তামিম ইয়ামীন
জিয়ারত
আমার দু’চোখজুড়ে জমে আছে হিরে চূর্ণগুলি
কে যেন বৃষ্টির নামে জমিনে ছড়িয়ে দিয়েছিল
আর সেই ঘোর লাগা বর্ষণের মাঝে উবু হয়ে
খুঁজছি কবিতা আমি উপমান, ছন্দ অন্ত্যমিলও
যেসব পাখিরা সুখী সঙ্গমের নিজস্ব নিয়মে
কবুলবিহীন যারা মিলে যায় ঠোঁটে ও পাখায়
তার সেই পাখসাট শূন্যে খসে পড়ার আগেই
অনুবাদ করে নিই যথারীতি বাংলা ভাষায়
তবু মরে যেতে হয়, যাই তাই আমরা সকলে
পায়ের নরম চিহ্ন মুছে যায় পলির আস্তরে
বিপুল সংসারী মন ভাসে দূর বিবাগী হাওয়ায়
চির যাযাবর কি না পথ ছেড়ে ফিরে আসে ঘরে
সে ঘরে দাঁড়িয়ে আমি পেশ করি, আল মাহমুদ
তোমার গোরের পাশে অধমের সামান্য দুরূদ।
নদীমাতৃক
ওই দেখো হার্মাদের নৌকা ভেসে যায়
জল কাঁপে, তার ঢেউ লেগে দুই তীর
তবু আমি গান গাই, ফলাই ফসল
পাহারায় থাকি বাপ দাদার ভূমির
জন্মেছি যেদেশ জুড়ে সে নদীমাতৃক
পান করি স্বাদু পানি তবু চোখ লোনা
শুষে নিয়ে বোবা জল নারিকেল বন
ফলায় সুমিষ্ট ডাব তাও দেখছ না!
এ রকমই হয়, এই পলিমাটি দেশে
চেনা নদী বদলায় নিজ সীমারেখা
চাঁদের তরল মুখে লাগে পোড়া দাগ
রাধার কপাল পায় কলঙ্কের দেখা
এসব রহস্য ধরে অর্থ কবেকার
জানা আর অজানার সঙ্গে পথ হেঁটে
চলেছি বধির বেশে অন্ধ দুই চোখে
না দেখা দূরের থেকে দুরূহ সংকেতে
পা জড়িয়ে ধরে ঢোল কলমির পাতা
কত আয়ুকাল গত হলো এই ফাঁকে
জন্মসূত্রে কাহ্নপার প্রতিবেশী আমি
পুরোনো গ্রন্থের মতো লিখছি তোমাকে।
প্রেমের কবিতা
অমৃত সন্ধানী পুত্রকন্যাগণ শোনো
এই যে বাক্যের ভিড়, আর যথোচিত শব্দারণ্য
বাক বিভীষিকা, উপমা ও মেটাফোর।
এই অযাচিত ঘোর
অনর্থক, অক্ষরের মূর্তি ধরে তারা
কবিতার নামে শুধু জাগায় সাহারা।
বসবাসহীন ভিটে, ছেড়ে যাওয়া ঘর
লাশ চুরি হয়ে যাওয়া নিশূন্য কবর
শবহীন চিতা। ছুরিটার
শরীর অবশ করে তুলে নেওয়া ধার
কিংবা মহাভারতের থেকে ছিঁড়ে নিলে গীতা
যেমন বিস্বাদ লাগে
অস্তিত্বের ভাগে চির বিবমিষা জাগে
সেরকমই, তুমিহীন একেকটা প্রেমের কবিতা।
রাধারমণ
সে কবে শুনেছি ডুব দিয়েছিলে তুমি
পুকুরের জলে নিজ মৃতদেহসহ
জ্বলে নাই চিতা, সাড়ে তিন হাত ভূমি
নিজের লাশের ভার, নিজে তাই বহো।
মরমি সাধক তুমি, তোমার মরণ
সে কি আর ভাগ জানে মানে জাতিকুল?
প্রাণ পাখি উড়ে গেলে, এলে সে সমন
দেহ খাঁচাজুড়ে ফুটে শতরঙা ফুল।
তাকে কী পোড়াবে তুমি কী দেবে কবর!
তারচে’ নিজেই ডোবো জলে দেহ ভারে
আমি এক ঊন কবি পেয়ে সে খবর
একাকিনী কবে থেকে পুকুরের পাড়ে
বসে আছি রাধা হয়ে, রাধার রমণ
জল ছেড়ে একদিন উঠতেও পারে।
জিয়ারত
আমার দু’চোখজুড়ে জমে আছে হিরে চূর্ণগুলি
কে যেন বৃষ্টির নামে জমিনে ছড়িয়ে দিয়েছিল
আর সেই ঘোর লাগা বর্ষণের মাঝে উবু হয়ে
খুঁজছি কবিতা আমি উপমান, ছন্দ অন্ত্যমিলও
যেসব পাখিরা সুখী সঙ্গমের নিজস্ব নিয়মে
কবুলবিহীন যারা মিলে যায় ঠোঁটে ও পাখায়
তার সেই পাখসাট শূন্যে খসে পড়ার আগেই
অনুবাদ করে নিই যথারীতি বাংলা ভাষায়
তবু মরে যেতে হয়, যাই তাই আমরা সকলে
পায়ের নরম চিহ্ন মুছে যায় পলির আস্তরে
বিপুল সংসারী মন ভাসে দূর বিবাগী হাওয়ায়
চির যাযাবর কি না পথ ছেড়ে ফিরে আসে ঘরে
সে ঘরে দাঁড়িয়ে আমি পেশ করি, আল মাহমুদ
তোমার গোরের পাশে অধমের সামান্য দুরূদ।
নদীমাতৃক
ওই দেখো হার্মাদের নৌকা ভেসে যায়
জল কাঁপে, তার ঢেউ লেগে দুই তীর
তবু আমি গান গাই, ফলাই ফসল
পাহারায় থাকি বাপ দাদার ভূমির
জন্মেছি যেদেশ জুড়ে সে নদীমাতৃক
পান করি স্বাদু পানি তবু চোখ লোনা
শুষে নিয়ে বোবা জল নারিকেল বন
ফলায় সুমিষ্ট ডাব তাও দেখছ না!
এ রকমই হয়, এই পলিমাটি দেশে
চেনা নদী বদলায় নিজ সীমারেখা
চাঁদের তরল মুখে লাগে পোড়া দাগ
রাধার কপাল পায় কলঙ্কের দেখা
এসব রহস্য ধরে অর্থ কবেকার
জানা আর অজানার সঙ্গে পথ হেঁটে
চলেছি বধির বেশে অন্ধ দুই চোখে
না দেখা দূরের থেকে দুরূহ সংকেতে
পা জড়িয়ে ধরে ঢোল কলমির পাতা
কত আয়ুকাল গত হলো এই ফাঁকে
জন্মসূত্রে কাহ্নপার প্রতিবেশী আমি
পুরোনো গ্রন্থের মতো লিখছি তোমাকে।
প্রেমের কবিতা
অমৃত সন্ধানী পুত্রকন্যাগণ শোনো
এই যে বাক্যের ভিড়, আর যথোচিত শব্দারণ্য
বাক বিভীষিকা, উপমা ও মেটাফোর।
এই অযাচিত ঘোর
অনর্থক, অক্ষরের মূর্তি ধরে তারা
কবিতার নামে শুধু জাগায় সাহারা।
বসবাসহীন ভিটে, ছেড়ে যাওয়া ঘর
লাশ চুরি হয়ে যাওয়া নিশূন্য কবর
শবহীন চিতা। ছুরিটার
শরীর অবশ করে তুলে নেওয়া ধার
কিংবা মহাভারতের থেকে ছিঁড়ে নিলে গীতা
যেমন বিস্বাদ লাগে
অস্তিত্বের ভাগে চির বিবমিষা জাগে
সেরকমই, তুমিহীন একেকটা প্রেমের কবিতা।
রাধারমণ
সে কবে শুনেছি ডুব দিয়েছিলে তুমি
পুকুরের জলে নিজ মৃতদেহসহ
জ্বলে নাই চিতা, সাড়ে তিন হাত ভূমি
নিজের লাশের ভার, নিজে তাই বহো।
মরমি সাধক তুমি, তোমার মরণ
সে কি আর ভাগ জানে মানে জাতিকুল?
প্রাণ পাখি উড়ে গেলে, এলে সে সমন
দেহ খাঁচাজুড়ে ফুটে শতরঙা ফুল।
তাকে কী পোড়াবে তুমি কী দেবে কবর!
তারচে’ নিজেই ডোবো জলে দেহ ভারে
আমি এক ঊন কবি পেয়ে সে খবর
একাকিনী কবে থেকে পুকুরের পাড়ে
বসে আছি রাধা হয়ে, রাধার রমণ
জল ছেড়ে একদিন উঠতেও পারে।
আকাশি রঙের বাড়ি। দোতলায় দুটি কক্ষে আলো জ্বলছে। সন্ধ্যার আবছা আঁধারে ছেয়ে আছে বাড়িটির চারদিকের গাছগুলো। সন্ধ্যার নীল আকাশে ভেসে বেড়াচ্ছে পেঁজা তুলোর মতো মেঘ। বাড়ির সামনে ল্যাম্পপোস্টের আলোয় জলাশয়ে প্রকৃতির এই মোহনীয় ছবি প্রতিফলিত হয়েছে।
৩ দিন আগেচারুশিল্প হচ্ছে মানুষের অনুভূতি প্রকাশের মাধ্যম। একটি ছবি একটি বিপ্লবের উন্মেষ ঘটাতে পারে। ছবি শুধু বিনোদনের মধ্যে সীমাবদ্ধ নয়। এটি বিপ্লবের বার্তাও নিয়ে আসে।
১৪ দিন আগেআপনি যে বয়সেরই হোন না কেন, এই বই পড়লে তারুণ্যশক্তিকে অনুভব করবেন, অনুপ্রাণিত হবেন। নতুন শুরুর একটা তাগিদ পাবেন। এই তরুণদের প্রত্যেকের মতো আপনিও বলে উঠবেন—সব সম্ভব! এই বইয়ে দেশের বিভিন্ন স্থানে জন্ম নেওয়া অবহেলিত অবস্থা থেকে সাফল্যের শীর্ষে যাওয়ার পথচলার গল্প উঠে এসেছে। প্রায় চার শ পৃষ্ঠার বইটির দাম
২১ দিন আগেপ্রকাশনা সংস্থা ‘ঐতিহ্য’ তার দুই যুগের পথচলা (২০০০-২০২৪) স্মরণীয় করে রাখতে বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে দশ দিনব্যাপী ‘ঐতিহ্য বই উৎসব ২০২৪’ আয়োজন করেছে। আজ ২ নভেম্বর শনিবার বেলা ১১টায় যৌথভাবে উৎসব উদ্বোধন করেন বিশিষ্ট শিক্ষাবিদ ইমেরিটাস অধ্যাপক সিরাজুল ইসলাম চৌধুরী, বিশিষ্ট লেখক-গবেষক শারমিন আহমদ এবং তরুণ
২১ দিন আগে