প্রতিনিধি, পাবনা ও চাটমোহর
পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা মিলছে না। অভিযোগ উঠেছে, যেকোনো জরুরি রোগী গেলেই ঠিকমতো চিকিৎসা না দিয়ে পাবনা অথবা রাজশাহীতে নিয়ে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। শুধু তাই নয়, যেসব রোগীকে ভর্তি করানো হয়, তাঁদের দ্রুত শয্যায় নিতে কতিপয় নার্স গড়িমসি করেন। রোগীর দিকে ঠিকমতো নজর না দিয়ে তাঁরা খোশগল্পে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে চিকিৎসা দিতে প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকেরা রোগীকে ভালোমতো চিকিৎসা দেন না। ঠিকমতো না দেখেই স্বজনদের বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো না। এখানে চিকিৎসা হবে না। দ্রুত পাবনা বা রাজশাহীতে নিয়ে যান। আর যেসব রোগী ভর্তি করেন, তাঁদের দ্রুত শয্যায় দিতে নার্সদের অবহেলার শিকার হতে হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে চাটমোহরের মথুরাপুর জবেরপুর গ্রামের রেজাউল করিম তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন 'জবেরপুর গ্রামের আজিজুল হককে গত বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান রোগীকে না দেখে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে বিষয়টি তিনি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে সেই রোগীকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।'
পৌর সদরের নারিকেলপাড়া মহল্লার শিহাব আকরাম বলেন, ``গত ৩০ জুলাই পায়ের হাঁটু কেটে গিয়ে হাড়ে আঘাত লেগেছিল। সেলাই করে প্লাস্টার করে দেওয়ার মতো। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা না দিয়ে দেখেই বলে দেন পাবনায় চলে যান। এখানে হবে না। পরে টিএইচ সাহেবকে ফোন দিলে তাঁর সুপারিশে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখন আমি প্রায় সুস্থ।'
বাহাদুরপুর গ্রামের মঞ্জু হোসেন বলেন, `সম্প্রতি আমি আমার বাবার হার্টের সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত দুজন চিকিৎসক ঠিকমতো না দেখেই বলে দেন পাবনা বা রাজশাহীতে নিয়ে যান, এখানে ভালো চিকিৎসা হবে না। তার পরও চাপাচাপি করলে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তির কাগজ নিয়ে ওপরে গেলে নার্সরা আমার বাবাকে বেডে নিতে বিলম্ব করেন। তাঁরা তাঁদের খোশগল্প নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন।'
অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন, `অভিযোগ সত্য নয়। আমরা সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। কোনো রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকলে তাদের রেফার্ড করি। তা ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে আমাদের অনীহা নেই। কেউ যদি মনে করেন তাঁর রোগীকে চিকিৎসা দেইনি, তাহলে তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। আমি সেখানে জবাব দেব।'
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক বুলবুল বলেন, `একজন ভুক্তভোগী এসেছিলেন। তাঁকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। যাঁরা চিকিৎসাসেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই যে চিকিৎসকের দ্বারা হয়রানি হয়েছেন তাঁর নাম, পদবি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।'
পাবনার চাটমোহর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কাঙ্ক্ষিত চিকিৎসাসেবা মিলছে না। অভিযোগ উঠেছে, যেকোনো জরুরি রোগী গেলেই ঠিকমতো চিকিৎসা না দিয়ে পাবনা অথবা রাজশাহীতে নিয়ে যেতে বলেন কর্তব্যরত চিকিৎসকেরা। শুধু তাই নয়, যেসব রোগীকে ভর্তি করানো হয়, তাঁদের দ্রুত শয্যায় নিতে কতিপয় নার্স গড়িমসি করেন। রোগীর দিকে ঠিকমতো নজর না দিয়ে তাঁরা খোশগল্পে বেশি ব্যস্ত থাকেন। এ নিয়ে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন ভুক্তভোগী সাধারণ মানুষ। অনেকে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকেও ক্ষোভ প্রকাশ করেন।
কয়েকজন ভুক্তভোগী বলেন, হঠাৎ অসুস্থ হয়ে পড়া রোগীকে চিকিৎসা দিতে প্রথমে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাওয়া হয়। কিন্তু বর্তমানে সেখানে কর্মরত চিকিৎসকেরা রোগীকে ভালোমতো চিকিৎসা দেন না। ঠিকমতো না দেখেই স্বজনদের বলেন, রোগীর অবস্থা ভালো না। এখানে চিকিৎসা হবে না। দ্রুত পাবনা বা রাজশাহীতে নিয়ে যান। আর যেসব রোগী ভর্তি করেন, তাঁদের দ্রুত শয্যায় দিতে নার্সদের অবহেলার শিকার হতে হয়।
ক্ষোভ প্রকাশ করে চাটমোহরের মথুরাপুর জবেরপুর গ্রামের রেজাউল করিম তাঁর ফেসবুক আইডিতে পোস্ট করেন 'জবেরপুর গ্রামের আজিজুল হককে গত বুধবার দিবাগত রাত পৌনে ৩টার দিকে হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান রোগীকে না দেখে পাবনা সদর হাসপাতালে রেফার্ড করেন। পরে বিষয়টি তিনি হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তাকে অবহিত করেন। পরবর্তীতে সেই রোগীকে পাবনা সদর হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়।'
পৌর সদরের নারিকেলপাড়া মহল্লার শিহাব আকরাম বলেন, ``গত ৩০ জুলাই পায়ের হাঁটু কেটে গিয়ে হাড়ে আঘাত লেগেছিল। সেলাই করে প্লাস্টার করে দেওয়ার মতো। কিন্তু হাসপাতালের জরুরি বিভাগে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক প্রথমে প্রাথমিক কোনো চিকিৎসা না দিয়ে দেখেই বলে দেন পাবনায় চলে যান। এখানে হবে না। পরে টিএইচ সাহেবকে ফোন দিলে তাঁর সুপারিশে আমাকে চিকিৎসা দেওয়া হয়। এখন আমি প্রায় সুস্থ।'
বাহাদুরপুর গ্রামের মঞ্জু হোসেন বলেন, `সম্প্রতি আমি আমার বাবার হার্টের সমস্যা হওয়ায় হাসপাতালের জরুরি বিভাগে নিয়ে যাই। সেখানকার কর্তব্যরত দুজন চিকিৎসক ঠিকমতো না দেখেই বলে দেন পাবনা বা রাজশাহীতে নিয়ে যান, এখানে ভালো চিকিৎসা হবে না। তার পরও চাপাচাপি করলে হাসপাতালে ভর্তি করে প্রাথমিক চিকিৎসা দেওয়া হয়। ভর্তির কাগজ নিয়ে ওপরে গেলে নার্সরা আমার বাবাকে বেডে নিতে বিলম্ব করেন। তাঁরা তাঁদের খোশগল্প নিয়েই বেশি ব্যস্ত ছিলেন।'
অভিযুক্ত চিকিৎসক ডাক্তার মাহমুদুল হাসান বলেন, `অভিযোগ সত্য নয়। আমরা সাধ্যের মধ্যে চিকিৎসাসেবা দেওয়ার চেষ্টা করি। কোনো রোগীর অবস্থা বেশি খারাপ থাকলে তাদের রেফার্ড করি। তা ছাড়া প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে আমাদের অনীহা নেই। কেউ যদি মনে করেন তাঁর রোগীকে চিকিৎসা দেইনি, তাহলে তিনি স্বাস্থ্য কর্মকর্তার কাছে লিখিত অভিযোগ দিতে পারেন। আমি সেখানে জবাব দেব।'
হাসপাতালের স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার ওমর ফারুক বুলবুল বলেন, `একজন ভুক্তভোগী এসেছিলেন। তাঁকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলেছি। যাঁরা চিকিৎসাসেবা নিতে এসে হয়রানির শিকার হয়েছেন, তাঁদের অবশ্যই যে চিকিৎসকের দ্বারা হয়রানি হয়েছেন তাঁর নাম, পদবি উল্লেখ করে লিখিত অভিযোগ দিতে হবে। অভিযোগ পেলে আমরা ব্যবস্থা নেব।'
ক্ষোভ প্রকাশ করে জাকির হোসেন বলেন, ‘এমন ছোট্ট সংযোগ সড়কে বিআরটিসির দোতলা বাসে কী করে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ শিক্ষার্থীদের পিকনিকে নিয়ে এল। সড়কের সামান্য ওপরে বৈদ্যুতিক তার। সেই তারে ছোট পরিবহন চলাচল যেখানে ঝুঁকিপূর্ণ। সেই সড়কে কী করে বিআরটিসির দোতলা বাস চলাচল করে। বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের দায়িত্বে
৬ মিনিট আগেসুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
১৭ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
৩৯ মিনিট আগেছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগরই ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে...
১ ঘণ্টা আগে