হোম > বিশ্ব > মধ্যপ্রাচ্য

ভিনদেশে আইনি পদক্ষেপের মুখোমুখি হচ্ছে সৈন্যরা, নতুন বিধিনিষেধ ইসরায়েলের

অনলাইন ডেস্ক

আপডেট: ০৯ জানুয়ারি ২০২৫, ১৪: ৩৯
ব্রাজিলে অবকাশ কাটাতে যাওয়া এক ইসরায়েলি সৈন্য তদন্তের মুখে পড়েছেন। ছবি: এএফপি

গাজায় যুদ্ধরত সৈন্যদের নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করেছে ইসরায়েলি সেনাবাহিনী। বিদেশে সফররত মজুত (রিজার্ভড) সৈন্যদের বিরুদ্ধে যুদ্ধাপরাধের অভিযোগে আইনি পদক্ষেপের ঝুঁকি বেড়ে যাওয়ায় এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ইসরায়েল। আজ বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে এ তথ্য জানিয়েছে রয়টার্স।

নতুন আরোপিত বিধিনিষেধ তুলে ধরে ইসরায়েলি সেনাবাহিনীর মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল নাদাভ শোশানি বলেন, যুদ্ধরত সৈনিকদের মধ্যে কর্নেল পদমর্যাদার নিচের সৈনিকদের পুরো নাম ও ছবি গণমাধ্যমে প্রকাশ করা যাবে না। বিশেষ বাহিনীর সদস্য ও পাইলটদের জন্য এরই মধ্যে এ নিয়ম রয়েছে।

নাদাভ শোশানি আরও বলেন, বিদ্যমান সামরিক বিধিতে বলা আছে, যুদ্ধক্ষেত্রে সৈন্যদের কোনো ভিডিও বা ছবি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে পোস্ট করা যাবে না। যদিও আমাদের সেনাবাহিনী বিশাল আকারের হওয়ায় এটি শতভাগ কার্যকর করা যায়নি। এ ছাড়া বিদেশে সফরকারী ইসরায়েলি সৈন্যদের জন্যও কিছু নীতি-নির্দেশনা দেওয়া আছে।

সম্প্রতি এক ইসরায়েলি সৈন্য অবকাশ কাটাতে ব্রাজিলে যান। সেখানে ফিলিস্তিনপন্থীরা তাঁর বিরুদ্ধে গাজায় যুদ্ধাপরাধের অভিযোগ আনেন। এর ভিত্তিতে ওই সৈন্যের বিরুদ্ধে তদন্তের আদেশ দেন ব্রাজিলের এক আদালত। মূলত এ ঘটনার পরই যুদ্ধক্ষেত্রে থাকা সৈন্যদের নিয়ে গণমাধ্যমে প্রচারের ওপর নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করে ইসরায়েল।

কর্নেল শোশানি বলেন, বেলজিয়ামভিত্তিক হিন্দ রাজাব ফাউন্ডেশনসহ বিভিন্ন অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপ ব্রাজিলে ওই সৈন্যের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছিল। তারা গাজায় যুদ্ধক্ষেত্র থেকে প্রকাশিত ছবির সঙ্গে বিদেশে ছুটিতে থাকা সৈন্যের ছবির মধ্যে যোগসূত্র খুঁজে পেয়েছিল।

এই সেনা কর্মকর্তা আরও বলেন, ব্রাজিলের এ ঘটনা ছাড়াও বিদেশে ছুটিতে থাকা রিজার্ভ সৈন্যদের সঙ্গে বেশ কয়েক জায়গায় এমন ঘটনা ঘটেছে। ওই সৈন্যদের বিরুদ্ধে সেসব এলাকার কর্তৃপক্ষের কাছে অ্যাকটিভিস্ট গ্রুপগুলো তদন্তের আহ্বান জানাচ্ছে। আমাদের সেনাদের সুরক্ষিত এবং বিশ্বজুড়ে ইসরায়েলবিরোধীদের হাত থেকে নিরাপদ রাখতে এই নির্দেশিকা দেওয়া হয়েছে।

প্রায় ১৫ মাস ধরে গাজা উপত্যকায় ইসরায়েলি আগ্রাসন চলছে। গাজায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর করতে হামাস, ইসরায়েলসহ বিভিন্ন পক্ষের মধ্যে আলোচনা চলছে দীর্ঘদিন ধরে। তবে কোনো সমাধান পাওয়া যায়নি। এর মধ্যে গাজায় নিহত হয়েছেন প্রায় ৪৬ হাজার ফিলিস্তিনি। আহত হয়েছেন ১ লাখ ৯ হাজারের বেশি। অন্তত ১১ হাজার মানুষ এখনো নিখোঁজ রয়েছে। গাজায় যুদ্ধাপরাধ ও মানবতাবিরোধী অপরাধমূলক কর্মকাণ্ড পরিচালনার অভিযোগে গত নভেম্বরে ইসরায়েলের প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহু এবং সাবেক প্রতিরক্ষামন্ত্রী ইয়োভ গ্যালান্তের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত (আইসিসি)। এ ছাড়া আন্তর্জাতিক বিচার আদালতে ইসরায়েলের বিরুদ্ধে একটি গণহত্যার মামলা চলছে।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, সংবাদমাধ্যম বা যেকোনো মাধ্যমে প্রচারিত কোনো ছবি, ভিডিও বা তথ্য বিভ্রান্তিকর মনে হলে তার স্ক্রিনশট বা লিংক কিংবা সে সম্পর্কিত বিস্তারিত তথ্য আমাদের ই-মেইল করুন। আমাদের ই-মেইল ঠিকানা factcheck@ajkerpatrika.com

সেনাপ্রধানকে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত করল লেবানন

ভারত গুরুত্বপূর্ণ আঞ্চলিক ও অর্থনৈতিক অংশীদার: তালেবান

নেতানিয়াহুকে ‘কুচকুচে কালো কুকুরছানা’ বলে গালি দেওয়ার ভিডিও শেয়ার ট্রাম্পের