Ajker Patrika

বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবি: দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা

অনলাইন ডেস্ক
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

রাজধানীর সরকারি তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশন কর্মসূচি পালন করছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। আজ শুক্রবার সকালের দিকে তাঁরা তিতুমীর কলেজের সামনের রাস্তা ছেড়ে দিয়ে মূল ফটকের সামনে অবস্থান নেন। কলেজের ১২ শিক্ষার্থী অনশন করছেন বলে জানা গেছে।

গতকাল বৃহস্পতিবার তিতুমীর কলেজকে বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে ঘোষণা না দেওয়া পর্যন্ত অনশন চালিয়ে যাওয়ার ঘোষণা দিয়েছেন কলেজটির শিক্ষার্থীরা। এর আগে স্বতন্ত্র বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তর করাসহ সাত দফা দাবিতে বেলা সাড়ে ১১টার দিকে মহাখালীতে কলেজের প্রধান ফটকের সামনে অবস্থান নেন প্রতিষ্ঠানটির শিক্ষার্থীরা। রাত ৯টা পর্যন্তও তাঁরা সেখানে অবস্থান করেন।

এ সময় শিক্ষার্থীদের কেউ কেউ রাস্তায় শুয়ে পড়েন। এতে সপ্তাহের শেষ কর্মদিবস বৃহস্পতিবার রাজধানীর গুলশান-বনানী, মহাখালী, তেজগাঁও, বিজয় সরণি, জাহাঙ্গীর গেট ও মগবাজার এলাকায় তৈরি হয় ভয়াবহ যানজট।

সন্ধ্যায় আন্দোলনরত রাষ্ট্রবিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষার্থী মাহমুদুল হাসান হ্যান্ডমাইকে ঘোষণা দিয়ে বলেন, ‘আমরা আর কোথাও যাব না। কারও আসতে হলে তিতুমীরের সামনে আসতে হবে। এখানে এসে তিতুমীরের সামনেই বিশ্ববিদ্যালয় হিসেবে রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতির ঘোষণা দিতে হবে। রাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে দ্বিচারিতামূলক আচরণ করছে। তারা আমাদের সঙ্গে কোনো আলোচনা না করেই সাত কলেজের সমন্বয়ে আলাদা সেন্ট্রাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিকল্পনা করছে।’

বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা
বিশ্ববিদ্যালয়ে রূপান্তরের দাবিতে দ্বিতীয় দিনের মতো অনশনে রাজধানীর তিতুমীর কলেজের শিক্ষার্থীরা। ছবি: আজকের পত্রিকা

আন্দোলনে থাকা গণিত বিভাগের তৃতীয় বর্ষের শিক্ষার্থী তরিকুল ইসলাম বলেন, বুধবার থেকে পাঁচজন অনশন কর্মসূচি শুরু করেন। সকালে দুজন অসুস্থ হয়ে পড়ার বিষয়টি শিক্ষকদের জানানো হয়, কিন্তু তাঁরা সাড়া দেননি। তাঁদের প্রতি শিক্ষকেরা সহানুভূতিশীল না হওয়ার ঘটনায় শিক্ষার্থীরা বিক্ষোভ করেছেন। সাত দফা ঘোষণা করেছেন।

শিক্ষার্থীদের সাত দফা দাবির মধ্যে রয়েছে— রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের একাডেমিক ক্যালেন্ডার প্রকাশ, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন গঠন করে ২০২৪-২৫ সেশনের ভর্তি কার্যক্রম পরিচালনা, শতভাগ শিক্ষার্থীর আবাসন ব্যবস্থা নিশ্চিত না হলে শিক্ষার্থীদের আবাসিক খরচ বহন করা, একাডেমিক কার্যক্রম পরিচালনার জন্য যোগ্যতাসম্পন্ন শিক্ষক নিয়োগ, আন্তর্জাতিক মানের গবেষণাগার তৈরিতে জমি ও আর্থিক বরাদ্দ নিশ্চিত করা।

Google News Icon

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত