কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা (এআই) মডেল প্রশিক্ষণে এবং এআই ক্লাউডভিত্তিক অ্যাপ্লিকেশনগুলো উন্নয়নের গুরুত্ব দিচ্ছে টেক জায়ান্ট মাইক্রোসফট। এ জন্য চলতি ২০২৪-২৫ অর্থবছরে এআই ডেটা সেন্টার নির্মাণের জন্য ৮০ বিলিয়ন ডলার বা ৮ হাজার কোটি ডলার বিনিয়োগ করবে কোম্পানিটি। গতকাল শুক্রবার এক ব্লগ পোস্টে এসব তথ্য জানিয়েছে মাইক্রোসফট।
২০২২ সালে ওপেন এআই চ্যাটজিপিটি চালু করার পর এআই প্রযুক্তিতে বিনিয়োগ ব্যাপকভাবে বেড়েছে। কারণ, বিভিন্ন খাতের কোম্পানিগুলো তাদের পণ্য ও সেবায় কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা যুক্ত করতে চাচ্ছে।
এআই প্রযুক্তি পরিচালনার জন্য অনেক বেশি কম্পিউটিং শক্তির প্রয়োজন। কারণ, এআই মডেলগুলোকে কাজ করাতে অনেক বড় তথ্য প্রক্রিয়া করতে হয়। এর জন্য বিশেষ ধরনের ডেটা সেন্টারের প্রয়োজন, যেখানে হাজার হাজার চিপ একত্রে কাজ করতে পারে। এই চিপগুলো একে অপরের সঙ্গে যুক্ত হয়ে শক্তিশালী গ্রুপ (ক্লাস্টার) তৈরি করে, যা এআই প্রযুক্তিকে দ্রুত এবং কার্যকরভাবে চালাতে সাহায্য করে।
এআই অবকাঠামো উন্নত করতে এবং তার ডেটা সেন্টার নেটওয়ার্ক বিস্তৃত করতে ইতিমধ্যে হাজার হাজার কোটি টাকা বিনিয়োগ করছে মাইক্রোসফট।
বিশ্লেষকেরা আশা করছেন, মাইক্রোসফটের ২০২৫ অর্থবছরের মূলধন ব্যয় ৮৪ দশমিক ২৪ বিলিয়ন ডলার (পুঁজি লিজসহ) হবে।
উল্লেখ্য, পুঁজি লিজ হলো একধরনের চুক্তি, যেখানে একটি কোম্পানি বা ব্যক্তি দীর্ঘ মেয়াদে কোনো সম্পত্তি (যেমন—যন্ত্রপাতি, যানবাহন বা ভবন) ভাড়া নিয়ে তা ব্যবহারের অধিকার পায়। এই লিজ চুক্তি মূলত এমন একটি চুক্তি, যেখানে লিজগ্রহীতা (লিজ নেওয়া ব্যক্তি বা কোম্পানি) সম্পত্তির ভাড়া পরিশোধের মাধ্যমে সেই সম্পত্তির মালিকানা লাভের দিকেও যেতে পারে।
কোম্পানির ২০২৪-২৫ অর্থবছরের প্রথম ত্রৈমাসিকে (২০২৪ সালে জুলাই-সেপ্টেম্বর) মূলধন ব্যয় ৫ দশমিক ৩ শতাংশ বেড়ে ২০ বিলিয়ন ডলার হয়েছে।
ওপেন এআইয়ের প্রধান পৃষ্ঠপোষক হিসেবে এবং একচেটিয়া অংশীদারত্বের কারণে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রতিযোগিতায় মাইক্রোসফটকে বড় প্রযুক্তি কোম্পানির মধ্যে একটি শীর্ষ প্রতিদ্বন্দ্বী হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে।
ব্লগ পোস্টে মাইক্রোসফটের ভাইস চেয়ারম্যান ও প্রেসিডেন্ট ব্র্যাড স্মিথ জানিয়েছেন, মাইক্রোসফটের এই নতুন বিনিয়োগের অর্ধেকেরও বেশি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে করা হবে।
তথ্যসূত্র: রয়টার্স