শেখ হাসিনা সরকারের পতনের পর ৫ আগস্ট চাঁদপুরের কচুয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) মামুনুর রশিদ সরকারকে (৫১) হত্যা করা হয়। এ ঘটনায় মামলা হয়েছে। এতে অজ্ঞাতনামা ১ হাজার ২০০ জনকে আসামি করা হয়েছে।

আজ রোববার বিকেলে থানার এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন বাদী হয়ে এই মামলা করেন। থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান মামলার বিষয়ে এসব তথ্য নিশ্চিত করেন।

পুলিশ জানায়, গত ৫ আগস্ট সাবেক প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা পদত্যাগের পর ওই দিন বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বিক্ষুব্ধ জনতা কচুয়া থানায় হামলা চালান। এ সময় থানার ওসিসহ অন্যরা পালিয়ে যাওয়ার সময় এসআই মামুনুর রশিদকে ৩০-৪০ জন লাঠি দিয়ে পিটিয়ে পাশের বঙ্গবন্ধু ডিগ্রি কলেজ মাঠে নিয়ে আধামরা করে ফেলে যান। পরে সেখান থেকে তাঁকে স্থানীয় লোকজন উদ্ধার করে কচুয়া সরকারি হাসপাতালে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক মৃত ঘোষণা করেন।

পরে সুরতহাল ও ময়নাতদন্ত শেষে তাঁর মরদেহ গ্রামের বাড়ি কুমিল্লার দেবীদ্বার আবদুল্লাহপুরে নিয়ে যাওয়া হয়।

মামলার বিবরণ থেকে জানা গেছে, মামুনুরকে হত্যার পাশাপাশি একদল জনতা লাঠিসোঁটা ও দেশি অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে থানায় আক্রমণ করে। এ সময় থানার গাড়ি ভাঙচুর, অস্ত্র-গুলি ও মোবাইল ফোন লুট করা হয়। যার ক্ষতির পরিমাণ আনুমানিক ১৫ লাখ টাকা।

নিহত পুলিশ মামুনুরের স্ত্রী হাসিনা মমতাজ জানান, ‘আমার স্বামী কেমন ছিল, সবাই জানেন। আমি স্বামী হত্যার বিচার চাই।’

ওসি মিজানুর বলেন, মামুনুরকে হত্যার ঘটনায় আজ রোববার বিকেলে কচুয়া থানার এসআই মো. দেলোয়ার হোসেন একটি মামলা করেছেন।