উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না লোহাগাড়ার পানচাষিরা

মোহাম্মদ ইলিয়াছ, লোহাগাড়া (চট্টগ্রাম) 
প্রকাশ : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ২১
আপডেট : ২৯ অক্টোবর ২০২১, ১৩: ৪৮

চট্টগ্রামের লোহাগাড়া উপজেলায় মিষ্টি ও বাংলা পানের চাষ হলেও উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না চাষিরা। অতিবৃষ্টির কারণে বরজের ক্ষতি, উৎপাদন খরচসহ পান ছেঁড়া ও ছেঁড়া পান সাইজ অনুযায়ী গোছানোর খরচ বৃদ্ধি এবং লোহাগাড়ার বাজারে বাইরের সস্তা পান বেশি আসায় উপযুক্ত দাম পাচ্ছেন না বলে জানান স্থানীয় চাষিরা। 

কৃষি বিভাগ সূত্রে জানা যায়, উপজেলার বড় হাতিয়ার চাকফিরানী, আধুনগরের কুলপাগলী, চুনতি ইউনিয়নের পশ্চিম চুনতি, সাতগড়, নারিশ্চা, পুঁটিবিলা ও কলাউজানের পাহাড়ি এলাকায় পানের চাষ করা হয়। এবার লোহাগাড়ায় ৩২ হেক্টর জমিতে পানের চাষ হয়েছে। বেশি চাষ হয়েছে আধুনগরের কুলপাগলী ও চুনতি এলাকায়।

সরেজমিনে গিয়ে দেখা গেছে, আধুনগরের কুলপাগলী ও চুনতির সাতগড় এলাকায় রাস্তার পাশে, কৃষিজমিতে প্রচুর পানের চাষ হয়েছে। রয়েছে অনেক পানের বরজ। বরজের খুঁটিতে সারি সারি পানগাছ। প্রতিটি গাছে রয়েছে ৫০ থেকে ৮০টি পর্যন্ত পান। পানের সাইজও বড় হয়েছে। 

উপজেলার আধুনগর কুলপাগলী এলাকার কৃষক নুরুল কবির বলেন, `কুলপাগলী এলাকায় ১৬ শতক জমিতে ৮ হাজার বাংলা পান এবং ২০ শতক জমিতে ২০ হাজার মিষ্টি পানের গাছ রোপণ করেছি। উক্ত পান চাষে খরচ হয়েছে সাড়ে ছয় লাখ টাকা। মিষ্টি পান চাষ লাভজনক, কিন্তু খরচ বেশি। বড় সাইজের প্রতি বিড়া (২৪০টি) পান ১৮০ টাকা এবং ছোট সাইজের প্রতি বিড়া পান ৬০ টাকায় বিক্রি করতে হচ্ছে। ছেঁড়া ও গোছানো বাবদ প্রতি বিড়ায় খরচ হয় ৩০ টাকা। এবার পান রোপণের মাসখানেক পর অতিবৃষ্টি এবং বরজে রোগ আসার কারণে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। 

নুরুল কবির আরও বলেন, ফরিদপুরের ঝাল পান ও উত্তরবঙ্গের হরিণাকুণ্ডের পানে এলাকার বাজার সয়লাব। এসব সস্তা পানের কারণে চাষিরা দাম পাচ্ছেন না। কৃষি বিভাগকে লোহাগাড়ার পান বাইরে রপ্তানি করার উদ্যোগ নিতে হবে বলে দাবি জানান তিনি।

একই এলাকার কৃষক মোক্তার হোসেন বলেন, `কুলপাগলী এলাকায় আমার সাতটি পানের বরজ রয়েছে। প্রতি মাসে বরজ থেকে তিনবার পান তোলা হয়। বরজে ১৪-১৫ জন শ্রমিক দৈনিক কাজ করেন। বরজগুলোতে প্রতি মাসে লক্ষাধিক টাকা খরচ হয়। কিন্তু বাজারে পান বিক্রি করতে গিয়ে ন্যায্য দাম পাচ্ছি না। ৫০ হাজার টাকার পান ২০ হাজার টাকায় বিক্রি করতে হয়েছে।' অন্যান্য ফসলের মতো পানচাষিদের কম সুদে লোন সুবিধা দিতে হবে বলে জানান তিনি। 

এ বিষয়ে উপজেলা কৃষি অফিসার মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, লোহাগাড়ার মাটি ও আবহাওয়া পান চাষের জন্য অত্যন্ত উপযোগী। বরজে পানি নিষ্কাশনের ব্যবস্থা রাখা এবং নিয়মিত সঠিক পরিচর্যা করতে পারলে পানের ভালো ফলন পাওয়া যায়। পুকুরে বা খালের পানিতে পান পরিষ্কার না করে টিউবওয়েলে করতে হবে। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত