বনানী রেইনট্রি হোটেলে দুই শিক্ষার্থী ধর্ষণ মামলার রায় ফের পেছাল

নিজস্ব প্রতিবেদক
প্রকাশ : ২৭ অক্টোবর ২০২১, ১৮: ০৭

বনানীর রেইনট্রি হোটেলে জন্মদিনের পার্টিতে ডেকে নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের দুই ছাত্রীকে ধর্ষণের ঘটনায় দায়েরকৃত মামলার রায় ঘোষণার তারিখ আবারও পেছাল। আজ বুধবার রায় ঘোষণার তারিখ ধার্য ছিল। কিন্তু প্রবীণ আইনজীবী আব্দুল বাসেত মজুমদারের মৃত্যুতে আদালতের কার্যক্রম বন্ধ থাকায় রায় ঘোষণা পিছিয়ে দেওয়া হয়।

আগামী ১১ নভেম্বর এ মামলার রায় ঘোষণার নতুন তারিখ ধার্য করা হয়েছে। ঢাকার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনাল-৭ এর বিচারক মোসাম্মাত কামরুন্নাহার এ রায় ঘোষণা করবেন। 

গত ৩ অক্টোবর রাষ্ট্র ও আসামিপক্ষের যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে ১২ অক্টোবর রায়ের তারিখ ঘোষণা করেন ট্রাইব্যুনাল। কিন্তু বিচারক ছুটিতে থাকায় ওই দিন রায়ের তারিখ পিছিয়ে আজ বুধবার ধার্য করা হয়। 

যুক্তিতর্ক শুনানি শেষে মামলায় জামিনে থাকা পাঁচ আসামি আপন জুয়েলার্সের মালিক দিলদার আহমেদের ছেলে সাফাত আহমেদ, তার বন্ধু ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট প্রতিষ্ঠান ‘ই-মেকার্স’-এর কর্মকর্তা নাঈম আশরাফ ওরফে আবদুল হালিম, ঢাকার পিকাসো রেস্তোরাঁর মালিক রেগনাম গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) মোহাম্মদ হোসেন জনির ছেলে সাদমান সাফিক এবং সাফাতের গাড়িচালক বিল্লাল হোসেন ও দেহরক্ষী রহমত আলী জামিন বাতিল করে কারাগারে পাঠানোর নির্দেশ দেন বিচারক। রায়ের দিন তাদের ট্রাইব্যুনালে হাজির করারও নির্দেশ দেওয়া হয় কারা কর্তৃপক্ষকে।

গত ৫ সেপ্টেম্বর এই মামলার যুক্তিতর্ক শুনানি শুরু হয়। এর আগে ২২ জন সাক্ষীর সাক্ষ্যগ্রহণ করা হয় মামলায়। 

 ২০১৮ সালের ১৩ জুলাই পাঁচ আসামির বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠন করা হয়। এর আগে ১৯ জুন তাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আমলে নেন ট্রাইব্যুনাল। একই বছরের ৮ জুন আদালতে পাঁচ আসামিকে অভিযুক্ত করে চার্জশিট দাখিল করা হয়।

ধর্ষণের ঘটনার ৪০ দিন পর ২০১৮ সালের ৬ মে বনানী থানায় পাঁচজনকে আসামি করে ধর্ষণের অভিযোগ এনে মামলা করেন ধর্ষণের শিকার হওয়া একটি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী। 

মামলার এজাহারে বলা হয়, সাফাতের জন্মদিনের পার্টিতে অংশ নিতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হন তাঁরা। বনানীর দ্য রেইনট্রি হোটেলের দুটি কক্ষে আটকে রেখে তাঁদের ধর্ষণ করা হয়। ২০১৮ সালের ২৮ মার্চ রাত ৯টা থেকে পরদিন সকাল ১০টা পর্যন্ত আসামিরা মামলার বাদী এবং তাঁর বান্ধবী ও বন্ধু শাহরিয়ারকে আটকে রাখে। অস্ত্র দেখিয়ে ভয়ভীতি প্রদর্শন ও গালাগাল করে। বাদী ও তাঁর বান্ধবীকে পৃথক কক্ষে নিয়ে যায় আসামিরা। বাদীকে সাফাত আহমেদ ও তাঁর বান্ধবীকে নাঈম আশরাফ ধর্ষণ করেন। অন্যরা ধর্ষণে সহযোগিতা করেন। তদন্তকালীন এই মামলায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দিয়ে ধর্ষণের কথা স্বীকার করেন আসামিরা। 

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

ভারতের পাল্টা আক্রমণে দিশেহারা অস্ট্রেলিয়া

ঢাকা কলেজে সংঘর্ষকালে বোমা বিস্ফোরণে ছিটকে পড়েন সেনাসদস্য—ভাইরাল ভিডিওটির প্রকৃত ঘটনা

ঐশ্বরিয়ার বিচ্ছেদের খবরে মুখ খুললেন অমিতাভ

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত