অনিক হোসেন, ঢাকা
চারদিকে ময়লা-আবর্জনার বড় বড় স্তূপ। যেন একেকটি পাহাড়ি টিলা। ভয়ানক দুর্গন্ধে টেকা দায়। এর মধ্যেই ফাঁকে ফাঁকে সবজির খেত। লালশাক-পালংশাক, পুঁইশাক-ডাঁটাশাক থেকে লাউ, মিষ্টি কুমড়া ঢ্যাঁড়স—সবই আছে এখানে।
এই দৃশ্য রাজধানীর মাতুয়াইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-কেন্দ্রে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ময়লার ভাগাড়ে উৎপাদিত শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
জানা গেছে, ৫০ একর জমি নিয়ে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ড (ময়লা ফেলার ভাগাড়)। এর সক্ষমতা ২০০৬ সালে শেষ হয়। পরে আরও ৫০ একর জমি যুক্ত করা হয় এই ল্যান্ডফিলের সঙ্গে। বর্জ্যের পরিমাণে ২০২০ সালে সেই সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যায়। ল্যান্ডফিল্ড (ভাগাড়) সম্প্রসারণের জন্য আরও ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে নতুন অধিগ্রহণ করা জমির কিছু অংশেও ফেলা হচ্ছে বর্জ্য।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে গিয়ে দেখা যায়, একের পর এক বর্জ্যবাহী গাড়ি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বর্জ্য আনছে। ওজন মাপার যন্ত্রের ওপর বিরতি নিয়ে গাড়িগুলো চলে যাচ্ছে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে। ময়লার দুর্গন্ধে সেখানে টেকা দায়।
ঘুরে দেখা গেল, কোনো কোনো জায়গায় বর্জ্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মাটির আস্তরণ দিয়ে বর্জ্যগুলো ঢেকে দেওয়ার কাজ করেছে সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া জায়গা আগেই মাটির আস্তরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আর বোঝার কোনো উপায় নেই যে একসময় হাজার হাজার টন বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এমন জায়গাগুলোতেই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির চাষ করা হচ্ছে। লালশাক, পালংশাক, পাটশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, লাউ, বাঙ্গি, ঢ্যাঁড়স, মিষ্টিকুমড়াসহ আরও অনেক ধরনের শাকসবজির চাষ করতে দেখা গেল লোকজনকে।
ময়লার ভাগাড়ে শাকসবজি কিনতে আসা এক পাইকারি ক্রেতা বলেন, এখান থেকে প্রায় প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার সবজি কিনে নিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী কোনাপাড়া, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। এই ব্যবসা করে তিনি দিনে ৫০০-৭০০ টাকা আয় করেন।
অবৈধ ইজারার অভিযোগ
ময়লার ভাগাড়ের জায়গাগুলো সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মচারী স্থানীয়দের কাছে ইজারা দিয়েছেন—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে কর্মরত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মচারীর (বিশেষ করে ময়লাবাহী গাড়ির চালক) কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাগাড়ের জমি ইজারা নিয়েছেন।
বারেক মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারীর কাছ থেকে তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ল্যান্ডফিলের একটি জায়গা ইজারা নিয়েছেন।
রাজ্জাক নামের আরেক স্থানীয় চাষি বলেন, তিনি ২০ হাজার টাকায় ল্যান্ডফিল্ডের একটি জায়গা ইজারা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, ‘ধীরে ধীরে এসব সবজির বাগান অপসারণ করা হচ্ছে।’ আর ইজারার সঙ্গে কর্মচারীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। এমন কোনো অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ইমামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাগাড়ে শাকসবজি খুব দ্রুত বাড়ে এবং আবর্জনার ক্ষতিকর পদার্থগুলো এগুলোর সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যায়।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বেলাল হায়দার বলেন, ‘ভাগাড়ের মতো জায়গায় কখনোই শাকসবজি চাষ করা উচিত নয়। ভাগাড়ের আবর্জনা ব্যবহার করে জৈব সার উৎপাদনের মাধ্যমে সেগুলো ব্যবহার করে চাষ করলে কোনো ঝুঁকি থাকে না। কিন্তু সরাসরি ময়লার স্তূপের ওপর শাকসবজি চাষ করলে এসব সবজিতে ক্যাডমিয়াম, মার্কারি ও লেডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’
চারদিকে ময়লা-আবর্জনার বড় বড় স্তূপ। যেন একেকটি পাহাড়ি টিলা। ভয়ানক দুর্গন্ধে টেকা দায়। এর মধ্যেই ফাঁকে ফাঁকে সবজির খেত। লালশাক-পালংশাক, পুঁইশাক-ডাঁটাশাক থেকে লাউ, মিষ্টি কুমড়া ঢ্যাঁড়স—সবই আছে এখানে।
এই দৃশ্য রাজধানীর মাতুয়াইলে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) প্রধান বর্জ্য ব্যবস্থাপনা-কেন্দ্রে। বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করেছেন, ময়লার ভাগাড়ে উৎপাদিত শাকসবজি স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ক্ষতিকর।
জানা গেছে, ৫০ একর জমি নিয়ে ১৯৮৯ সালে প্রতিষ্ঠিত মাতুয়াইল ল্যান্ডফিল্ড (ময়লা ফেলার ভাগাড়)। এর সক্ষমতা ২০০৬ সালে শেষ হয়। পরে আরও ৫০ একর জমি যুক্ত করা হয় এই ল্যান্ডফিলের সঙ্গে। বর্জ্যের পরিমাণে ২০২০ সালে সেই সক্ষমতাকেও ছাড়িয়ে যায়। ল্যান্ডফিল্ড (ভাগাড়) সম্প্রসারণের জন্য আরও ৮১ একর জমি অধিগ্রহণ করে ডিএসসিসি কর্তৃপক্ষ। বর্তমানে নতুন অধিগ্রহণ করা জমির কিছু অংশেও ফেলা হচ্ছে বর্জ্য।
গতকাল বুধবার সরেজমিনে মাতুয়াইল ল্যান্ডফিলে গিয়ে দেখা যায়, একের পর এক বর্জ্যবাহী গাড়ি শহরের বিভিন্ন স্থান থেকে বর্জ্য আনছে। ওজন মাপার যন্ত্রের ওপর বিরতি নিয়ে গাড়িগুলো চলে যাচ্ছে বর্জ্য ফেলার নির্দিষ্ট স্থানে। ময়লার দুর্গন্ধে সেখানে টেকা দায়।
ঘুরে দেখা গেল, কোনো কোনো জায়গায় বর্জ্যে পরিপূর্ণ হয়ে যাওয়ায় মাটির আস্তরণ দিয়ে বর্জ্যগুলো ঢেকে দেওয়ার কাজ করেছে সিটি করপোরেশন। এ ছাড়া জায়গা আগেই মাটির আস্তরণ দেওয়া হয়েছে। সেখানে আর বোঝার কোনো উপায় নেই যে একসময় হাজার হাজার টন বিভিন্ন ধরনের ময়লা-আবর্জনা ফেলা হয়েছে। এমন জায়গাগুলোতেই বিভিন্ন ধরনের শাকসবজির চাষ করা হচ্ছে। লালশাক, পালংশাক, পাটশাক, পুঁইশাক, ডাঁটাশাক, লাউ, বাঙ্গি, ঢ্যাঁড়স, মিষ্টিকুমড়াসহ আরও অনেক ধরনের শাকসবজির চাষ করতে দেখা গেল লোকজনকে।
ময়লার ভাগাড়ে শাকসবজি কিনতে আসা এক পাইকারি ক্রেতা বলেন, এখান থেকে প্রায় প্রতিদিন ২ থেকে ৩ হাজার টাকার সবজি কিনে নিয়ে তিনি পার্শ্ববর্তী কোনাপাড়া, শনির আখড়াসহ বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করেন। এই ব্যবসা করে তিনি দিনে ৫০০-৭০০ টাকা আয় করেন।
অবৈধ ইজারার অভিযোগ
ময়লার ভাগাড়ের জায়গাগুলো সিটি করপোরেশনের কয়েকজন কর্মচারী স্থানীয়দের কাছে ইজারা দিয়েছেন—এমন অভিযোগ পাওয়া গেছে। সেখানে কর্মরত চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সিটি করপোরেশনের ২৫ থেকে ৩০ জন কর্মচারীর (বিশেষ করে ময়লাবাহী গাড়ির চালক) কাছ থেকে বিভিন্ন মেয়াদে ১০ থেকে ২০ হাজার টাকার বিনিময়ে ভাগাড়ের জমি ইজারা নিয়েছেন।
বারেক মিয়া নামের এক কৃষক বলেন, সিটি করপোরেশনের এক কর্মচারীর কাছ থেকে তিনি ১০ হাজার টাকা দিয়ে এক বছরের জন্য ল্যান্ডফিলের একটি জায়গা ইজারা নিয়েছেন।
রাজ্জাক নামের আরেক স্থানীয় চাষি বলেন, তিনি ২০ হাজার টাকায় ল্যান্ডফিল্ডের একটি জায়গা ইজারা নিয়ে বিভিন্ন ধরনের সবজি চাষ করছেন।
ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের বর্জ্য ব্যবস্থাপনা বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী শফিউল্লাহ সিদ্দিক ভূঁইয়া বলেন, ‘ধীরে ধীরে এসব সবজির বাগান অপসারণ করা হচ্ছে।’ আর ইজারার সঙ্গে কর্মচারীদের জড়িত থাকার বিষয়ে বলেন, ‘এ ব্যাপারে আমি অবগত নই। এমন কোনো অভিযোগ পেলে তাঁর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।’
স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের মৃত্তিকা, পানি ও পরিবেশ বিভাগের অধ্যাপক ইমামুল হক আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘ভাগাড়ে শাকসবজি খুব দ্রুত বাড়ে এবং আবর্জনার ক্ষতিকর পদার্থগুলো এগুলোর সঙ্গে খুব সহজেই মিশে যায়।’
ড্যাফোডিল ইন্টারন্যাশনাল বিশ্ববিদ্যালয়ের পুষ্টি ও খাদ্যবিজ্ঞান বিভাগের প্রধান অধ্যাপক বেলাল হায়দার বলেন, ‘ভাগাড়ের মতো জায়গায় কখনোই শাকসবজি চাষ করা উচিত নয়। ভাগাড়ের আবর্জনা ব্যবহার করে জৈব সার উৎপাদনের মাধ্যমে সেগুলো ব্যবহার করে চাষ করলে কোনো ঝুঁকি থাকে না। কিন্তু সরাসরি ময়লার স্তূপের ওপর শাকসবজি চাষ করলে এসব সবজিতে ক্যাডমিয়াম, মার্কারি ও লেডের উপস্থিতি পাওয়া যায়। যা স্বাস্থ্যের জন্য খুবই ঝুঁকিপূর্ণ।’
মৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়ায় খাসি (খাসিয়া) সম্প্রদায়ের বর্ষবিদায় ও নতুন বছরকে বরণের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির খেলার মাঠে খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের আয়োজনে উৎসবটি হয়।
৭ মিনিট আগে৪৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সব বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
৯ মিনিট আগেজামালপুরের চরাঞ্চলে শীতকালীন সবজির বাগানে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই মৌসুমে একদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টি, অন্যদিকে খরার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবজি গাছ মরে যাচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, এই সময়ে কৃষি বিভাগের কোনো সহায়তা পাননি তাঁরা।
১২ মিনিট আগেকুড়িগ্রামের উলিপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন চলাকালে ছাত্রদের তুলে নিয়ে মারধরের ঘটনায় দুই যুবলীগ নেতাকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার গ্রেপ্তারকৃতদের আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে। থানা-পুলিশ জানায়, গত ১৮ জুলাই দুপুরে উলিপুর মহারাণী স্বর্ণময়ী স্কুল অ্যান্ড কলেজের সামনে...
১৩ মিনিট আগে