উপসচিব পদে মেধার ভিত্তিতে শতভাগ পদোন্নতি, কৃত্য পেশাভিত্তিক মন্ত্রণালয় প্রতিষ্ঠা এবং শিক্ষা ও স্বাস্থ্য ক্যাডারকে সিভিল সার্ভিস থেকে আলাদা করতে জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের সুপারিশের প্রতিবাদে আগামী ৩ জানুয়ারি ঢাকায় খামারবাড়িতে কৃষিবিদ ইনস্টিটিউশন মিলনায়তনে সমাবেশ করবেন ২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা।
আগামী ৪ জানুয়ারি এই সমাবেশ হওয়ার কথা থাকলেও ওই দিন নিষিদ্ধ ঘোষিত সংগঠন ছাত্রলীগের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকায় সমাবেশ এক দিন এগিয়ে আনা হয়েছে।
আন্তক্যাডার বৈষম্য নিরসন পরিষদের সমন্বয়ক মুহম্মদ মফিজুর রহমান আজ রোববার রাতে আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘৪ জানুয়ারি নিষিদ্ধ ঘোষিত একটি সংগঠনের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী থাকায় আমাদের সমাবেশ একদিন এগিয়ে আনা হয়েছে।’
তিনি বলেন, ছাত্রলীগের লোকজন আমাদের সমাবেশের সুযোগ নিয়ে যাতে অপ্রীতিকর কোনো পরিস্থিতির সৃষ্টি করতে না পারে সে জন্য তাদের প্রতিষ্ঠাবার্ষিকীর দিনে আমরা সমাবেশ করব না। ২৫ ক্যাডারের যেসব কর্মকর্তা সমাবেশ অংশ নেবেন তাদের সবাইকে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন না করে কেউ সমাবেশে অংশ নিতে পারবেন না।
২৫ ক্যাডারের কর্মকর্তারা একই দাবিতে গত ২৪ ডিসেম্বর কলমবিরতি এবং ২৬ ডিসেম্বর মানববন্ধন করেছেন। উপসচিব পুলের কোটা নিয়ে প্রশাসন ক্যাডারের কর্মকর্তারাও গত ২২ ডিসেম্বর সচিবালয়ে নজিরবিহীন অবস্থান কর্মসূচি এবং ২৫ ডিসেম্বর বিয়াম মিলনায়তনে প্রতিবাদ সমাবেশ করেন।
গত ১৭ ডিসেম্বর সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়ের সময় জনপ্রশাসন সংস্কার কমিশনের প্রধান আব্দুল মুয়ীদ চৌধুরী জানান, উপসচিব পদে পদোন্নতিতে প্রশাসন ক্যাডারের ৫০ শতাংশ এবং অন্য সব ক্যাডার থেকে ৫০ শতাংশ কোটা রাখার সুপারিশ করবেন তারা। এ ছাড়া শিক্ষা এবং স্বাস্থ্য ক্যাডারকে ক্যাডার সার্ভিস থেকে আলাদা করে কমিশনের অধীনে নেওয়ার পরিকল্পনার কথাও জানান সংস্কার কমিশনের সদস্যরা।