নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের (ভারতীয় দণ্ড বিধি আইনের ধারা ১২৪ এ) ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে অভিনন্দন জানিয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সাংবিধানিকতা চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে করা এক আবেদনের ওপর শুনানির সময়ে কোর্ট এই আদেশ দেয়। কোর্ট তার আদেশে বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে ১২৪ এ ধারার কঠোরতা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই বিষয়টি সরকারও স্বীকার করেছে। ঔপনিবেশিক এই আইনটি পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার, তত দিন পর্যন্ত এই আইনে কোনো মামলা করা যাবে না।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে, সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘ভিন্নমত, প্রতিবাদ ও আন্দোলন দমনে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, মানহানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের অপব্যবহার বেড়ে চলেছে। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ ভিন্নমতকে দমন করতে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার জন্য ভারত সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যাপক অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসাবে কাজ করবে। উনিশ শতক এবং বিশ শতকের প্রথম দিকে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার ব্যাপকভাবে ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতা চাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি ব্যবহার করে। এই বিধানটি এখন স্বাধীন ভারতের পরবর্তী সরকারগুলি দমনের একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।’
ফারুখ ফয়সল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশও উত্তরাধিকার সূত্রে একই আইন পেয়েছে। ভারত সরকারের মতো, বাংলাদেশ সরকারকেও ১৮৬০ সালের দণ্ড বিধির ১২৪এ ধারার অধীনে প্রদত্ত ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিধানটি পর্যালোচনা করে বাতিল করা উচিত।’
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১২৪এ ধারা ব্যবহার করে ছাত্র, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক কর্মী এবং যারা সরকারের সমালোচনা করে তাদের দমন করার অভিযোগ রয়েছে। ১২৪-এ ধারার যে কঠোরতা তা এই সময়ের সঙ্গে মানানসই নয়। কারণ এটি তৈরি হয়েছে ঔপনিবেশিক কালে। সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহার স্থগিত করে সরকারকে আইনটি পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহের নতুন কোনো অভিযোগ আমলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে। বিচারাধীন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কারাগারে বন্দী ব্যক্তিরা আদালতের কাছে যেতে এবং জামিন চাইতে পারবেন। সরকার প্রথমে আইনটির পক্ষে যুক্তি দিলেও পরবর্তীতে তার অবস্থান পরিবর্তন করে আইনটি পর্যালোচনা করতে রাজি হয়।
আর্টিকেল নাইনটিন ভারত সরকারকে রাষ্ট্রদ্রোহের বিধান সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার এবং রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে দায়ের করা সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে ভারত সরকারকে এই ধরনের অন্যান্য আইন পর্যালোচনা করারও আহ্বান জানায় যেমন আনলফুল (বেআইনি) অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট, ১৯৬৭; ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ১৯৮০; পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট, ১৯৭৮; আর্মড ফোর্সের (স্পেশাল পাওয়ারস) অ্যাক্ট, ১৯৫৮ যা ভিন্নমত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণে ব্যবহার হয়।
যুক্তরাজ্য ভিত্তিক আন্তর্জাতিক মানবাধিকার সংস্থা আর্টিকেল নাইনটিন, রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের (ভারতীয় দণ্ড বিধি আইনের ধারা ১২৪ এ) ওপর স্থগিতাদেশ দেওয়ায় ভারতের সুপ্রিম কোর্টকে অভিনন্দন জানিয়েছে। রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের সাংবিধানিকতা চ্যালেঞ্জ করে ভারতের সুপ্রিম কোর্টে করা এক আবেদনের ওপর শুনানির সময়ে কোর্ট এই আদেশ দেয়। কোর্ট তার আদেশে বলেছেন, এটা স্পষ্ট যে ১২৪ এ ধারার কঠোরতা বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়। এই বিষয়টি সরকারও স্বীকার করেছে। ঔপনিবেশিক এই আইনটি পুনর্বিবেচনা করবে কেন্দ্রীয় সরকার, তত দিন পর্যন্ত এই আইনে কোনো মামলা করা যাবে না।
আজ রোববার গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে, সংস্থাটির দক্ষিণ এশিয়ার আঞ্চলিক পরিচালক ফারুখ ফয়সল বলেন, ‘ভিন্নমত, প্রতিবাদ ও আন্দোলন দমনে সাম্প্রতিক সময়ে ভারতে রাষ্ট্রদ্রোহ আইন, মানহানি আইনসহ বিভিন্ন আইনের অপব্যবহার বেড়ে চলেছে। ভারতীয় সুপ্রিম কোর্টের এই আদেশ ভিন্নমতকে দমন করতে এবং ব্যক্তিগত স্বাধীনতা লঙ্ঘন করার জন্য ভারত সরকার কর্তৃক রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যাপক অপব্যবহারের বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী বার্তা হিসাবে কাজ করবে। উনিশ শতক এবং বিশ শতকের প্রথম দিকে, ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকার ব্যাপকভাবে ভারতীয় রাজনৈতিক নেতাদের এবং ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক সরকারের কাছ থেকে স্বাধীনতা চাওয়া মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এই রাষ্ট্রদ্রোহ আইনটি ব্যবহার করে। এই বিধানটি এখন স্বাধীন ভারতের পরবর্তী সরকারগুলি দমনের একটি হাতিয়ার হিসাবে ব্যবহার করছে।’
ফারুখ ফয়সল আরও বলেন, ‘বাংলাদেশও উত্তরাধিকার সূত্রে একই আইন পেয়েছে। ভারত সরকারের মতো, বাংলাদেশ সরকারকেও ১৮৬০ সালের দণ্ড বিধির ১২৪এ ধারার অধীনে প্রদত্ত ঔপনিবেশিক রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের বিধানটি পর্যালোচনা করে বাতিল করা উচিত।’
ভারত সরকারের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ড বিধির ১২৪এ ধারা ব্যবহার করে ছাত্র, সাংবাদিক, বুদ্ধিজীবী, মানবাধিকারকর্মী, রাজনৈতিক কর্মী এবং যারা সরকারের সমালোচনা করে তাদের দমন করার অভিযোগ রয়েছে। ১২৪-এ ধারার যে কঠোরতা তা এই সময়ের সঙ্গে মানানসই নয়। কারণ এটি তৈরি হয়েছে ঔপনিবেশিক কালে। সুপ্রিম কোর্ট তার আদেশে রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের ব্যবহার স্থগিত করে সরকারকে আইনটি পর্যালোচনা শেষ না হওয়া পর্যন্ত রাষ্ট্রদ্রোহের নতুন কোনো অভিযোগ আমলে নেওয়া থেকে বিরত থাকতে বলেছে। বিচারাধীন রাষ্ট্রদ্রোহ মামলার ক্ষেত্রে সুপ্রিম কোর্ট বলেছে রাষ্ট্রদ্রোহের অভিযোগে কারাগারে বন্দী ব্যক্তিরা আদালতের কাছে যেতে এবং জামিন চাইতে পারবেন। সরকার প্রথমে আইনটির পক্ষে যুক্তি দিলেও পরবর্তীতে তার অবস্থান পরিবর্তন করে আইনটি পর্যালোচনা করতে রাজি হয়।
আর্টিকেল নাইনটিন ভারত সরকারকে রাষ্ট্রদ্রোহের বিধান সম্পূর্ণরূপে বাতিল করার এবং রাষ্ট্রদ্রোহ আইনের অধীনে দায়ের করা সমস্ত মামলা প্রত্যাহার করার আহ্বান জানায়। একই সঙ্গে ভারত সরকারকে এই ধরনের অন্যান্য আইন পর্যালোচনা করারও আহ্বান জানায় যেমন আনলফুল (বেআইনি) অ্যাক্টিভিটিজ (প্রিভেনশন) অ্যাক্ট, ১৯৬৭; ন্যাশনাল সিকিউরিটি অ্যাক্ট, ১৯৮০; পাবলিক সেফটি অ্যাক্ট, ১৯৭৮; আর্মড ফোর্সের (স্পেশাল পাওয়ারস) অ্যাক্ট, ১৯৫৮ যা ভিন্নমত ও মত প্রকাশের স্বাধীনতা হরণে ব্যবহার হয়।
৯ লাখ টাকার জাল নোট নিয়ে আলু কিনতে রংপুরে যাওয়ার সময় নাটোরে পাঁচজনকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ। আজ শনিবার নাটোর-রাজশাহী মহাসড়কের নারায়ণপাড়া এলাকায় যাত্রীবাহী বাস তল্লাশি করে তাদের আটক করা হয়। এ সময় তাদের কাছে ৯ লাখ ৪৩ হাজার টাকার জাল নোট উদ্ধার করা হয়।
১৭ মিনিট আগেরাজধানীর ফার্মগেটের ইন্দিরা রোডে একটি বহুতলা ভবনে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটেছে। ভবনটির বেসমেন্টে লাগা আগুন আট ঘণ্টার চেষ্টায় নিয়ন্ত্রণ আনে দমকল বাহিনীর সদস্যরা। তবে এতে কোনো হতাহতের ঘটনা ঘটেনি। ভবনটিতে একটি সমবায় ব্যাংক ও কয়েকটি লাইব্রেরি রয়েছে। অগ্নিকাণ্ডের পর লাইব্রেরির জিনস পত্র সরিয়ে নেয় ব্যবসায়ীরা।
১ ঘণ্টা আগেবাসে বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যুর দায় নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজি বিশ্ববিদ্যালয়ের (আইইউটি) উপাচার্য (ভিসি) অধ্যাপক রফিকুল ইসলাম খান। দুর্ঘটনার পর আজ (শনিবার) ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে আহতদের দেখতে এসে তিনি এ কথা বলেন।
১ ঘণ্টা আগেমাহিনের চাচা হাসান রহমান বলেন, ‘এখানে শতভাগ অবহেলা ছিল। একটা তার ঝুলে পড়বে গায়ের মধ্যে এটা কখনোই মেনে নেওয়া যায় না। এর সুষ্ঠু তদন্ত চাই।’ রংপুর বিভাগ, রংপুর জেলা, গাজীপুর, বাস, আগুন, জেলার খবর
১ ঘণ্টা আগে