অর্চি হক, ঢাকা
‘ছেলেটা বড় হইছে। কিন্তু এমনই কপাল আমার, আয়-ইনকাম করার অবস্থায় সে নাই। স্বামী কিডনির রোগী। সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। সংসার চালানোর আর কোনো উপায় ছিল না আমার।’ ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করা পঞ্চাশোর্ধ্ব রাশিদা আক্তার এভাবেই জানাচ্ছিলেন তাঁর অসহায়ত্বের কথা।
ইভ্যালিতে রাশিদা আক্তারের পাওনা ৭ লাখ টাকা। কিন্তু তার পরেও প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তি চান তিনি। তাঁর বিশ্বাস, ইভ্যালির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর আয়ের পথও বন্ধ হয়ে যাবে।
রাশিদা বেগম জানান, তাঁর ছেলে মানসিক রোগী। মেয়ে স্কুলছাত্রী। আর স্বামী বহু বছর ধরেই ইতালিতে থাকেন। সেখান থেকে পাঠানো টাকার একটা বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে হারিয়েছেন তাঁরা। আর ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন এক আত্মীয়কে। সেই টাকাও আর ফেরত পাননি। স্বামী দেড় বছর আগে কিডনির অসুখে আক্রান্ত হন। ইতালিতেই চলছে সেই চিকিৎসা। কিন্তু আয়-উপার্জন বন্ধ তাঁর। এমন অবস্থায় সংসার চালাতে গত দেড় বছর ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করেছেন রাশিদা আক্তার।
রাশিদা জানান, ব্যবসা বা দোকান চালাতে যে পরিমাণ টাকার দরকার, সেটা তাঁর না থাকায় ঝামেলামুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে ইভ্যালিকে বেছে নিয়েছিলেন। ডিসকাউন্টে বাইক অর্ডার করতেন তিনি। চার মাস পর বাইকের বদলে টাকা নিতেন।
রাশিদা আক্তার বলেন, ‘এই দেড় বছর ধরে আমি যা যা অর্ডার করছি, তার প্রায় সব পণ্য বা টাকা পাইছি। আমার সমস্ত কেনাকাটা ইভ্যালি থেকেই করছি। যেইটা কেনার সামর্থ্য আমার নাই, সেইটাও কম টাকায় কিনতে পারছি।’
গত জুনে ইভ্যালিতে সর্বশেষ অর্ডার করেন রাশিদা। এরপর সময়মতো টাকা বা পণ্য না পাওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির অফিসে গিয়ে মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে দেখা করেন। স্বামীর মেডিকেল রিপোর্টগুলো দেখান তাঁকে।
রাশিদা আক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন মোহাম্মদ রাসেল তাঁকে বলেছিলেন, ‘আন্টি, আপনি কোনো টেনশন কইরেন না। আপনার সব টাকা পাবেন। একটু সংকটে আছি। তাই টাকা দিতে দেরি হচ্ছে।’
এরপর ৯ ও ১৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় তিন লাখ টাকা পান রাশিদা আক্তার। তারপর ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন রাসেল। রাশিদা আক্তারের বিশ্বাস, মোহাম্মদ রাসেল গ্রেপ্তার না হলে এত দিনে বাকি টাকাগুলোও পেয়ে যেতেন তিনি।
শেয়ারবাজারসহ নানাভাবে সঞ্চয়ের টাকা হারিয়ে সবশেষ ইভ্যালির ওপর আস্থা রেখেছিলেন রাশিদা। ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় থাকলেও রাশিদার আস্থা ফিকে হয়নি একটুও।
প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রীসহ গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন ইভ্যালির চেয়ারম্যান।
‘ছেলেটা বড় হইছে। কিন্তু এমনই কপাল আমার, আয়-ইনকাম করার অবস্থায় সে নাই। স্বামী কিডনির রোগী। সপ্তাহে দুবার ডায়ালাইসিস করাতে হয়। সংসার চালানোর আর কোনো উপায় ছিল না আমার।’ ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করা পঞ্চাশোর্ধ্ব রাশিদা আক্তার এভাবেই জানাচ্ছিলেন তাঁর অসহায়ত্বের কথা।
ইভ্যালিতে রাশিদা আক্তারের পাওনা ৭ লাখ টাকা। কিন্তু তার পরেও প্রতিষ্ঠানটির মালিক মোহাম্মদ রাসেলের মুক্তি চান তিনি। তাঁর বিশ্বাস, ইভ্যালির ব্যবসা বন্ধ হয়ে গেলে তাঁর আয়ের পথও বন্ধ হয়ে যাবে।
রাশিদা বেগম জানান, তাঁর ছেলে মানসিক রোগী। মেয়ে স্কুলছাত্রী। আর স্বামী বহু বছর ধরেই ইতালিতে থাকেন। সেখান থেকে পাঠানো টাকার একটা বড় অংশ শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ করে হারিয়েছেন তাঁরা। আর ৪০ লাখ টাকা দিয়েছিলেন এক আত্মীয়কে। সেই টাকাও আর ফেরত পাননি। স্বামী দেড় বছর আগে কিডনির অসুখে আক্রান্ত হন। ইতালিতেই চলছে সেই চিকিৎসা। কিন্তু আয়-উপার্জন বন্ধ তাঁর। এমন অবস্থায় সংসার চালাতে গত দেড় বছর ইভ্যালিতে বিনিয়োগ করেছেন রাশিদা আক্তার।
রাশিদা জানান, ব্যবসা বা দোকান চালাতে যে পরিমাণ টাকার দরকার, সেটা তাঁর না থাকায় ঝামেলামুক্ত বিনিয়োগ হিসেবে ইভ্যালিকে বেছে নিয়েছিলেন। ডিসকাউন্টে বাইক অর্ডার করতেন তিনি। চার মাস পর বাইকের বদলে টাকা নিতেন।
রাশিদা আক্তার বলেন, ‘এই দেড় বছর ধরে আমি যা যা অর্ডার করছি, তার প্রায় সব পণ্য বা টাকা পাইছি। আমার সমস্ত কেনাকাটা ইভ্যালি থেকেই করছি। যেইটা কেনার সামর্থ্য আমার নাই, সেইটাও কম টাকায় কিনতে পারছি।’
গত জুনে ইভ্যালিতে সর্বশেষ অর্ডার করেন রাশিদা। এরপর সময়মতো টাকা বা পণ্য না পাওয়ায় গত ২ সেপ্টেম্বর ইভ্যালির অফিসে গিয়ে মোহাম্মদ রাসেলের সঙ্গে দেখা করেন। স্বামীর মেডিকেল রিপোর্টগুলো দেখান তাঁকে।
রাশিদা আক্তারের ভাষ্য অনুযায়ী, সেদিন মোহাম্মদ রাসেল তাঁকে বলেছিলেন, ‘আন্টি, আপনি কোনো টেনশন কইরেন না। আপনার সব টাকা পাবেন। একটু সংকটে আছি। তাই টাকা দিতে দেরি হচ্ছে।’
এরপর ৯ ও ১৩ সেপ্টেম্বর দুই দফায় তিন লাখ টাকা পান রাশিদা আক্তার। তারপর ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন রাসেল। রাশিদা আক্তারের বিশ্বাস, মোহাম্মদ রাসেল গ্রেপ্তার না হলে এত দিনে বাকি টাকাগুলোও পেয়ে যেতেন তিনি।
শেয়ারবাজারসহ নানাভাবে সঞ্চয়ের টাকা হারিয়ে সবশেষ ইভ্যালির ওপর আস্থা রেখেছিলেন রাশিদা। ইভ্যালির বিরুদ্ধে অভিযোগের পাহাড় থাকলেও রাশিদার আস্থা ফিকে হয়নি একটুও।
প্রতারণার অভিযোগে ই-কমার্স প্রতিষ্ঠান ইভ্যালি ডটকম লিমিটেডের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) মো. রাসেল ও তাঁর স্ত্রীসহ গত ১৬ সেপ্টেম্বর গ্রেপ্তার হন। রাসেলের স্ত্রী শামীমা নাসরিন ইভ্যালির চেয়ারম্যান।
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়ায় খাসি (খাসিয়া) সম্প্রদায়ের বর্ষবিদায় ও নতুন বছরকে বরণের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির খেলার মাঠে খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের আয়োজনে উৎসবটি হয়।
৪ মিনিট আগে৪৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সব বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৫ মিনিট আগেজামালপুরের চরাঞ্চলে শীতকালীন সবজির বাগানে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই মৌসুমে একদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টি, অন্যদিকে খরার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবজি গাছ মরে যাচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, এই সময়ে কৃষি বিভাগের কোনো সহায়তা পাননি তাঁরা।
৮ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। থানা-পুলিশ জানায়, গত ১৮ জুলাই দুপুরে উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে...
৯ মিনিট আগে