নোয়াখালী প্রতিনিধি
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে জান্নাতুল ফেরদাউস তাসফিয়া (৪) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা মাওলানা আবু জাহের (৩৮)। শিশুটির বাবা বলছেন, গুলির আগে তাসফিয়াকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
তাসফিয়ার মা জেসমিন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিকেলে ঘুম আসায় তাসফিয়া আমাকে ঘুমানোর জন্য বলে। এ সময় আমি তাকে তার বাবার কাছে গিয়ে ঘুমানোর জন্য বলি। এর কিছুক্ষণ পর তার বাবার সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় তাসফিয়া। এরপর লাশ হয়ে ফিরে আসে তাসফিয়া।’
সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডান চোখ হারিয়েছেন তাসফিয়ার বাবা আবু জাহের। তারপরও মেয়ের লাশ নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে চলে এসেছেন তিনি।
আবু জাহের বলেন, ‘বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার একই বাড়ির মামুনের দোকানে যাই। ওই দোকানে গিয়ে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর একটি জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হচ্ছিলাম। এ সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাজারে আসে। পরে তারা মামুনের দোকানে এসে তুই (আবু জাহের) ওই দিন বৈঠকে ছিলি বলে, আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্রুত তাসফিয়াকে নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে দোকানি মামুনের সহযোগিতায় আমরা বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে পেছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে তাসফিয়া ও আমি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ি। গুলিতে মাথাসহ পুরো শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায় তাসফিয়ার।’
স্থানীয়রা জানান, গুলির শব্দ পেয়ে বাড়ি থেকে তাদের পরিবারের লোকজন বের হয়ে আসে। এ সময় গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নানির কোলে মারা যায় তাসফিয়া। মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা ছিল না মাওলানা আবু জাহের বা তার মেয়ে তাসফিয়ার। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিল এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হয় মাওলানা আবু জাহের।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি বলেন, ‘সেহরির সময় নিহতের লাশ ঢাকা থেকে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে, গত কয়েক দিন আগে হাজীপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব হাজীপুর গ্রামের রাশেদ মিয়ার বাড়ির মো. আলম তাঁর একটি জমির মাটি বিক্রি করেন পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নে লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মো. বাদশার কাছে। কয়েক দিন ধরে ওই জমি থেকে মাটি কেটে নেন বাদশা। যে পরিমাণ মাটি কাটার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি মাটি কেটে নেয় বাদশা। এ নিয়ে তাঁকে বাধা দিলে গত সোমবার ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আলমদের ওপর হামলা চালায় বাদশা। এ সময় তাঁকে বাধা দিতে আসলে আলমের ভাই ফিরোজের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মেরে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপরও সন্ত্রাসী নিয়ে আলমদের ওপর একাধিকবার হামলা চালায় বাদশা। এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে বৈঠক বসে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনার জেরে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমসহ ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মালেকার বাপের দোকানে এসে তাসফিয়া ও মাওলানা আবু জাহেরের ওপর গুলি ছোড়ে।
নোয়াখালীর বেগমগঞ্জ উপজেলার হাজীপুর ইউনিয়নে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সন্ত্রাসীদের গুলিতে জান্নাতুল ফেরদাউস তাসফিয়া (৪) নামের এক শিশু নিহত হয়েছে। এ ছাড়া গুলিবিদ্ধ হয়ে আহত হয়েছেন শিশুটির বাবা মাওলানা আবু জাহের (৩৮)। শিশুটির বাবা বলছেন, গুলির আগে তাসফিয়াকে ইট দিয়ে আঘাত করা হয়। এরপর তাদের লক্ষ্য করে গুলি করা হয়।
তাসফিয়ার মা জেসমিন আক্তার কান্নাজড়িত কণ্ঠে বলেন, ‘বিকেলে ঘুম আসায় তাসফিয়া আমাকে ঘুমানোর জন্য বলে। এ সময় আমি তাকে তার বাবার কাছে গিয়ে ঘুমানোর জন্য বলি। এর কিছুক্ষণ পর তার বাবার সঙ্গে বাড়ি থেকে বের হয়ে যায় তাসফিয়া। এরপর লাশ হয়ে ফিরে আসে তাসফিয়া।’
সন্ত্রাসীদের গুলিতে ডান চোখ হারিয়েছেন তাসফিয়ার বাবা আবু জাহের। তারপরও মেয়ের লাশ নিয়ে হাসপাতাল ছেড়ে বাড়িতে চলে এসেছেন তিনি।
আবু জাহের বলেন, ‘বিকেল ৩টার দিকে তাসফিয়াকে নিয়ে বাড়ির পার্শ্ববর্তী মালেকার বাপের দোকান এলাকার একই বাড়ির মামুনের দোকানে যাই। ওই দোকানে গিয়ে কিছুক্ষণ কথাবার্তা বলার পর একটি জুস ও চিপস নিয়ে দোকান থেকে বের হচ্ছিলাম। এ সময় মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমের নেতৃত্বে ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী বাজারে আসে। পরে তারা মামুনের দোকানে এসে তুই (আবু জাহের) ওই দিন বৈঠকে ছিলি বলে, আমাকে লক্ষ্য করে গুলি ছুড়লে পাশে থাকা গ্যাসের সিলিন্ডারে লেগে তা লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। দ্রুত তাসফিয়াকে নিয়ে দোকান থেকে বের হয়ে যাওয়ার সময় সন্ত্রাসীরা আমাদের লক্ষ্য করে ইট নিক্ষেপ করলে মাথায় আঘাতপ্রাপ্ত হয় তাসফিয়া। পরে দোকানি মামুনের সহযোগিতায় আমরা বাড়ির দিকে যাওয়ার পথে পেছন থেকে আরও দুই রাউন্ড শটগানের গুলি ছোড়ে সন্ত্রাসীরা। এতে তাসফিয়া ও আমি গুলিবিদ্ধ হয়ে মাটিতে লুটে পড়ি। গুলিতে মাথাসহ পুরো শরীর ঝাঁজরা হয়ে যায় তাসফিয়ার।’
স্থানীয়রা জানান, গুলির শব্দ পেয়ে বাড়ি থেকে তাদের পরিবারের লোকজন বের হয়ে আসে। এ সময় গুলিবিদ্ধ তাসফিয়া ও আবু জাহেরকে উদ্ধার করে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে যায় স্থানীয় লোকজন। পরে সেখানে অবস্থার অবনতি হলে ঢাকা নেওয়ার পথে কুমিল্লায় পৌঁছালে অ্যাম্বুলেন্সে থাকা নানির কোলে মারা যায় তাসফিয়া। মাটি কাটার জের ধরে এ হত্যাকাণ্ডের ঘটনা ঘটলেও মাটি কাটা নিয়ে বিরোধের সঙ্গে কোনোভাবেই সম্পৃক্ততা ছিল না মাওলানা আবু জাহের বা তার মেয়ে তাসফিয়ার। তবে মাটি কাটা নিয়ে বৈঠকে ছিল এমন অভিযোগে সন্ত্রাসীদের টার্গেট হয় মাওলানা আবু জাহের।
এদিকে ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকায় রাতে বিভিন্ন স্থানে অভিযান চালিয়ে দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে বেগমগঞ্জ মডেল থানা-পুলিশ। বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন বেগমগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মীর জাহেদুল হক রনি। তিনি বলেন, ‘সেহরির সময় নিহতের লাশ ঢাকা থেকে আনা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার দুপুরে তার লাশ ময়নাতদন্ত শেষে পরিবারের কাছে হস্তান্তর করা হবে।’
ওসি বলেন, ‘এ ঘটনায় নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে একটি হত্যা মামলা দায়ের করা হয়েছে। অভিযুক্তদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।’
এর আগে, গত কয়েক দিন আগে হাজীপুর ইউপির ৮ নম্বর ওয়ার্ড পূর্ব হাজীপুর গ্রামের রাশেদ মিয়ার বাড়ির মো. আলম তাঁর একটি জমির মাটি বিক্রি করেন পার্শ্ববর্তী দুর্গাপুর ইউনিয়নে লক্ষ্মীনারায়ণপুর গ্রামের মো. বাদশার কাছে। কয়েক দিন ধরে ওই জমি থেকে মাটি কেটে নেন বাদশা। যে পরিমাণ মাটি কাটার কথা ছিল তার চেয়ে বেশি মাটি কেটে নেয় বাদশা। এ নিয়ে তাঁকে বাধা দিলে গত সোমবার ভাড়াটে সন্ত্রাসী নিয়ে আলমদের ওপর হামলা চালায় বাদশা। এ সময় তাঁকে বাধা দিতে আসলে আলমের ভাই ফিরোজের অন্তঃসত্ত্বা মেয়ের পেটে লাথি মেরে জখম করে সন্ত্রাসীরা। এরপরও সন্ত্রাসী নিয়ে আলমদের ওপর একাধিকবার হামলা চালায় বাদশা। এসব ঘটনায় স্থানীয়ভাবে বৈঠক বসে বিষয়টি সমাধান করার চেষ্টা করা হয়।
এ ঘটনার জেরে গতকাল বুধবার বিকেল ৪টার দিকে ভাড়াটে সন্ত্রাসী মহিন, রিমন, আকবর, নাঈমসহ ১৫-২০ জনের একদল সন্ত্রাসী মালেকার বাপের দোকানে এসে তাসফিয়া ও মাওলানা আবু জাহেরের ওপর গুলি ছোড়ে।
মাহিদ হাসান শিশির বলেন, ‘পেছনের বাস থেকে হঠাৎ করে ডাক চিৎকার করে বলছে, ‘‘তোমাদের কাছে পানি আছে দ্রুত পানি দাও। আমাদের বাসে আগুন লাগছে। পানি দাও
১ few সেকেন্ড আগেমাছ বিক্রেতার স্ত্রী তিনি। স্বামীর মাছ বিক্রির লাভের টাকায় টেনেটুনে দিন চলত। সংসারে অভাব লেগেই থাকত। নুন আনতে পান্তা ফুরানোর অবস্থা। একটা অভাব মিটলে, নতুন করে হাজির হতো আরেকটি। ধারদেনা করেই চলতে হতো।
১১ মিনিট আগেনীলফামারীর কিশোরগঞ্জে পুলিশের ওপর হামলা করে ইউপি চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা মোখলেছুর রহমান বিমানকে ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টার ঘটনায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। এ ঘটনায় ২৭ জনের নাম উল্লেখ করে ২৫০ জনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়। আজ শনিবার সকালে বিষয়টি আজকের পত্রিকাকে নিশ্চিত করেছেন থানা-পুলিশের ভারপ্রাপ্ত...
২১ মিনিট আগেপাহাড়িয়া জাতিগোষ্ঠীর মাতৃভাষা হলো পাহাড়িয়া। এই ভাষায় কী-বোর্ড ডেভেলপ করেছে ফ্রেন্ডস অব এন্ডেঞ্জার্ড এথনিক ল্যাংগুয়েজেস (ফিল) নামের একটি সংগঠন। আজ শনিবার সকালে তাই রাজশাহীতে ‘মালত সাবা’ নামের এই কী-বোর্ডের উদ্বোধন করা হয়।
৩৬ মিনিট আগে