উজিরপুর (বরিশাল) প্রতিনিধি
উজিরপুরে স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে শিশু সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক গৃহবধূর। অভিযোগ উঠেছে দুই মাস আগে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ মিলে খোলা তালাক দিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে তিনি অনশনে নামে। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নে দক্ষিণ শোলক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের জাফর মোল্লার ছেলে তরিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে রাজশাহী জেলার রাইপাড়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর গত দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি শ্বশুর বাড়ির লোকজন। স্বামী বাবু ও স্ত্রী সুমি মিলে ঘর বাঁধে। সেই ঘর আলোকিত করে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
এ দিকে, ওই গৃহবধূকে জোর করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দেন স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ। অভিযোগ ওঠে তাঁরা দুই মাস আগে বাড়িতে কাজি ডেকে খোলা তালাক দেওয়া হয়। এরপর ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধূ দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১১ মাসের ছেলে সন্তান ও গর্ভে থাকা সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহবধূ সুমি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরেও পাননি কোনো বিচার। উল্টো সালিসে টাকা খেয়ে ওই গৃহবধূকে তাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানান স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি।
সালিস করা লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, গৃহবধূ সুমি পুত্রসন্তানকে নিয়ে দুই দিন স্বামীর ঘরের দরজার সামনে অবস্থান করছেন। কেউ মুখ ফিরেও তাকায়নি। শাশুড়ির পা ধরে অজস্র কান্না করছেন ওই গৃহবধূ। তবুও একমুঠো খাবার তুলে দেয়নি মুখে। ছোট শিশুটি পায়নি কোনো খাবার। দুই ননদের কুপরামর্শে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্বামী মিলে ওই গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে জানান তাঁরা।
এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো বিচার বিচার পাননি গৃহবধূ। পুলিশ জানান, এ বিষয় তাদের কিছু করার নেই। স্থানীয় সংবাদিকেরা খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূকে পাশের এক রাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করে দেন। এ ছাড়া অসহায় ছোট শিশুটি ও গৃহবধূর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন তাঁরা। আগামীকাল এ বিষয়ে আদালতের সাহায্য চাওয়া হবে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিকেরা।
স্বামী তরিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমার স্ত্রী ছিল তা ঠিক। ওর (সুমি) ব্যবহার খারাপ তাই তালাক দিয়েছি। নির্যাতনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সব অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো নির্যাতন করি নাই। তার কাবিনের টাকা দিয়েই তাঁকে তালাক দিয়েছি।’
গৃহবধূ সুমি বলেন, ‘আমার ১১ মাসের পুত্র সন্তান এবং গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোর করে একটি কাগজে স্বাক্ষর রাখে। আমি আমার শিশুদের জীবন বাঁচাতে কাগজে স্বাক্ষর করি। আমি খুব অসহায় এক নারী। আমার পুত্র সন্তান এবং গর্ভের সন্তানের দেখ ভালের দায়িত্ব কে নিবে এখন? আমি তো টাকা চাই না চাই স্বামীর অধিকার।’
এ ব্যাপারে বিএলএসপির কো-অর্ডিনেটর অ্যাড শাহিদা তালুকদার বলেন, ‘আমরা সকল অসহায় নারীদের বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকি। আর যদি কেউ জোর করে বা হুমকি দিয়ে সন্তান গর্ভ অবস্থায় কাউকে তালাক দিলে মুসলিম শরিয়া আইন এটা পারমিট করে না।’
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানান, বিষয়টি শুনেছি। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। এরপরও যাতে আইন শৃঙ্খলা অবনতি না ঘটে সে কারণে পুলিশ পাঠিয়েছি।
উজিরপুরে স্বামীর অধিকার ফিরে পেতে শিশু সন্তান নিয়ে শ্বশুর বাড়িতে অনশনে বসেছেন এক গৃহবধূর। অভিযোগ উঠেছে দুই মাস আগে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দিয়ে স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ মিলে খোলা তালাক দিয়ে তাঁকে বাড়ি থেকে বের করে দেন। এরপর শুক্রবার সকাল থেকে তিনি অনশনে নামে। বরিশালের উজিরপুর উপজেলার শোলক ইউনিয়নে দক্ষিণ শোলক গ্রামে এ ঘটনা ঘটে।
ঘটনাস্থলে গিয়ে জানা যায়, ওই গ্রামের জাফর মোল্লার ছেলে তরিকুল ইসলাম বাবুর সঙ্গে রাজশাহী জেলার রাইপাড়া গ্রামের তাইজুল ইসলামের মেয়ে সুমি আক্তারের প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। দীর্ঘদিন সম্পর্কের পর গত দুই বছর আগে তাঁদের বিয়ে হয়। সেই বিয়ে মেনে নিতে পারেনি শ্বশুর বাড়ির লোকজন। স্বামী বাবু ও স্ত্রী সুমি মিলে ঘর বাঁধে। সেই ঘর আলোকিত করে একটি ছেলে সন্তানের জন্ম হয়।
এ দিকে, ওই গৃহবধূকে জোর করে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার হুমকি দেন স্বামী, শ্বশুর, শাশুড়ি এবং ননদ। অভিযোগ ওঠে তাঁরা দুই মাস আগে বাড়িতে কাজি ডেকে খোলা তালাক দেওয়া হয়। এরপর ওই গৃহবধূকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার হয়। বর্তমানে ওই গৃহবধূ দুই মাসের অন্তঃসত্ত্বা। ১১ মাসের ছেলে সন্তান ও গর্ভে থাকা সন্তানকে নিয়ে বিপাকে পড়েছেন গৃহবধূ সুমি। স্থানীয় প্রভাবশালীদের দাঁড়ে দাঁড়ে ঘুরেও পাননি কোনো বিচার। উল্টো সালিসে টাকা খেয়ে ওই গৃহবধূকে তাড়ানোর জন্য উঠে পড়ে লেগেছে বলে জানান স্থানীয় একাধিক ব্যক্তি।
সালিস করা লোকজন স্থানীয় প্রভাবশালী হওয়ায় কেউ মুখ খুলতে সাহস পাচ্ছে না। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক ওই এলাকার একাধিক বাসিন্দা জানান, গৃহবধূ সুমি পুত্রসন্তানকে নিয়ে দুই দিন স্বামীর ঘরের দরজার সামনে অবস্থান করছেন। কেউ মুখ ফিরেও তাকায়নি। শাশুড়ির পা ধরে অজস্র কান্না করছেন ওই গৃহবধূ। তবুও একমুঠো খাবার তুলে দেয়নি মুখে। ছোট শিশুটি পায়নি কোনো খাবার। দুই ননদের কুপরামর্শে শ্বশুর, শাশুড়ি এবং স্বামী মিলে ওই গৃহবধূর ওপর পাশবিক নির্যাতন চালায় বলে জানান তাঁরা।
এ ব্যাপারে পুলিশের কাছে গিয়েও কোনো বিচার বিচার পাননি গৃহবধূ। পুলিশ জানান, এ বিষয় তাদের কিছু করার নেই। স্থানীয় সংবাদিকেরা খবর শুনে ঘটনাস্থলে গিয়ে ওই গৃহবধূকে পাশের এক রাড়িতে রাখার ব্যবস্থা করে দেন। এ ছাড়া অসহায় ছোট শিশুটি ও গৃহবধূর জন্য খাবারের ব্যবস্থা করেন তাঁরা। আগামীকাল এ বিষয়ে আদালতের সাহায্য চাওয়া হবে বলে জানান স্থানীয় সাংবাদিকেরা।
স্বামী তরিকুল ইসলাম বাবু বলেন, ‘আমার স্ত্রী ছিল তা ঠিক। ওর (সুমি) ব্যবহার খারাপ তাই তালাক দিয়েছি। নির্যাতনের বিষয় জানতে চাইলে তিনি সব অস্বীকার করে বলেন, ‘আমি কোনো নির্যাতন করি নাই। তার কাবিনের টাকা দিয়েই তাঁকে তালাক দিয়েছি।’
গৃহবধূ সুমি বলেন, ‘আমার ১১ মাসের পুত্র সন্তান এবং গর্ভের সন্তানকে নষ্ট করে আমাকে মেরে ফেলার হুমকি দিয়ে জোর করে একটি কাগজে স্বাক্ষর রাখে। আমি আমার শিশুদের জীবন বাঁচাতে কাগজে স্বাক্ষর করি। আমি খুব অসহায় এক নারী। আমার পুত্র সন্তান এবং গর্ভের সন্তানের দেখ ভালের দায়িত্ব কে নিবে এখন? আমি তো টাকা চাই না চাই স্বামীর অধিকার।’
এ ব্যাপারে বিএলএসপির কো-অর্ডিনেটর অ্যাড শাহিদা তালুকদার বলেন, ‘আমরা সকল অসহায় নারীদের বিনা মূল্যে আইনি সহায়তা দিয়ে থাকি। আর যদি কেউ জোর করে বা হুমকি দিয়ে সন্তান গর্ভ অবস্থায় কাউকে তালাক দিলে মুসলিম শরিয়া আইন এটা পারমিট করে না।’
উজিরপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আলী আর্শাদ জানান, বিষয়টি শুনেছি। এখানে আমাদের কিছু করার নাই। এরপরও যাতে আইন শৃঙ্খলা অবনতি না ঘটে সে কারণে পুলিশ পাঠিয়েছি।
রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় একটি বহুতল বাণিজ্যিক ভবনে অগ্নিকাণ্ড ঘটেছে। ফায়ার সার্ভিসের পাঁচটি ইউনিট আগুন নিয়ন্ত্রণে কাজ করছে। এই প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত আগুন নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে জানিয়েছে ফায়ার সার্ভিস...
৫ মিনিট আগেক্ষোভ প্রকাশ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘এমন ছোট্ট সংযোগ সড়কে বিআরটিসির দোতলা বাসে কী করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পিকনিকে নিয়ে এল। সড়কের সামান্য ওপরে বৈদ্যুতিক তার। সেই তারে ছোট পরিবহন চলাচল যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সড়কে কী করে বিআরটিসির দোতলা বাস চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে
১৫ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
২৬ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
১ ঘণ্টা আগে