বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের পর অন্তর্বর্তীকালীন সরকার জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের ঘোষণাপত্র দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। ঢাকার কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে ছাত্র আন্দোলনের পক্ষ থেকে ঘোষণাপত্র দেওয়ার আগের দিন আজ মঙ্গলবার সন্ধ্যায় এক জরুরি ব্রিফিংয়ে প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম এ সিদ্ধান্ত জানান।
রাষ্ট্রীয় অতিথি ভবন যমুনার সামনে শফিকুল আলম সাংবাদিকদের বলেন, ‘অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের পক্ষ থেকে জাতীয় ঐকমত্যের ভিত্তিতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের একটি ঘোষণাপত্র তৈরির উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়েছে। জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের মধ্য দিয়ে গড়ে ওঠা জনগণের ঐক্য, ফ্যাসিবাদবিরোধী চেতনা ও রাষ্ট্র সংস্কারের আকাঙ্ক্ষাকে সুসংহত রাখার জন্য এ ঘোষণাপত্রটি গৃহীত হবে।’
প্রেস সচিব বলেন, গণ-অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেওয়া বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনসহ অংশগ্রহণকারী সব শিক্ষার্থী, রাজনৈতিক দল ও পক্ষের মতামতের ভিত্তিতে ঘোষণাপত্রটি প্রস্তুত করা হবে। এতে জুলাই গণ-অভ্যুত্থানের পরিপ্রেক্ষিত, ঐক্যের ভিত্তি ও জনগণের অভিপ্রায় ব্যক্ত হবে।
সবার অংশগ্রহণের মাধ্যমে কিছুদিনের মধ্যেই সর্বসম্মতিক্রমে এ ঘোষণাপত্র প্রস্তুত করা হবে এবং জাতির সামনে উপস্থাপন করা হবে বলে প্রেস সচিব আশা প্রকাশ করেন।
এর আগে গতকাল রোববার এক সম্মেলনে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ বলেন, গত ৫ আগস্ট জুলাই বিপ্লবের ঘোষণাপত্র না হওয়ার কারণে বিদেশে বসে ষড়যন্ত্র করেই যাচ্ছে ফ্যাসিস্টরা। এটি গণ-অভ্যুত্থানের বৈধতাকে প্রশ্নবিদ্ধ করছে। গণ-অভ্যুত্থানকে ঘিরে মানুষের যে আকাঙ্ক্ষা সৃষ্টি হয়েছে এবং ’৭২-এর সংবিধান মানুষ যে প্রত্যাখ্যান করেছে, তার একটি দালিলিক প্রমাণ হিসেবে ৩১ ডিসেম্বর জাতির সামনে মুজিববাদী ’৭২-এর সংবিধানের কবর রচিত হবে।
এদিকে একই দিন সন্ধ্যায় প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল আলম বলেন, সমন্বয়কদের জুলাই ঘোষণাপত্রের সঙ্গে সরকারের সম্পর্ক নেই।