সম্প্রতি মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোর সঙ্গে চীনের আলোচনা উভয় পক্ষের মধ্যে অর্থনৈতিক সহযোগিতার ক্ষেত্রে অগ্রগতি আনলেও, অন্যান্য ক্ষেত্রে তা কম। যদিও এই অঞ্চলে বেইজিংয়ের বৃহত্তর ভূমিকা পালনের ইচ্ছা রয়েছে, কিন্তু সে ক্ষেত্রে তাদের সামনে বড় চ্যালেঞ্জ হয়ে দাঁড়িয়েছে যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, ওয়াশিংটনকে টপকে চীনের সঙ্গে সখ্য বাড়ানো ঝুঁকিপূর্ণ হতে পারে বলে মনে করে অনেক দেশ।
গালফ কো-অপারেশন কাউন্সিল (জিসিসি) এবং এর ছয় সদস্য রাষ্ট্রের মধ্যে সৌদি আরব, কুয়েত, ওমান এবং বাহরাইনের পররাষ্ট্রমন্ত্রীদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন চীনা পররাষ্ট্রমন্ত্রী ওয়াং ই। এ ছাড়া গত বৃহস্পতিবার জিসিসির আরেক সদস্য সংযুক্ত আরব আমিরাতের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর সঙ্গেও ফোনালাপ করেছেন ওয়াং। বৈঠকের মধ্য দিয়ে তারা কৌশলগত অংশীদারত্বের সম্পর্ক ত্বরান্বিত করতে এবং একটি মুক্ত-বাণিজ্য চুক্তি স্বাক্ষর করতে সম্মত হয়েছে।
চাইনিজ একাডেমি অব সোশ্যাল সায়েন্সেসের মধ্যপ্রাচ্যের গবেষক ইয়িন গ্যাং সংবাদমাধ্যম সাউথ চায়না মর্নিং পোস্টকে বলেছেন, ‘চীন এবং জিসিসি দেশগুলোর মধ্যে বৈঠকের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ ফলাফল ছিল অর্থনৈতিক।’
তবে সংযুক্ত আরব আমিরাতের জায়েদ বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক জোনাথন ফুলটনের মতে, চীনের জন্য মধ্যপ্রাচ্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র। কারণ, এই পুরো অঞ্চলজুড়েই ওয়াশিংটনের গভীর রাজনৈতিক ও নিরাপত্তা জোট এবং অংশীদারত্ব বিদ্যমান।তিনি বলেন, ‘মধ্যপ্রাচ্য ও উত্তর আফ্রিকার রাষ্ট্রগুলো চীনের সঙ্গে বিভিন্ন ফ্রন্টে যুক্ত হতে আগ্রহী। কিন্তু ওয়াশিংটনের সম্পর্ক নষ্ট করার ঝুঁকি নিয়ে নয়, যদি না চীন একই ধরনের প্রতিশ্রুতি দিতে সক্ষম হয়।’