অন্তর্বর্তী সরকারের যে সংস্কার পরিকল্পনা রয়েছে, তা এগিয়ে নিতে সবাইকে পাশে থাকার আহ্বান জানিয়েছেন অন্তর্বর্তীকালীন সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা আদিলুর রহমান খান। তিনি বলেন, ‘দীর্ঘদিন ধরে যেসব কাজ পড়ে আছে, সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য ড. মুহাম্মদ ইউনূসের পরিকল্পনায় আমরা কাজগুলো করার চেষ্টা করছি।’
আজ শুক্রবার রাজধানীর উত্তরায় বৌদ্ধ মহাবিহার চত্বরে বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চল আয়োজিত বাংলাদেশ বৌদ্ধ সর্বজনীন মহাশ্মশানের ভিত্তি স্থাপন অনুষ্ঠানে তিনি এ আহ্বান জানান।
বৌদ্ধ সমিতি ঢাকা অঞ্চলের সভাপতি দীপাল চন্দ্র বড়ুয়ার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন, শ্রীলঙ্কার হাইকমিশনার ধর্মপালা ওইয়ারাকোদ্দি, নরওয়ের রাষ্ট্রদূত হাকন অ্যারাল্ড গুলব্রানসেন ও রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার।
আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘দেশের কোনো মানুষ, কোনো নাগরিক যেন আর মনে না করেন যে তিনি বঞ্চিত। বাংলাদেশের কোনো নাগরিক যেন মনে না করেন- তিনি মেইন স্ট্রিমের বাইরে আছেন। সেটি বাস্তবায়নের চেষ্টা করছি।’
ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানকে সফল করতে সব ধর্ম ও বর্ণের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে গৃহায়ণ ও গণপূর্ত এবং শিল্প বলেন, ‘ছাত্র–জনতার অভ্যুত্থানে ধর্ম, বর্ণ–নির্বিশেষে স্বৈরাচারমুক্ত বাংলাদেশ গঠনে অকাতরে জীবন উৎসর্গ করেছেন। তাই দেশ গঠনেও সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে।’
আদিলুর রহমান খান বলেন, ‘তরুণেরা যে স্বপ্ন দেখেছেন, সেটা বাস্তবায়নের দায়িত্ব আমরা পেয়েছি। সেই দায়িত্ব পালনের চেষ্টা করছি। এ ক্ষেত্রে আপনারা আমাদের পাশে থাকবেন। আমরা চেষ্টা করছি যেসব কাজ বাকি আছে, সেগুলো এগিয়ে নিয়ে যেতে চেষ্টা করেছি।’
অনুষ্ঠানে ধর্ম উপদেষ্টা ড. আ ফ ম খালিদ হোসেন বলেন, ‘আমাদের জনপদ বৌদ্ধদের শাসন বহুদিনের। সেই ধারাবাহিকতায় সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য সমুন্নত রেখে দেশকে এগিয়ে নিতে হবে।’ এ সময় তিনি বৌদ্ধ মহাশ্মশানের সীমানা প্রাচীর ও চুল্লি স্থাপনে প্রয়োজনীয় উদ্যোগ গ্রহণের আশ্বাস দেন।
অনুষ্ঠানে রাজউক চেয়ারম্যান মেজর জেনারেল (অব.) মো. ছিদ্দিকুর রহমান সরকার বলেন, ‘অন্তর্বর্তী সরকার বৌদ্ধদের মহাশ্মশানের জন্য জায়গা বরাদ্দ দিয়েছে। এক সপ্তাহের মধ্যেই মহাশ্মশানের জায়গার দখল বুঝিয়ে দেওয়া হবে। গৃহায়ণ ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অনেক আগেই নির্দেশ দিয়েছিলেন।’
অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ বৌদ্ধ মহাবিহারের অধ্যক্ষ মুদিতা পাল থেরো, বাংলাদেশ বৌদ্ধ সমিতির ঢাকা অঞ্চলের সাধারণ সম্পাদক স্বপন বড়ুয়া চৌধুরী, দীপ্তিময় বড়ুয়া সেলু, দেবাশীষ বড়ুয়াসহ বৌদ্ধধর্মের নেতৃবৃন্দ।