যুক্তরাষ্ট্রে বিমার ৫ মিলিয়ন ডলারের লোভে ১৭ লাখ টাকা খোয়ালেন ব্যবসায়ী

নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
প্রকাশ : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ১০
আপডেট : ১৩ অক্টোবর ২০২৪, ১৮: ৫১

যুক্তরাষ্ট্রে মারা যাওয়া কথিত ব্যক্তির বিমার পাঁচ মিলিয়ন ডলারের লোভ দেখিয়ে অভিনব উপায়ে প্রতারণার মাধ্যমে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে ১৭ লাখের বেশি টাকা হাতিয়ে নেওয়া হয়েছে। এ অভিযোগে এক প্রতারককে গ্রেপ্তার করেছে ডিএমপির নিউমার্কেট থানা-পুলিশ। তাঁর নাম মো. আজিজ মোল্লা।

আজ রোববার বিকেলে ডিএমপির জনসংযোগ ও গণমাধ্যম বিভাগের উপকমিশনার তালেবুর রহমান এ তথ্য জানিয়েছেন।

সকালে খিলগাঁও থানা-পুলিশের সহায়তায় বনশ্রীর মডেল এজেন্সি নামক একটি অফিস থেকে মো. আজিজ মোল্লাকে গ্রেপ্তার করা হয়। এ সময় তাঁর কাছ থেকে ৯টি ব্যাংকের ৯টি চেক বই, তিনটি এটিএম কার্ড, দুটি ভিসা কার্ড ও প্রতারণার কাজে ব্যবহৃত দুটি মোবাইল ফোন জব্দ করা হয়। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে আজিজ মোল্লা ঘটনার সঙ্গে জড়িত থাকার কথা স্বীকার করেছেন।

তালেবুর রহমান বলেন, গত ২৯ সেপ্টেম্বর দুপুরে অ্যানা হারিসন নামক ফেসবুক আইডি থেকে মো. নুরুজ্জামান নামে এক ব্যক্তির যোগাযোগ হয়। পরে তাঁরা হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন। ওপাশ থেকে হারিসন জানান, বাংলাদেশি বংশোদ্ভূত মোহাম্মদ বেলটন নামে এক ব্যক্তি যুক্তরাষ্ট্রে কর্মরত থাকা অবস্থায় মারা যান। যুক্তরাষ্ট্রের এলাইনস ব্যাংকে বেলটনের পাঁচ মিলিয়ন ডলার জমা রয়েছে। তিনি নুরুজ্জামানকে মৃত ব্যক্তির আত্মীয় পরিচয় দেওয়ার জন্য অনুরোধ করেন এবং এলাইনস ব্যাংক ম্যানেজারের হোয়াটসঅ্যাপ নম্বর দেন। পরামর্শ অনুযায়ী ওই ব্যাংক ম্যানেজারের সঙ্গে হোয়াটসঅ্যাপে কথা বলেন নুরুজ্জামান।

পরবর্তীকালে ব্যাংক ম্যানেজার বিমার পাঁচ মিলিয়ন ডলার বাংলাদেশে পাঠানোর জন্য একটি শিপিং কোম্পানির কাছে দুটি লাগেজ প্রদান করেছে বলে নুরুজ্জামানকে জানান। প্রমাণস্বরূপ একটি ভিডিও পাঠান। ব্যাংক ম্যানেজার বিমা খরচ এবং ডেলিভারি খরচ বাবদ ১ লাখ ৮৫ হাজার টাকা দিতে বলেন। তাঁর কথা মতো ডাচ্‌–বাংলা ব্যাংকের উত্তরা শাখার একটি অ্যাকাউন্টে ওই টাকা জমা দেন নুরুজ্জামান। এরপর ৩ অক্টোবর সকাল ৮টায় একটি নম্বর থেকে অজ্ঞাতনামা একজন ব্যক্তি ফোন করেন নুরুজ্জামনকে। ফোনদাতা বলেন, তিনি ঢাকা বিমানবন্দরের কাস্টমস কর্মকর্তা। বাদীর দুটি লাগেজ কাস্টমসে আটকে আছে। লাগেজ দুটি ছাড়াতে ৪ লাখ ৭ হাজার টাকা দিতে বলেন। তাঁদের কথা মতো ইসলামী ব্যাংকের একটি অ্যাকাউন্টে সেই টাকাও দেন নুরুজ্জামান। কাস্টমস কর্মকর্তার কথামতো আয়কর ও ট্যাক্স বাবদ আরও ১১ লাখ ৭৫ হাজার টাকা ইসলামী ব্যাংকের আরেকটি অ্যাকাউন্টে দেন। এসব টাকা দেওয়ার পরও তাঁরা নুরুজ্জামানের কাছে আরও ১০ লাখ ৫০ হাজার টাকা চান। এভাবে বারবার টাকা চাওয়ায় নুরুজ্জামানের সন্দেহ হলে তিনি বিমানবন্দর কাস্টমসের সঙ্গে যোগাযোগ করে জানতে পারেন, এটি একটি সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রের কাজ। এভাবে সংঘবদ্ধ প্রতারক চক্রটি বাদীর কাছ থেকে সব মিলিয়ে ১৭ লাখ ৬৭ হাজার টাকা প্রতারণার মাধ্যমে হাতিয়ে নেয়।

এ ঘটনায় মো. নুরুজ্জামান ১২ অক্টোবর নিউমার্কেট থানায় একটি প্রতারণার মামলা করেন।

সর্বশেষ খবর পেতে Google News ফিড ফলো করুন

সরকারি চাকরিজীবীরা সম্পদের হিসাব না দিলে যেসব শাস্তির মুখোমুখি হতে পারেন

শেখ হাসিনাকে নিয়ে যুক্তরাজ্যে এম সাখাওয়াতের বিস্ফোরক মন্তব্য, কী বলেছেন এই উপদেষ্টা

শিক্ষকের নতুন ২০ হাজার পদ, প্রাথমিকে আসছে বড় পরিবর্তন

লক্ষ্মীপুরে জামায়াত নেতাকে অতিথি করায় মাহফিল বন্ধ করে দেওয়ার অভিযোগ

শ্রীপুরে পিকনিকের বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের ৩ শিক্ষার্থীর মৃত্যু, আহত ৩

এলাকার খবর
খুঁজুন

পাঠকের আগ্রহ

সম্পর্কিত