আগুন লেগে ক্ষতিগ্রস্ত সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনের চারটি ফ্লোর অফিস করার উপযোগী করে তোলা হচ্ছে। ফ্লোরগুলোতে ঠিক কবে থেকে দাপ্তরিক কার্যক্রম শুরু করা হবে, সে সিদ্ধান্ত দেবে সরকারের উচ্চপর্যায়ের তদন্ত কমিটি।
আগুনে ক্ষতিগ্রস্ত ৭ নম্বর ভবনের নিচতলা থেকে পঞ্চম তলা পর্যন্ত গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় বিদ্যুৎ-সংযোগ দেওয়া হয়। সন্ধ্যার পর দ্বিতীয় থেকে পঞ্চম তলার সব কক্ষে আলো জ্বলে ওঠে। পরিবেশ নির্মল করতে কক্ষের দরজা-জানালা খুলে দিয়ে ফ্যান ছেড়ে দেওয়া হয়।
গত ২৫ ডিসেম্বরের অগ্নিকাণ্ডের পর থেকে ৭ নম্বর ভবনের নিরাপত্তার দায়িত্ব আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর হাতে রাখা হয়েছে। আগুন লাগার পর থেকে কাউকে এই ভবনে ঢুকতে দেওয়া হয়নি। ভবনটিতে যেসব মন্ত্রণালয় ও বিভাগের অফিস রয়েছে, তারা বিকল্প উপায়ে অন্য জায়গায় কাজ করছে।
গতকাল সন্ধ্যার পর দেখা যায়, নিরাপত্তার দায়িত্বে থাকা পুলিশের রেজিস্টার খাতায় নাম-পরিচয় লিখে গণপূর্ত বিভাগের কর্মীরা ভবনটির সংস্কারাধীন ফ্লোরগুলোতে প্রবেশ করছেন। তাঁদের মধ্যে একজন কর্মী বলেন, ‘আমরা ভেতরের বিদ্যুতের লাইনগুলো পরীক্ষা করছি। শুক্রবার (আজ) নতুন করে পানির লাইন বসানো হবে। এরপর সব কক্ষ পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হবে।’
৭ নম্বর ভবনের নিচতলায় বিদ্যুতের সাবস্টেশন, কর্মচারীদের অফিস এবং দুটি মন্ত্রণালয়ের কয়েকটি অফিসকক্ষ আছে। আগুনের রেশ নিচতলা পর্যন্ত না পৌঁছানোয় সেখানে কোনো সংস্কারকাজ করতে হচ্ছে না।
গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের প্রশাসন অনুবিভাগ-১-এর অতিরিক্ত সচিব মো. আব্দুর রহমান তরফদার গতকাল রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, যেসব তলায় আগুন লাগেনি, সেগুলো ব্যবহার উপযোগী করা হচ্ছে। তবে কবে থেকে সেখানে অফিস শুরু হবে স্বরাষ্ট্রসচিবের নেতৃত্বাধীন কমিটি সেই সিদ্ধান্ত দেবে।
২৫ ডিসেম্বর মধ্যরাতের পর সচিবালয়ের ৭ নম্বর ভবনে আগুন লাগে। ফায়ার সার্ভিসের কর্মীদের চেষ্টায় সকাল ৮টার দিকে আগুন নিয়ন্ত্রণে আসে। আগুনে ভবনটির ষষ্ঠ থেকে নবম তলা পর্যন্ত পুড়ে ছাই হয়ে যায়। এ ছাড়া নিচের কয়েকটি তলা ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা তদন্তে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের সিনিয়র সচিব নাসিমুল গনিকে প্রধান করে উচ্চপর্যায়ের একটি কমিটি করে সরকার। এই কমিটি তাদের অন্তর্বর্তী প্রতিবেদনে জানিয়েছে, বিদ্যুতের শর্টসার্কিট থেকে আগুনের সূত্রপাত হয়েছিল।