ঢাকা: খাদ্য পর্যটন বিকাশে ঐতিহ্যবাহী রান্না গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখতে পারে বলে মনে করেন পর্যটন বিশেষজ্ঞরা। তাঁরা বলছেন, খাদ্য পর্যটন বিকাশে ঐতিহ্যবাহী রান্না ভালো অবদান রাখছে। তবে খাদ্য পর্যটনে প্রশংসনীয় অবদান রাখলেও স্বীকৃতি পাচ্ছে না রন্ধনশিল্পীরা। 'ঐতিহ্যবাহী রান্না: সেরা ১০০ রেসিপি’ বইয়ের প্রকাশনা উৎসব ও বিটিআরআই কালিনারি এক্সিলেন্স অ্যাওয়ার্ড-২০২১’ অনুষ্ঠানে আলোচকেরা এ কথা বলেন।
রন্ধনশিল্পীদের এই আয়োজন শুক্রবার বিকালে শেরে বাংলা নগরে-এ অবস্থিত ‘পর্যটন ভবন’ ব্যাঙ্কোয়েট হলে অনুষ্ঠিত হয়।
বাংলাদেশ টুরিজম এক্সপ্লোরারস অ্যাসোসিয়েশন (বিটিইএ)-এর চেয়ারম্যান শহিদুল ইসলাম সাগর বলেন, দেশের অনেক রন্ধনশিল্পী জানেন না তাঁরা খাদ্য পর্যটনের অংশ। পর্যটনে নারী উদ্যোক্তাদের সরকারের পৃষ্ঠপোষকতা দরকার বলে মনে করেন তিনি।
অনেকে খাদ্য পর্যটনে প্রশংসনীয় অবদান রেখেও স্বীকৃতি পাচ্ছে না বলে মনে করেন বাংলাদেশ টুরিজম রিসার্চ ইনস্টিটিউট-এর ফাউন্ডার প্রেসিডেন্ট কাজী রহিম শাহরিয়ার। তিনি বলেন, খাদ্য পর্যটনে প্রশংসনীয় অবদান রাখলেও রন্ধনশিল্পীরা স্বীকৃতি পাচ্ছে না। আজকের এই আয়োজন খাদ্য পর্যটন বিকাশে অবদান রাখবে।
ইন্টারন্যাশনাল কালিনারি ইনস্টিটিউট (আইসিআই)-এর করপোরেট এক্সিকিউটিভ শেফ ড্যানিয়েল সি গোমেজ বলেন, সারা বিশ্বের সঙ্গে বাংলাদেশও খাদ্য পর্যটনের এগিয়ে যাবে। রন্ধনশিল্পীরা হতাশ না হয়ে কাজ করে যান, ভালো কাজ করলে অবশ্যই মূল্যায়ন পাবেন।
আয়োজনে আরও বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ কুকিং অ্যাসোসিয়েশন-এর জেনারেল সেক্রেটারি ও জনপ্রিয় রন্ধনশিল্পী মেহেরুন্নেসা, বাংলাদেশ এডিবল অয়েল লিমিটেড-এর সিনিয়র ম্যানেজার ফয়সাল মাহমুদ এবং বাংলাদেশ কারিগরি শিক্ষা বোর্ড-এর কুকিং এসেসর ও রন্ধনশিল্পী তানিয়া শারমিন। অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন নাহার কুকিং ওয়ার্ল্ড এর স্বত্বাধিকারী ও ঐতিহ্যবাহী 'রান্না: সেরা ১০০ রেসিপি’র সম্পাদক হাসিনা আনসার।
তবে অনুষ্ঠানে যাদের প্রধান অতিথি ও বিশেষ অতিথি থাকার কথা ছিল তাঁরা কেউ ছিলেন না। এতে প্রধান অতিথি থাকার কথা ছিল সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী কে. এম. খালিদ। বিশেষ অতিথি থাকার কথা ছিল বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটন মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. মোকাম্মেল হোসেন, বাংলাদেশ পর্যটন করপোরেশনের চেয়ারম্যান মো. হান্নান মিঞা, বাংলাদেশ টুরিজম বোর্ডের সিইও জাবেদ আহমেদ ও রন্ধনশিল্পী কেকা ফেরদৌসী।