ফিলিস্তিনের হেব্রন শহরের দক্ষিণাঞ্চলে একটি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে আগুন ধরিয়ে দিয়েছে ইসরায়েলি অবৈধ বসতি স্থাপনকারীরা। এতে তিনটি শ্রেণিকক্ষ পুড়ে গেছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের বার্তা সংস্থা ওয়াফা নিউজ।
ওই অঞ্চলের জানোটা গ্রামের স্থানীয় এক বাসিন্দা বলেন, একদল সেটলার জানোটা মিক্সড এলিমেন্টারি স্কুলে আগুন ধরিয়ে দেয়। এক মাসে এ নিয়ে দ্বিতীয়বার এই স্কুলে অগ্নিসংযোগ করা হয়েছে। এ ছাড়া বসতি স্থাপনকারীদের বিরুদ্ধে স্কুলের এক নারী কর্মীকে নির্যাতন ও শারীরিকভাবে আক্রমণ করার অভিযোগ রয়েছে।
ওয়াফার প্রতিবেদন অনুসারে, সম্প্রতি ইসরায়েলি দখলদার বাহিনীর মদদে গ্রামবাসী ও তাদের সম্পত্তির ওপর বসতি স্থাপনকারীদের হামলার পরিমাণ বেড়ে যাওয়ায় ৩৬টি পরিবার বাস্তুচ্যুত হয়েছে।
ফিলিস্তিনের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় স্কুলে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় নিন্দা জানিয়ে বলেছে, দেশজুড়ে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলোতে দখলদার বাহিনী ও বসতি স্থাপনকারীদের চালিয়ে যাওয়া অপরাধের মধ্যে এটি আরেকটি।
মন্ত্রণালয় থেকে আরও বলা হয়, বিশ্ব শিশু দিবস পালনের মাত্র এক দিন পরই আগুন দেওয়ার এ ঘটনা থেকে ইসরায়েলি বাহিনীর বৈষম্যমূলক মনোভাব এবং শিক্ষার্থী ও শিশুদের মধ্যে আতঙ্ক তৈরির উদ্দেশ্য প্রকাশ পায়।
শিশুদের অধিকার রক্ষায় নিযুক্ত আন্তর্জাতিক মানবাধিকার প্রতিষ্ঠান ও সংস্থাগুলোকে অবিলম্বে হস্তক্ষেপ করার জন্য ও এ সহিংসতাগুলো বন্ধ করতে আহ্বান জানিয়েছে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়।
১৯৬৭ সাল থেকেই পশ্চিম তীর দখল করে রেখেছে ইসরায়েল। মানবাধিকার সংস্থাগুলো বলছে, ফিলিস্তিনিদের বিরুদ্ধে ইসরায়েলের মানবাধিকার ও আন্তর্জাতিক আইন লঙ্ঘন করার ঘটনা খুবই সাধারণ হয়ে উঠেছে।
জাতিসংঘের মানবিকবিষয়ক সমন্বয় দপ্তর বলছে, গত ৭ অক্টোবর থেকে ইসরায়েলি বসতি স্থাপনকারীরা ফিলিস্তিনিদের ওপর হামলার ২৭১টি ঘটনা রেকর্ড করা হয়েছে। সে হিসাবে দৈনিক ছয়টি করে আক্রমণের ঘটনা ঘটেছে। এতে ফিলিস্তিনিরা হতাহতের শিকার হয়েছে। অনেকের সম্পদের ক্ষতি হয়েছে।