রাজধানীর বিজয়নগরে জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন দেওয়া হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় এ ঘটনা ঘটে।
কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে আগুন প্রসঙ্গে তাৎক্ষণিক কোনো প্রতিক্রিয়া জানায়নি জাতীয় পার্টি।
এ বিষয়ে দলটির মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নু আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘এ ঘটনায় আমরা এখনি কোনো প্রতিক্রিয়া দিতে চাই না। আমরা বসব, আলোচনা করে পরে প্রতিক্রিয়া জানাব।’
আগামী ২ নভেম্বরের সমাবেশ অব্যাহত থাকবে কি না, এ বিষয়ে তিনি বলেন, ‘সেটাও আমরা বসে সিদ্ধান্ত নেব। আজকে রাতের মধ্যেই সিদ্ধান্ত নেব।’
ছাত্র অধিকার পরিষদ ঢাকা মহানগর দক্ষিণের সাংগঠনিক সম্পাদক মোহাম্মদ হাসিব আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে টিএসসি থেকে মশাল মিছিল নিয়ে জাতীয় পার্টির অফিসের সামনে আসেন তাঁরা। জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে ব্রিফিংয়ের পরিকল্পনা ছিল। যেন আগামী ২ তারিখ জাতীয় পার্টি তাদের মহাসমাবেশ করতে না পারে। কিন্তু শিক্ষার্থীদের মিছিলটি যখন পার্টি অফিসের সামনে চলে আসে, তখন দলটির নেতা-কর্মীরা আক্রমণ করে। সেই আক্রমণে ১০-১৫ জন আহত হন।’
আহত হওয়ার খবরটি সমন্বয়কদের কাছে চলে গেলে, তাঁরা ফেসবুকে স্ট্যাটাস দিয়ে জাতীয় পার্টির কার্যালয়ে সামনে আসতে চান। ততক্ষণে সাধারণ মানুষসহ শিক্ষার্থীরা জাতীয় পার্টির অফিসে আগুন লাগিয়ে দেয়, ভাঙচুর করে এবং এরশাদের ছবিসহ লোগো খুঁচিয়ে খুঁচিয়ে তুলে ফেলে।
জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে উপস্থিত শিক্ষার্থীরা বলেন, স্বাধীন এ দেশে স্বৈরাচার আওয়ামী লীগকে সহায়তা করা এই জাতীয় পার্টি কোনো রাজনৈতিক সমাবেশ করতে পারবে না। যেকোনো মূল্যে তাদের কার্যক্রম নিষিদ্ধ করা হবে।
এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত (রাত ৯ টা) ছাত্র-জনতার অন্তত ১৫০-২০০ জন জাতীয় পার্টির কার্যালয়ের সামনে স্লোগান দিচ্ছেন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে পুলিশ ও সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি টহল টিম সেখানে উপস্থিত রয়েছে।