আসাদুজ্জামান রিপন, নরসিংদী
গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুতাসহ কাপড় তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায় বেড়েছে দেশীয় সব ধরনের কাপড়ের উৎপাদন খরচ। ফলে বেড়েছে সব ধরনের কাপড়ের দামও। এর প্রভাব পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাপড়ের বাজার নরসিংদীর শেখেরচর-বাবুরহাটে। ভরা মৌসুমেও বেচাকেনা কম। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
গতকাল শনিবার সরেজমিন কাপড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর শবে বরাতের পর থেকে পাইকারি ক্রেতার ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে শেখের চর-বাবুরহাট কাপড়ের বাজার। প্রতি বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা বেচাকেনা চলে এই হাটে।
শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, শার্টপিস, প্যান্টপিসসহ গজ কাপড় কিনতে আসেন দেশের নানা প্রান্তের খুচরা কাপড় বিক্রেতারা। রোজার ঈদে জাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি বেশি বেচাকেনার আশায় থাকেন বিক্রেতারা। ২০২৩ সাল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জাকাতের জন্য শাড়ি, লুঙ্গি কিনবেন এমন প্রত্যাশাও বিক্রেতাদের।
চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের দেশীয় কাপড় পাওয়া যাওয়ায় এই হাটকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতাদেরও আগ্রহ বেশি। দেশের নানা প্রান্তের পাইকারি ক্রেতার ভিড়ে এই সময় সরগরম হয়ে ওঠে বাজারটি। তবে এ বছরের চিত্র অনেকখানি আলাদা।
ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশীয় সব ধরনের কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে সব ধরনের কাপড়ের দামও। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষকে এমনিতেই খরচ কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সে কারণে ঈদ ঘিরে কাপড়ের ক্রেতা কম।
কুমিল্লা থেকে আসা খুচরা কাপড় বিক্রেতা নূরুল ইসলাম বলেন, সব কাপড়ের দাম বাড়তি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়তিসহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বেচাকেনা কমে গেছে। ঈদের বেচাকেনার যে প্রত্যাশা থাকে এবার সেটা অনেকটা কম মনে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা বাজারে কাপড়ের বেচাকেনা কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারেও। দাম বাড়ায় পাইকারি ও খুচরা কাপড় ক্রেতা-বিক্রেতাদের পুঁজি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে বেশি।
বাবুরহাটের হাজি জোহর আলী ক্লথ স্টোরের মালিক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রতি গজ কাপড়ে ১০-২০ টাকা দাম বেড়েছে। লুঙ্গি, শাড়ি ও থ্রি-পিসে ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। কাপড়ের দাম বাড়ার কারণে কাপড় বিক্রি কমে গেছে।
নিহাদ ক্লথ স্টোরের মালিক মো. হানিফ মিয়া বলেন, নিত্যপণ্যের সঙ্গে বেড়েছে কাপড়ের দামও। সব মিলিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। খুচরা বাজারে বেচাকেনা হলেই পাইকারি বেচাকেনা ভালো হয়।
কাপড় বিক্রেতারা জানান, বাজারটিতে ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার কাপড়ের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় কাপড় উৎপাদনকারী প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে এই হাটে। আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে বেচাকেনার আশায় এসব দোকানে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, থান কাপড়, বিছানার চাদর, শার্টপিস, প্যান্টপিস, পাঞ্জাবির কাপড়সহ দেশীয় প্রায় সব ধরনের কাপড়ের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদ উপলক্ষে কাপড়ের ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। কিন্তু আশানুরূপ বেচাকেনা না হওয়ায় বিক্রেতারা বেশ হতাশ।
সিলেট থেকে আসা কাপড়ের পাইকারি ক্রেতা মিলন মিয়া বলেন, অন্য বছরের তুলনায় খুচরা বাজারে কাপড়ের বেচাকেনা এখন পর্যন্ত কম। ঈদের আগ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়তে পারে। তাই কম কাপড় কিনছেন।
সৌরভ ক্লথ স্টোরের মো. শহিদ উল্লাহ ও আবির বস্ত্র বিতানের মো. রুস্তম আলী বলেন, টাকার অঙ্কে হিসাব করলে বেচাকেনা প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই। কিন্তু সংখ্যায় বা পরিমাণে বেচাকেনা আরও কমেছে। আগের তুলনায় পাইকারি ক্রেতারা ২০-৩০ ভাগ কম কাপড় কিনছেন। এখন ব্যবসায় পুঁজি বেশি লাগছে, লাভ কম হচ্ছে।
শেখের চর-বাবুরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের প্রায় ৭০ ভাগ কাপড়ের চাহিদা পূরণ করে থাকে শেখেরচর-বাবুরহাট। রং, সুতা, তুলাসহ কাপড় উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়লেও সে তুলনায় কাপড়ের দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ ক্রেতাদের খরচের হিসাবে টান পড়েছে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, আগে যে পাইকারি ক্রেতা ১০ হাজার পিস কাপড় কিনতেন, তিনি এখন ৬ হাজার পিস কাপড় কিনছেন। সাধারণত প্রতি হাটে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকার কাপড় বেচাকেনা হয়। ঈদের বাজারে তা বেড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। কিন্তু এবার বেচাকেনা কেমন হবে, তা বলা যাচ্ছে না।
গ্যাস, বিদ্যুৎ, সুতাসহ কাপড় তৈরির উপকরণের দাম বাড়ায় বেড়েছে দেশীয় সব ধরনের কাপড়ের উৎপাদন খরচ। ফলে বেড়েছে সব ধরনের কাপড়ের দামও। এর প্রভাব পড়েছে দেশের অন্যতম বৃহৎ পাইকারি কাপড়ের বাজার নরসিংদীর শেখেরচর-বাবুরহাটে। ভরা মৌসুমেও বেচাকেনা কম। উৎপাদন খরচ বৃদ্ধির নেতিবাচক প্রভাব পড়েছে খুচরা বাজারেও।
গতকাল শনিবার সরেজমিন কাপড় উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান ও পাইকারি ক্রেতা-বিক্রেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, প্রতিবছর শবে বরাতের পর থেকে পাইকারি ক্রেতার ভিড়ে মুখর হয়ে ওঠে শেখের চর-বাবুরহাট কাপড়ের বাজার। প্রতি বৃহস্পতি থেকে শনিবার পর্যন্ত টানা বেচাকেনা চলে এই হাটে।
শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, শার্টপিস, প্যান্টপিসসহ গজ কাপড় কিনতে আসেন দেশের নানা প্রান্তের খুচরা কাপড় বিক্রেতারা। রোজার ঈদে জাকাতের শাড়ি, লুঙ্গি বেশি বেচাকেনার আশায় থাকেন বিক্রেতারা। ২০২৩ সাল জাতীয় সংসদ নির্বাচনের বছর। আসন্ন জাতীয় নির্বাচন ঘিরে সম্ভাব্য প্রার্থীরা জাকাতের জন্য শাড়ি, লুঙ্গি কিনবেন এমন প্রত্যাশাও বিক্রেতাদের।
চাহিদা অনুযায়ী সব ধরনের দেশীয় কাপড় পাওয়া যাওয়ায় এই হাটকে ঘিরে দেশের বিভিন্ন জেলার পাইকারি ক্রেতাদেরও আগ্রহ বেশি। দেশের নানা প্রান্তের পাইকারি ক্রেতার ভিড়ে এই সময় সরগরম হয়ে ওঠে বাজারটি। তবে এ বছরের চিত্র অনেকখানি আলাদা।
ব্যবসা সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, দেশীয় সব ধরনের কাপড়ের উৎপাদন খরচ বেড়ে যাওয়ায় বেড়েছে সব ধরনের কাপড়ের দামও। এ ছাড়া নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় সাধারণ মানুষকে এমনিতেই খরচ কাটছাঁট করতে হচ্ছে। সে কারণে ঈদ ঘিরে কাপড়ের ক্রেতা কম।
কুমিল্লা থেকে আসা খুচরা কাপড় বিক্রেতা নূরুল ইসলাম বলেন, সব কাপড়ের দাম বাড়তি, নিত্যপণ্যের দাম বাড়তিসহ অর্থনৈতিক মন্দার প্রভাবে বেচাকেনা কমে গেছে। ঈদের বেচাকেনার যে প্রত্যাশা থাকে এবার সেটা অনেকটা কম মনে হচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা জানান, খুচরা বাজারে কাপড়ের বেচাকেনা কম হওয়ায় এর প্রভাব পড়েছে পাইকারি বাজারেও। দাম বাড়ায় পাইকারি ও খুচরা কাপড় ক্রেতা-বিক্রেতাদের পুঁজি বিনিয়োগ করতে হচ্ছে বেশি।
বাবুরহাটের হাজি জোহর আলী ক্লথ স্টোরের মালিক মো. মোখলেছুর রহমান বলেন, প্রতি গজ কাপড়ে ১০-২০ টাকা দাম বেড়েছে। লুঙ্গি, শাড়ি ও থ্রি-পিসে ১০০-১৫০ টাকা বেড়েছে। কাপড়ের দাম বাড়ার কারণে কাপড় বিক্রি কমে গেছে।
নিহাদ ক্লথ স্টোরের মালিক মো. হানিফ মিয়া বলেন, নিত্যপণ্যের সঙ্গে বেড়েছে কাপড়ের দামও। সব মিলিয়ে মানুষের ক্রয়ক্ষমতা কমেছে। খুচরা বাজারে বেচাকেনা হলেই পাইকারি বেচাকেনা ভালো হয়।
কাপড় বিক্রেতারা জানান, বাজারটিতে ছোট-বড় প্রায় ৫ হাজার কাপড়ের দোকান রয়েছে। এ ছাড়া দেশীয় কাপড় উৎপাদনকারী প্রায় সব প্রতিষ্ঠানের বিক্রয়কেন্দ্র রয়েছে এই হাটে। আসন্ন ঈদুল ফিতর ঘিরে বেচাকেনার আশায় এসব দোকানে শাড়ি, লুঙ্গি, থ্রিপিস, থান কাপড়, বিছানার চাদর, শার্টপিস, প্যান্টপিস, পাঞ্জাবির কাপড়সহ দেশীয় প্রায় সব ধরনের কাপড়ের পসরা সাজিয়েছেন ব্যবসায়ীরা। ঈদ উপলক্ষে কাপড়ের ডিজাইনে আনা হয়েছে বৈচিত্র্য। কিন্তু আশানুরূপ বেচাকেনা না হওয়ায় বিক্রেতারা বেশ হতাশ।
সিলেট থেকে আসা কাপড়ের পাইকারি ক্রেতা মিলন মিয়া বলেন, অন্য বছরের তুলনায় খুচরা বাজারে কাপড়ের বেচাকেনা এখন পর্যন্ত কম। ঈদের আগ মুহূর্তে বেচাকেনা বাড়তে পারে। তাই কম কাপড় কিনছেন।
সৌরভ ক্লথ স্টোরের মো. শহিদ উল্লাহ ও আবির বস্ত্র বিতানের মো. রুস্তম আলী বলেন, টাকার অঙ্কে হিসাব করলে বেচাকেনা প্রায় স্বাভাবিক সময়ের মতোই। কিন্তু সংখ্যায় বা পরিমাণে বেচাকেনা আরও কমেছে। আগের তুলনায় পাইকারি ক্রেতারা ২০-৩০ ভাগ কম কাপড় কিনছেন। এখন ব্যবসায় পুঁজি বেশি লাগছে, লাভ কম হচ্ছে।
শেখের চর-বাবুরহাট বণিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মনিরুজ্জামান বলেন, দেশের প্রায় ৭০ ভাগ কাপড়ের চাহিদা পূরণ করে থাকে শেখেরচর-বাবুরহাট। রং, সুতা, তুলাসহ কাপড় উৎপাদনে প্রয়োজনীয় সবকিছুর দাম বাড়লেও সে তুলনায় কাপড়ের দাম খুব বেশি বাড়েনি। তবে নিত্যপণ্যের দাম বাড়ায় প্রত্যন্ত অঞ্চলের সাধারণ ক্রেতাদের খরচের হিসাবে টান পড়েছে।
মনিরুজ্জামান আরও বলেন, আগে যে পাইকারি ক্রেতা ১০ হাজার পিস কাপড় কিনতেন, তিনি এখন ৬ হাজার পিস কাপড় কিনছেন। সাধারণত প্রতি হাটে ২০০ থেকে ২৫০ কোটি টাকার কাপড় বেচাকেনা হয়। ঈদের বাজারে তা বেড়ে ৩০০ থেকে ৪০০ কোটি টাকায় দাঁড়ায়। কিন্তু এবার বেচাকেনা কেমন হবে, তা বলা যাচ্ছে না।
নীলফামারী জেলা পূজা উদযাপন পরিষদের সাধারণ সম্পাদক দীপক চক্রবর্তীকে আদালতের মাধ্যমে কারাগারে পাঠিয়েছে পুলিশ। আজ শনিবার তাকে আদালতে হাজির করা হলে শুনানি শেষে বিচারক কারাগারে পাঠানোর আদেশ দেন।
১ মিনিট আগেচট্টগ্রামে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র-জনতা আন্দোলনকারীদের লক্ষ্য করে একটি শাটার গান দিয়ে একাই ২৮ রাউন্ড গুলি করেছিলেন যুবলীগ কর্মী তৌহিদুল ইসলাম ওরফে ফরিদ (৩২)। গতকাল শুক্রবার সাতক্ষীরা সদর উপজেলার কামালনগর এলাকা থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে চান্দগাঁও থানা-পুলিশ।
৯ মিনিট আগেগত ৫ আগস্ট ছাত্র–জনতার বিজয় মিছিল চলাকালে আওয়ামী লীগের সন্ত্রাসীদের গুলিতে স্বামী আল-আমিন মিয়া (৩৪) নিহত হয়েছেন বলে উল্লেখ করে গত ২৪ অক্টোবর কুলসুম ঢাকার চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলাটি করেন। পরে ৮ নভেম্বর তা আশুলিয়া থানায় এজাহারভুক্ত করা হয়।
১৯ মিনিট আগেভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা পারভীন বলেন, সেলীম রেজা ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। নিয়ম অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার চার্জশিট
২৬ মিনিট আগে