জুলাই অভ্যুত্থানের কৃতিত্ব নিতে বিভিন্ন মহলের মধ্যে প্রতিযোগিতা শুরু হয়েছে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান। তিনি বলেছেন, আগের মতো রাজনৈতিক স্বার্থের কাছে যেন জনগণের বৃহত্তর স্বার্থ এবার পরাভূত না হয়। তাই সংশ্লিষ্ট সকলকে প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার আহ্বান জানাই।
আজ শনিবার বিকেলে রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জাতীয় পার্টি আয়োজিত দলের কেন্দ্রীয় ভাইস চেয়ারম্যান হান্নান আহমেদ খান বাবলুর স্মরণসভায় তিনি এ কথা বলেন।
নজরুল ইসলাম খান বলেন, ‘আমরা বারবার লড়াই করেছি, কিন্তু কোনো না কোনোভাবে আমাদের বিজয় ছিনতাই হয়ে গেছে। আজকে খুব কষ্ট লাগে, ৫ তারিখে যে পরিবর্তনটা হলো, তার কয়েকটা মাস গেছে মাত্র। এর মধ্যেই কে এই বিজয়ের দাবিদার, তা নিয়ে একটা প্রতিযোগিতা শুরু হয়ে গেছে। এত বড় বিজয় সবাই ভাগ করে নিলেও তো একেকজনের ভাগে অনেক বড় ভাগ পড়বে। কেউ জোর করে একা এই বিজয়ের কৃতিত্ব কাঁধে নিতে চাইলে তার কাঁধ ভেঙে যাবে।’
তিনি বলেন, ‘এই আন্দোলনে যাঁরা শহীদ হয়েছেন, গত ১৫ বছরে যাঁরা খুন, গুম, নির্যাতনের শিকার হয়েছেন, তাঁরা সবাই এই বিজয়ের অংশীদার। এখানে ছাত্র আছে, শ্রমিক আছে, এটা সবার। সবাই মিলে এই আন্দোলনে অর্জিত যে বিজয়, তা জনগণের কল্যাণে নিয়ে যাওয়ার সময় এখন।’
তিনি বলেন, ফ্যাসিবাদের পতন ঘটেছে; এখন এই ধ্বংসস্তূপের মধ্যে একটা সৌহার্দ্যের গণতন্ত্র, প্রকৃত গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা করা। যেখানে সবাই নির্ভয়ে তাঁদের ভোট দেবেন এবং নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি সরকার গঠন করবেন।
তিনি বলেন, সঠিক ভোটার তালিকা ছাড়া ইউনিয়ন পরিষদ, সিটি করপোরেশন—কোনোটাই সম্ভব নয়। যদি সেটা (ভোটার তালিকা) হয়ে যায়, তাহলে সংসদ নির্বাচনে বাধা কোথায়? কারও কারও স্বার্থ আছে।’
সামগ্রিক সংকট মোকাবিলা সরকারের একার পক্ষে সম্ভব নয় জানিয়ে তিনি বলেন, এই অন্তর্বর্তী সরকার একেবারে পরিপূর্ণ সফল হয়ে যাবে, এমনটা হবে না। তারা তো রাজনীতিবিদ না। তারা স্ব স্ব ক্ষেত্রে সফল, যোগ্য মানুষ, তাতে সন্দেহ নেই। তারা এত কিছু পারবে না।
সভাপতিত্ব করেন জাতীয় পার্টির (জাফর) চেয়ারম্যান ও ১২ দলীয় জোটের প্রধান মোস্তফা জামাল হায়দার।