প্রায় এক বছর পর ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস অ্যাপে রাজনৈতিক কনটেন্ট নির্বিচারে দেখানো শুরু করবে মেটা। ইনস্টাগ্রামের প্রধান অ্যাডাম মোসেরি এক ঘোষণায় এ তথ্য জানিয়েছে। মেটা সম্প্রতি কনটেন্ট মডারেশন নীতিতে পরিবর্তন করায় দুই অ্যাপে এ ধরনের কনটেন্ট আর নিয়ন্ত্রণ করবে না প্রতিষ্ঠানটি।
মোসেরি জানান, এখন থেকে তিনটি স্তরের রাজনৈতিক কনটেন্ট দেখার অপশন থাকবে—কম, স্ট্যান্ডার্ড (যা ডিফল্ট হবে) এবং বেশি।
ব্যবহারকারীদের আগ্রহ না থাকলে ইনস্টাগ্রাম ও থ্রেডস অ্যাপে রাজনৈতিক কনটেন্ট প্রদর্শন সীমাবদ্ধ করার কার্যক্রম শুরু হয় গত বছরে। বিভিন্ন দেশের নির্বাচনে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ব্যবহার করে গুজব ও ভুয়া তথ্য ছড়িয়ে পড়া ঠেকাতে এ উদ্যোগ নিয়েছিল প্রতিষ্ঠানটি।
এক ব্লগ পোস্টে মোসেরি বলেন, কোন কনটেন্ট রাজনৈতিক আর কোনটি অরাজনৈতিক তার সীমা চিহ্নিত করা অসম্ভব।
যুক্তরাষ্ট্রে প্রথমবারের মতো এই পরিবর্তন দেখা যাবে চলতি সপ্তাহে। আগামী সপ্তাহগুলোতে বিশ্বের বিভিন্ন অঞ্চলে এই পরিবর্তন দেখা যাবে।
গত মঙ্গলবার সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমের জনপ্রিয় এই অ্যাপ দুটির মূল প্রতিষ্ঠান মেটা ঘৃণামূলক বক্তব্য ও কনটেন্ট প্রচারের নীতিমালায় কিছু পরিবর্তন আনে। নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মন জোগাতে মার্ক জাকারবার্গ এই পরিবর্তন নিয়ে এসেছেন বলে ধারণা করা হচ্ছে। মার্ক জাকারবার্গ সম্প্রতি ঘোষণা করেন, ফেসবুক, ইনস্টাগ্রাম এবং থ্রেডস থেকে তৃতীয় পক্ষের ফ্যাক্ট চেকারদের বাদ দিয়ে একটি কমিউনিটি নোটস মডেল চালু করবে মেটা, যা এক্স (পুরোনো টুইটার)-এর নীতির অণুকরণ। এ ছাড়া মেটার গ্লোবাল অ্যাফেয়ার্সের প্রেসিডেন্ট নিক ক্লেগ পদত্যাগ করেছেন। তার জায়গায় নিয়োগ দেওয়া হয়েছে রিপাবলিকানদের সঙ্গে সম্পর্কিত জোয়েল ক্যাপলানকে।
এদিকে ইনস্টাগ্রামে কিছু এলজিবিটিকিউ কনটেন্টের হ্যাশট্যাগ ব্লক করার ঘটনায় বিতর্ক সৃষ্টি হয়েছে। সেগুলোকে ‘যৌন উত্তেজক’ হিসেবে চিহ্নিত করা হয়েছিল, তবে কোম্পানি এ ঘটনাটিকে একটি ভুল হিসেবে অভিহিত করেছে।
এ ছাড়া ফেসবুক ও ইনস্টাগ্রামে ট্রান্সজেন্ডার, নারী ও অভিবাসীদের বিরুদ্ধে ঘৃণামূলক বক্তব্য প্রচারের নীতি শিথিল করেছে মেটা।
তথ্যসূত্র: এনগেজেট
আরও পড়ুন—
ফেসবুকে ফ্যাক্টচেকিং বন্ধ হচ্ছে, ভুয়া পোস্ট চিহ্নিত করবে ব্যবহারকারীরাই