সচিবালয়ের বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও বিভাগের সাংগঠনিক কাঠামো সময়োপযোগী করে এর সঙ্গে সংগতি রেখে পদের নাম সংশোধনের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছে আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
আজ বুধবার অ্যাসোসিয়েশনের পক্ষ থেকে প্রধান উপদেষ্টাকে দেওয়া স্মারকলিপিতে পদের নামগুলো পরিবর্তন করে কী নাম রাখা যেতে পারে, সে বিষয়েও প্রস্তাব করা হয়েছে।
আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশনের মুখপাত্র মো. নজরুল ইসলাম বলেন, সচিবালয় নিয়োগ বিধিমালার তফসিলভুক্ত ফিডার পদে ভিন্ন ভিন্ন নিয়োগ পদ্ধতি, শিক্ষাগত যোগ্যতা এবং বেতন গ্রেড হওয়ায় সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতা তালিকা প্রণয়নের ক্ষেত্রে জটিলতা তৈরি হয়। এর ফলে অহেতুক মামলা হওয়ায় অনেক সময় প্রশাসনিক কার্যক্রম স্থবির হয়ে পড়ে। এ ছাড়া প্রায়ই অনেক জুনিয়র কর্মচারী দ্বারা সিনিয়র কর্মচারীরা সম্মিলিত জ্যেষ্ঠতা, পদোন্নতি ও সার্ভিসে অধিকাংশ সময় ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে থাকেন।
স্মারকলিপিতে বলা হয়েছে, ক্যাডার বহির্ভূত গেজেটেড কর্মকর্তা এবং নন-গেজেটেড কর্মচারী নিয়োগ বিধিমালার আওতাভুক্ত কর্মচারীদের পদবি, বর্তমান পদে দায়িত্ব, সুবিধা ও বেতন স্কেল, কর্মপরিধি এবং পদমর্যাদা ঠিক রেখে পদের নাম পরিবর্তন করলে সরকারের অতিরিক্ত কোনো অর্থ লাগবে না।
প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও ব্যক্তিগত কর্মকর্তাদের পদের নাম পরিবর্তন করে উপসহকারী সচিব, সাঁট-মুদ্রাক্ষরিক কাম কম্পিউটার অপারেটর, কম্পিউটার অপারেটর, অফিস সহকারী কম্পিউটার মুদ্রাক্ষরিক কাম ডেটা এন্ট্রি অপারেটরের পদ নাম বদলে অতিরিক্ত উপসহকারী সচিব এবং প্লেইন পেপার কপিয়ার, ফটোকপি অপারেটর, দপ্তরি এবং অফিস সহায়কদের পদ নাম বদলে সাচিবিক সহকারী করার প্রস্তাব করেছে আন্তমন্ত্রণালয় কর্মচারী অ্যাসোসিয়েশন।
জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় ১৯৯৫ সালের ১৩ সেপ্টেম্বর এবং ২০১৪ সালের ৪ ফেব্রুয়ারি সচিবালয়ের পুরোনো পদ নামগুলো পরিবর্তন করে। ২০২২ সালের ১৬ মে বিভাগীয় কমিশনারের কার্যালয়, জেলা প্রশাসকের কার্যালয় ও উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ের ভিন্ন ভিন্ন গ্রেডের কর্মচারীদের পদ নাম পরিবর্তন করা হয়।
সংগঠনটির একজন সদস্য বলেন, সচিবালয়ের বিদ্যমান পদ নামগুলো সময়োপযোগী করে পরিবর্তনের জন্য গত ৭ আগস্ট জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ে আবেদন দেওয়া হলেও কোনো উদ্যোগ নেয়নি মন্ত্রণালয়। ফলে তাঁরা পদ নাম পরিবর্তনের অনুরোধ জানিয়ে প্রধান উপদেষ্টাকে স্মারকলিপি দিয়েছেন।