নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
চাহিদা-সরবরাহের ফারাক, আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বা মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি—কোনো ব্যাখ্যাই সাধারণ মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। সাধারণ মানুষ মনে করে, মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সরকারের ব্যর্থতা মূল কারণ। এই কারণে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংগঠনটির আয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয় ৷
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, সরকারের ধারণা, করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ সংকট, বর্ধিত চাহিদা, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে পণ্যমূল্য বেড়েছে। আর সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক, বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের ফলে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে, সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হচ্ছে এবং মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাহিদা-সরবরাহের ফারাক, আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য অথবা মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি—কোনো ব্যাখ্যাই সাধারণ মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। তারা মূল্যবৃদ্ধিতে কষ্টে আছে। তাদের জীবনমানের অবক্ষয় হচ্ছে। তারা মনে করে, সরকারের ব্যর্থতার কারণে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।
ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোক্তা-সম্পর্কিত একটি বিভাগ রাখার পরামর্শ দিয়ে বেশ কিছু করণীয় তুলে ধরেছে ভোক্তাস্বার্থ নিয়ে কাজ করা এই সংগঠন। গোলাম রহমান বলেন, ‘জনজীবনে মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুসরণের ফলাফল মূল্যায়ন করে এর উপযোগিতা পুনর্নির্ধারণ ও সংস্কারের সময় এসেছে। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন সম্ভব নয়। অতএব, গুটিকয়েক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও কার্টেলের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সরকারকে খাদ্য বিভাগ, টিসিবির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিত্যপণ্য সরবরাহ ও বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ, মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারের ব্যবসা থেকে দূরে থাকার নীতিতে জনস্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে না। ভারত সরকার নব্বইয়ের দশকে ভোক্তাস্বার্থ দেখার জন্য ‘মিনিস্ট্রি অব কনজ্যুমার অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন’ নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও ভোক্তাবান্ধব, জনবান্ধব নীতি গ্রহণ সময়ের দাবি। ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ, ভোক্তাস্বার্থ-সংক্রান্ত বিষয় তদারকি, সরকারের নীতি নির্ধারণে ভোক্তা স্বার্থের প্রতিফলন, ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রমে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোক্তা-সম্পর্কিত একটি বিভাগ সৃষ্টি সময়োপযোগী হবে বলে মনে করি।’
এদিকে বাণিজ্য-সম্পর্কিত অন্য একটি বিভাগ, বাণিজ্য নীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, বাণিজ্যিক ইত্যাদি বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিরাচরিত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানান ক্যাবের সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া এবং ক্যাব ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস এ খান।
চাহিদা-সরবরাহের ফারাক, আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য বা মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি—কোনো ব্যাখ্যাই সাধারণ মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। সাধারণ মানুষ মনে করে, মূল্যবৃদ্ধির পেছনে সরকারের ব্যর্থতা মূল কারণ। এই কারণে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে বলে পর্যবেক্ষণ জানিয়েছে ভোক্তাদের অধিকার নিয়ে কাজ করা কনজুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ (ক্যাব)।
আজ মঙ্গলবার রাজধানীর জাতীয় প্রেসক্লাবে জহুর হোসেন চৌধুরী হলে সংগঠনটির আয়োজনে দ্রব্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি ও করণীয় শীর্ষক সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে এই পর্যবেক্ষণ জানানো হয় ৷
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পড়ে শোনান ক্যাবের সভাপতি গোলাম রহমান। তিনি বলেন, সরকারের ধারণা, করোনা মহামারি-পরবর্তী সময়ে বিশ্বজুড়ে সরবরাহ সংকট, বর্ধিত চাহিদা, জাহাজ ভাড়া বৃদ্ধি ইত্যাদি কারণে পণ্যমূল্য বেড়েছে। আর সাম্প্রতিক মূল্যবৃদ্ধির কারণ, এক বছরের বেশি সময় ধরে চলা রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ। অর্থনীতিবিদদের অনেকে মনে করেন, অর্থ মন্ত্রণালয়ের ব্যাংক, বিশেষ করে বাংলাদেশ ব্যাংক থেকে মাত্রাতিরিক্ত ঋণ গ্রহণের ফলে মুদ্রা সরবরাহ বেড়েছে, যা মুদ্রাস্ফীতিকে উসকে দিয়েছে। ব্যবসায়ী নেতারা বলছেন, ডলার সংকটের কারণে আমদানি ব্যাহত হচ্ছে, সরবরাহ চেইন বিঘ্নিত হচ্ছে এবং মূল্যবৃদ্ধি পাচ্ছে।
তবে দ্রব্যমূল্য বাড়ার পেছনে সাধারণ মানুষ এসব বক্তব্যে আস্থা রাখতে পারেনি উল্লেখ করে তিনি বলেন, চাহিদা-সরবরাহের ফারাক, আন্তর্জাতিক বাজারমূল্য অথবা মুদ্রা সরবরাহ বৃদ্ধি—কোনো ব্যাখ্যাই সাধারণ মানুষের কাছে প্রাসঙ্গিক নয়। তারা মূল্যবৃদ্ধিতে কষ্টে আছে। তাদের জীবনমানের অবক্ষয় হচ্ছে। তারা মনে করে, সরকারের ব্যর্থতার কারণে অস্বাভাবিক মূল্যবৃদ্ধি হচ্ছে।
ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোক্তা-সম্পর্কিত একটি বিভাগ রাখার পরামর্শ দিয়ে বেশ কিছু করণীয় তুলে ধরেছে ভোক্তাস্বার্থ নিয়ে কাজ করা এই সংগঠন। গোলাম রহমান বলেন, ‘জনজীবনে মুক্তবাজার অর্থনীতি অনুসরণের ফলাফল মূল্যায়ন করে এর উপযোগিতা পুনর্নির্ধারণ ও সংস্কারের সময় এসেছে। বাজারে প্রতিযোগিতা থাকলে কারসাজি করে অতিরিক্ত মুনাফা অর্জন সম্ভব নয়। অতএব, গুটিকয়েক ব্যবসাপ্রতিষ্ঠানের একচেটিয়া বাজার নিয়ন্ত্রণ, ব্যবসায়ী সিন্ডিকেট ও কার্টেলের বিরুদ্ধে নিয়ন্ত্রণমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের পাশাপাশি সরকারকে খাদ্য বিভাগ, টিসিবির মতো সরকারি প্রতিষ্ঠানের মাধ্যমে নিত্যপণ্য সরবরাহ ও বিক্রির ব্যবস্থা গ্রহণ, মূল্যবৃদ্ধির লাগাম টানায় কার্যকর ভূমিকা রাখতে পারে। সরকারের ব্যবসা থেকে দূরে থাকার নীতিতে জনস্বার্থ রক্ষিত হচ্ছে না। ভারত সরকার নব্বইয়ের দশকে ভোক্তাস্বার্থ দেখার জন্য ‘মিনিস্ট্রি অব কনজ্যুমার অ্যাফেয়ার্স, ফুড অ্যান্ড পাবলিক ডিস্ট্রিবিউশন’ নামে একটি পৃথক মন্ত্রণালয় সৃষ্টি করেছে। বাংলাদেশেও ভোক্তাবান্ধব, জনবান্ধব নীতি গ্রহণ সময়ের দাবি। ন্যায্য ও সাশ্রয়ী মূল্যে নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য সরবরাহ, ভোক্তাস্বার্থ-সংক্রান্ত বিষয় তদারকি, সরকারের নীতি নির্ধারণে ভোক্তা স্বার্থের প্রতিফলন, ভোক্তাস্বার্থ রক্ষায় বিভিন্ন মন্ত্রণালয় ও সংস্থার কার্যক্রমে সমন্বয় সাধনের লক্ষ্যে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে ভোক্তা-সম্পর্কিত একটি বিভাগ সৃষ্টি সময়োপযোগী হবে বলে মনে করি।’
এদিকে বাণিজ্য-সম্পর্কিত অন্য একটি বিভাগ, বাণিজ্য নীতি, বৈদেশিক বাণিজ্য, বাণিজ্যিক ইত্যাদি বিষয়ে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ের চিরাচরিত দায়িত্ব পালন অব্যাহত রাখার আহ্বানও জানান ক্যাবের সভাপতি।
সংবাদ সম্মেলনে আরও উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম। এ সময় উপস্থিত ছিলেন ক্যাবের জ্যেষ্ঠ সহসভাপতি ও জ্বালানি উপদেষ্টা অধ্যাপক এম শামসুল আলম, ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া এবং ক্যাব ঢাকা জেলা কমিটির সভাপতি ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) এম শামস এ খান।
সুপ্রিম কোর্টের আদেশ বাস্তবায়ন ও নিষেধাজ্ঞা পুনর্বিবেচনা করে সড়কে ব্যাটারিচালিত রিকশা চলাচল করতে দেওয়াসহ সাত দফা দাবি জানিয়েছে রিকশা, ব্যাটারিচালিত রিকশা-ভ্যান ও ইজিবাইক চালক সংগ্রাম পরিষদ। আজ শনিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবের সামনে আয়োজিত এক সমাবেশে এসব দাবি জানান তারা...
৩ মিনিট আগেনিজেদের ক্ষতি পুষিয়ে নিতে এসব পরিবারের নারীরা প্রশিক্ষণ নিয়ে বসতবাড়ির আশপাশে শাকসবজি চাষ করেন। তা ছাড়া ভেড়া, হাঁস-মুরগি পালন করে ভাগ্য বদলের স্বপ্ন দেখছেন তাঁরা। এসব নারীর উন্নয়নমূলক কর্মকাণ্ড দেখে অন্যরাও উৎসাহী হচ্ছেন। সরকারের পাশাপাশি বেসরকারি সংস্থা ফ্রেন্ডশিপ এই এলাকার মানুষের জীবনমান উন্নয়নে ক
২৪ মিনিট আগেছাত্র-জনতার বিপ্লবের মাধ্যমে যে নতুন বাংলাদেশ পেয়েছি, এর মূল কারিগরই ছিলেন ছাত্র ও শিক্ষকেরা। বিএনপি সরকার গঠন করলে শিক্ষকদের ন্যায়সংগত সকল দাবি-দাওয়া মেনে নেওয়া হবে...
৩৫ মিনিট আগেজগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
২ ঘণ্টা আগে