বেলাল হোসাইন, রামগড় (খাগড়াছড়ি)
খাগড়াছড়ির রামগড়ে খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটছে রিকশাচালকদের। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (টমটম) সহজলভ্যতায় বিলুপ্তির পথে পরিবেশবান্ধব প্যাডেলচালিত রিকশা। সাধারণ মানুষ যাতায়াতে সময় বাঁচাতে প্যাডেলচালিত রিকশার পরিবর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করে। এতে চালকদের আয় অনেক কমে যাওয়ায় খেয়ে-না খেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে চালকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বছর দশেক আগেও রিকশায় ভরপুর ছিল রামগড়। সদর থেকে গ্রামীণ পর্যায়ে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ রিকশা চলত। বর্তমানে রিকশা নেই বললেই চলে। একসময়ের জনপ্রিয় এই রিকশা এখন হাতে গোনা যায়। রামগড় বাজার, সিনেমা হল, মাস্টারপাড়ার রোডে দু-একটা রিকশা দেখা যায়। রিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদরের দিকে দু-একটি রিকশা চললেও গ্রামীণ পর্যায়ে একেবারেই নেই। যে কয়টা আছে, তা-ও বন্ধ হয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
রিকশাচালক আব্দুল হাই (৭০) জানান, ৩০ বছর ধরে তিনি রিকশা চালান। এমন খারাপ সময় কখনো আসেনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিন দিন ধরে কাশি ও বুকে ব্যথা। টাকার জন্য চিকিৎসা নিতে পারছেন না। ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে খুব বেকায়দায় আছেন। এক বেলা খেতে পারলে আরেক বেলা অনাহারে থাকেন। তিনি আরও জানান, একসময় এখানে ১৫০ থেকে ২০০ রিকশা ছিল। এখন তিন-চারটি। তখন রিকশা বেশি থাকলেও দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা আয় করতে পারতেন। যাত্রীর চাপ থাকত। এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় করেন। গুদামের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় ধানের বস্তা, চালের বস্তা টেনে এ আয় করেন। তবে যাত্রীরা রিকশায় ওঠেন না। দু-একজন শখের বশে ওঠেন।
আরেক রিকশাচালক নুরুল হক জানান, তাঁর পরিবারের সদস্যসংখ্যা পাঁচ। এক ছেলে কলেজে পড়ে। রিকশা চালিয়ে সংসার এবং সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন না। করুণ জীবন যাপন করছেন। তিনি অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, এভাবে আর পারা যায় না। টাকা থাকলে তিনিও অটোরিকশা কিনতেন। তিনি আরও বলেন, সাধারণ যাত্রীরাই আমাদের কথা ভাবেন না। সরকারকে দোষারোপ করে আর কী লাভ? সরকারি ও বেসরকারি কোনো সংগঠন তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। করোনার সময়ে পরিবার নিয়ে আরও মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
পরিবেশবিদ আশিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষদেরও উচিত রিকশাচালকদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা। রিকশা একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব যান। অথচ যাতায়াতে সময় বাঁচানোর জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেছে নিয়ে থাকি। নিয়মিত রিকশায় যাতায়াতের এই সহানুভূতিটুকু দেখালে রিকশাচালকেরা পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারেন।’
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, মানবিক সহায়তার আওতায় এনে রিকশাচালকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সরাসরি পৌর কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশ্বাস দেন।
খাগড়াছড়ির রামগড়ে খেয়ে-না খেয়ে দিন কাটছে রিকশাচালকদের। ব্যাটারিচালিত অটোরিকশার (টমটম) সহজলভ্যতায় বিলুপ্তির পথে পরিবেশবান্ধব প্যাডেলচালিত রিকশা। সাধারণ মানুষ যাতায়াতে সময় বাঁচাতে প্যাডেলচালিত রিকশার পরিবর্তে ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা ব্যবহার করে। এতে চালকদের আয় অনেক কমে যাওয়ায় খেয়ে-না খেয়ে পরিবার নিয়ে মানবেতর জীবন যাপন করতে হচ্ছে চালকদের।
সরেজমিনে দেখা যায়, বছর দশেক আগেও রিকশায় ভরপুর ছিল রামগড়। সদর থেকে গ্রামীণ পর্যায়ে প্রায় ১৫০ থেকে ২০০ রিকশা চলত। বর্তমানে রিকশা নেই বললেই চলে। একসময়ের জনপ্রিয় এই রিকশা এখন হাতে গোনা যায়। রামগড় বাজার, সিনেমা হল, মাস্টারপাড়ার রোডে দু-একটা রিকশা দেখা যায়। রিকশাচালকদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সদরের দিকে দু-একটি রিকশা চললেও গ্রামীণ পর্যায়ে একেবারেই নেই। যে কয়টা আছে, তা-ও বন্ধ হয়ে যেতে খুব বেশি সময় লাগবে না।
রিকশাচালক আব্দুল হাই (৭০) জানান, ৩০ বছর ধরে তিনি রিকশা চালান। এমন খারাপ সময় কখনো আসেনি। কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, তিন দিন ধরে কাশি ও বুকে ব্যথা। টাকার জন্য চিকিৎসা নিতে পারছেন না। ছয় সদস্যের পরিবার নিয়ে খুব বেকায়দায় আছেন। এক বেলা খেতে পারলে আরেক বেলা অনাহারে থাকেন। তিনি আরও জানান, একসময় এখানে ১৫০ থেকে ২০০ রিকশা ছিল। এখন তিন-চারটি। তখন রিকশা বেশি থাকলেও দৈনিক ৮০০ থেকে ৯০০ টাকা আয় করতে পারতেন। যাত্রীর চাপ থাকত। এখন ১৫০ থেকে ২০০ টাকা আয় করেন। গুদামের সঙ্গে সম্পর্ক থাকায় ধানের বস্তা, চালের বস্তা টেনে এ আয় করেন। তবে যাত্রীরা রিকশায় ওঠেন না। দু-একজন শখের বশে ওঠেন।
আরেক রিকশাচালক নুরুল হক জানান, তাঁর পরিবারের সদস্যসংখ্যা পাঁচ। এক ছেলে কলেজে পড়ে। রিকশা চালিয়ে সংসার এবং সন্তানদের পড়াশোনার খরচ চালাতে পারছেন না। করুণ জীবন যাপন করছেন। তিনি অসহায়ত্ব প্রকাশ করে বলেন, এভাবে আর পারা যায় না। টাকা থাকলে তিনিও অটোরিকশা কিনতেন। তিনি আরও বলেন, সাধারণ যাত্রীরাই আমাদের কথা ভাবেন না। সরকারকে দোষারোপ করে আর কী লাভ? সরকারি ও বেসরকারি কোনো সংগঠন তাঁদের সহায়তায় এগিয়ে আসেনি। করোনার সময়ে পরিবার নিয়ে আরও মানবেতর জীবন যাপন করেছেন।
পরিবেশবিদ আশিকুর রহমান সুমন বলেন, ‘আমাদের সাধারণ মানুষদেরও উচিত রিকশাচালকদের প্রতি সহানুভূতি প্রদর্শন করা। রিকশা একটি নিরাপদ ও পরিবেশবান্ধব যান। অথচ যাতায়াতে সময় বাঁচানোর জন্য ব্যাটারিচালিত অটোরিকশা বেছে নিয়ে থাকি। নিয়মিত রিকশায় যাতায়াতের এই সহানুভূতিটুকু দেখালে রিকশাচালকেরা পরিবার নিয়ে সুন্দরভাবে জীবন যাপন করতে পারেন।’
রামগড় পৌরসভার মেয়র রফিকুল আলম কামাল বলেন, মানবিক সহায়তার আওতায় এনে রিকশাচালকদের আর্থিকভাবে সাহায্য করা হবে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধি কিংবা সরাসরি পৌর কতৃপক্ষের কাছে আবেদন করলে তাঁদের পাশে দাঁড়াবেন বলে আশ্বাস দেন।
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
১ ঘণ্টা আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
২ ঘণ্টা আগে