওয়ার পর ভারতের সঙ্গে আফগানিস্তানের বিচ্ছিন্ন সম্পর্ক জোড়া লাগতে শুরু করেছে। ভারতের পররাষ্ট্রসচিব বিক্রম মিশ্রির সঙ্গে ভারপ্রাপ্ত বৈঠকের পর তালেবান পররাষ্ট্রমন্ত্রী মৌলভি আমির খান মুত্তাকি যে মন্তব্য করেছেন, তাতে বিষয়টি স্পষ্ট। তিনি বলেছেন, আফগানিস্তানের জন্য ‘গুরুত্বপূর্ণ’ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার ভারত। আল-জাজিরার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য তুলে ধরা হয়েছে।

২০২১ সালে কাবুলের পতনের পর গতকাল বুধবার দুবাইয়ে প্রথমবারের মতো দুই দেশের শীর্য পর্যায়ের প্রতিনিধিদের এই বৈঠক হয়। আফগান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, বৈঠকে দুই দেশের সম্পর্ক সম্প্রসারণ এবং ইরানের চাবাহার বন্দরের মাধ্যমে বাণিজ্য বাড়ানোর বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।

চাবাহার বন্দর উন্নয়নের কাজ করছে ভারত। বন্দরটি চালু হলে ভারত ও আফগানিস্তানের মধ্যে পণ্য পরিবহনে পাকিস্তানের বন্দর ব্যবহার করতে হবে না।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘আফগানিস্তানের ভারসাম্যপূর্ণ অর্থনৈতিক পররাষ্ট্রনীতির আওতায় ইসলামিক আমিরাত ভারতের সঙ্গে রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক সম্পর্ক জোরদার করতে চায়।’

ভারতের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, তারা আফগানিস্তানে উন্নয়ন প্রকল্প এবং বাণিজ্য সম্পর্ক বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে। এ ছাড়া উভয় পক্ষই নিয়মিত কূটনৈতিক যোগাযোগ বজায় রাখবে এবং বিভিন্ন স্তরে আলোচনার জন্য প্রস্তুত থাকবে।

আফগান শরণার্থীদের পুনর্বাসনের জন্য ‘উপকরণ সহায়তা’ দেওয়ারও প্রতিশ্রুতি দিয়েছে ভারত। পাকিস্তান ও ইরান থেকে ২০২৩ সালের শেষ দিকে প্রায় ১০ লাখ আফগান শরণার্থী আফগানিস্তানে ফিরে এসেছে। আফগান কর্মকর্তারা জানান, তারা ইতিমধ্যে এসব শরণার্থীর মধ্যে জমি বিতরণ শুরু করেছেন।

ভারত জানিয়েছে, তারা আফগান স্বাস্থ্য খাত উন্নয়নেও সহায়তা করবে। এছাড়া বিভিন্ন খেলার মাধ্যমে বিশেষত, ক্রিকেটে দুই দেশের সম্পর্ক জোরদারের বিষয়েও আলোচনা হয়েছে।

২০২২ সালের জুনে তালেবান শাসনের এক বছরের কম সময়ের মধ্যে ভারত কাবুলে নিজেদের দূতাবাস পুনরায় চালু করেছে। তবে ভারতসহ কোনো বিদেশি সরকার এখনো তালেবান প্রশাসনকে আনুষ্ঠানিক স্বীকৃতি দেয়নি।

অন্যদিকে, ২০২৩ সালের নভেম্বর মাসে দিল্লিতে অবস্থিত আফগান দূতাবাস বন্ধ হয়ে যায়। কারণ উৎখাত হওয়া সরকারের নিয়োগপ্রাপ্ত কূটনীতিকরা ভারতে ভিসার মেয়াদ বাড়াতে ব্যর্থ হন। তবে, একই মাসে তালেবান সরকার মুম্বাইয়ে ইকরামুদ্দিন কামিলকে ভারপ্রাপ্ত দূত হিসেবে নিয়োগ দেয়।

বুধবারের বৈঠকটি এমন সময়ে হল, যখন আফগানিস্তান ও প্রতিবেশী পাকিস্তানের মধ্যে উত্তেজনা বিরাজ করছে। গত সপ্তাহে আফগানিস্তানের পূর্বাঞ্চলীয় পাকটিকা প্রদেশে পাকিস্তানি বিমান হামলায় নারী ও শিশুসহ কমপক্ষে ৪৬ জন নিহত হয়েছেন বলে অভিযোগ করে তালেবান সরকার। তবে ইসলামাবাদ থেকে জানান হয়, তারা আফগানিস্তানের পাকটিকা প্রদেশে ‘সন্ত্রাসী গোষ্ঠী’র নির্মূলে অভিযান চালিয়েছে।

আফগানিস্তানের ভূখণ্ডে পাকিস্তানের এই হামলার নিন্দা জানিয়ে ভারত বলেছে, তারা এ ধরনের হামলার বিরুদ্ধে তাঁদের অবস্থান।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

লস অ্যাঞ্জেলেস যেন পারমাণবিক হামলার শিকার, ১০ হাজার বাড়ি-ঘর পুড়ে ছারখার

বাংলাদেশ ও পাকিস্তানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছে ভারতের আবহাওয়া বিভাগ

দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের সময় লুকিয়ে রাখা ইউরোপের রাজকীয় গুপ্তধন পাওয়া গেছে

সেনাপ্রধানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করল লেবানন