ভারতের একটি আদালত বিশেষ আদালত মাদক মামলায় আটজন পাকিস্তানি নাগরিককে ২০ বছরের কারাদণ্ড দিয়েছেন। ভারতীয় সংবাদমাধ্যম এনডিটিভির প্রতিবেদন থেকে জানা যায়, আজ বুধবার ২০১৫ সালের এই মামলায় রায় ঘোষণা করা হয়েছে।
মাদকদ্রব্য ও সাইকোট্রোপিক পদার্থ (এনডিপিএস) আইনের বিশেষ বিচারক শশিকান্ত বাঙ্গার আসামিদের মাদক-বিরোধী আইনে অপরাধ প্রমাণিত হওয়ায় দোষী সাব্যস্ত করেন। মামলার রায়ে আসামিদের প্রত্যেককে সর্বোচ্চ ২০ বছরের কারাদণ্ড এবং ২ লাখ রুপি জরিমানা করা হয়।
জানা যায়, ২০১৫ সালে ভারতীয় কোস্ট গার্ড গুজরাট উপকূলের কাছে একটি নৌকা আটক করে। যাতে ২৩২ কেজি হেরোইন পাওয়া যায়। আটক এই মাদকের বাজারমূল্য ছিল ৬.৯৬ কোটি রুপি।
প্রসিকিউশন জানায়, ঘটনাস্থলে একটি নৌকায় ১১টি ড্রামের মধ্যে ২০টি প্লাস্টিকের থলিতে গমের আটার মতো বাদামি রঙের পাউডার পাওয়া যায়। পরবর্তীতে পরীক্ষার পর এই বস্তুটি হেরোইন বলে নিশ্চিত হয়।
এ সময় আটক পাকিস্তানি নাগরিকদের কাছ থেকে তিনটি স্যাটেলাইট ফোন, জিপিএস নেভিগেশন চার্ট এবং অন্যান্য ইলেকট্রনিক ডিভাইস উদ্ধার করা হয়। পরে তাদের মুম্বাইয়ের ইয়েলো গেট থানার হাতে তুলে দেওয়া হয়।
বিশেষ সরকারি কৌঁসুলি সুমেশ পুঞ্জওয়ানি আসামিদের সর্বোচ্চ শাস্তি দেওয়ার আবেদন জানিয়েছিলেন, যেন এটি অন্যান্য মাদক পাচারকারীদের জন্য একটি সতর্কবার্তা হয়। অন্যদিকে, আসামিপক্ষের আইনজীবী আসামিদের প্রতি নমনীয় হওয়ার অনুরোধ জানান। কিন্তু দুই পক্ষের বক্তব্য শোনার পর আদালত নমনীয় হওয়ার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেন।