সিরাজদিখান (মুন্সিগঞ্জ) প্রতিনিধি
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে হেরে বিজয়ী ইউপি সদস্যের পরিবার এবং সমর্থকের ওপর একাধিকবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার ওই ইউপি সদস্যের পরিবার ও সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে ৫ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আরও ৩ জন আহত এবং একটি পাকা ইমারতসহ ৬টি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের ভূইরা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী ও শফিউদ্দন মোল্লা (শফী) গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে গত ৪ মাসে ২ বার বিজয়ী ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে আহত ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরই জেরে আজ বুধবার ফের হামলা চালিয়ে ৫ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আরও ৩ জনকে আহত করে।
আহতরা হলেন—কামাল মন্ডল (৪০), আরবালী মোল্লা (৬০), সাবেক ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন মন্ডল (৫৫) আনোয়ার হোসেন মন্ডল এবং ইয়াসমিন বেগম। এর মধ্যে কামাল মন্ডল (৪০) ও ইয়াসমিন বেগম গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভূইরা গ্রামের দরবেশ আলী বলেন, ‘আমার বাড়িঘর ভাঙচুর এবং প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো লুটপাট করে নিয়ে গেছে। বাড়িঘর ভাঙচুরের সময় আমি দৌড়ে পালিয়েছি, তা না হলে আমারে সামনে পেলে ওরা মাইরা ফালাইত। এ ছাড়া আমার বাড়িঘরের মহিলারাও দৌড়ে অন্যদিকে আশ্রয় নিয়েছে। আমার ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়ে গেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ কোনো কিছু করল না। বালুচর ইউনিয়নের নুরু বাউলের ছেলে নিজে মারামারি করছে। এ ছাড়া লতব্দী ইউনিয়নের জামাল মেম্বার নিজের থেকে এই মারামারি করছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আহত সাবেক ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন মন্ডল বলেন, ‘আমার ভাই এবারও ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ও শফিউদ্দিন মোল্লা শফীর লোকজন পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করছে। এর আগেও আরও দুইবার মারামারি করেছে। গতকাল রাতে আমাদের আত্মীয় এবং সমর্থক তাদের ওপর একটি দোকানে চড়াও হয়। এ সময় তারা শুধু শুধুই কয়েকজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় ফের আজকে সকালে বালুচর থেকে লোকজন এনে আমাদের বাড়িঘরের ওপর হামলা করে ভাঙচুর করে। এ ছাড়া আমাকেসহ অনেকেই মেরে আহত করেছে। আমরা এখন ইছাপুরা হাসপাতালে যাচ্ছি চিকিৎসা নিতে এবং কয়েকজনকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত ইউপি সদস্যপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে শামসুল মেম্বারের সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা যে অভিযোগ করেছে, এটা সত্য নয়। আমার কোনো লোকজন যদি আজকের এই মারামারির ঘটনায় থাকে, কেউ দেখাতে পারে, তবে আমি এক লাখ টাকা পুরস্কার দেব। আর যে শাস্তি দেবে সেই শাস্তি মাথা পেতে নেব। এখানে আমার কোনো লোকজন মারামারিতে ছিলনা। এখানে শফীর (মেম্বার প্রার্থীর) লোকজন ছিল, তারা মারামারি করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যপ্রার্থী শফিউদ্দিন শফীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বর্তমান ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার ছোট ভাইয়ের বউ গুরুতর আহত হয়েছে। তাঁকে নিয়ে আমি মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা মেডিকেলে এসেছি। আজকে বুধবার সকালে ফের মোহাম্মদ আলী এবং শফীর লোকজন ভাড়া করে লোকজন এনে আমার সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এতে অনেকেই আহত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরে ভাঙচুর লুটপাট করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নির্বাচনের পর থেকেই এমন করে আসছে তারা। আমরা কোনো আইনি প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বয়রাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনকে ঘিরেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এবার সংঘর্ষ হয়।’
সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে শুনেছি, ইউপি সদস্যপ্রার্থী শফীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।’
মুন্সিগঞ্জের সিরাজদিখানে ইউনিয়ন পরিষদ (ইউপি) নির্বাচনে হেরে বিজয়ী ইউপি সদস্যের পরিবার এবং সমর্থকের ওপর একাধিকবার হামলার অভিযোগ উঠেছে। আজ বুধবার ওই ইউপি সদস্যের পরিবার ও সমর্থকদের ওপর হামলা হয়েছে। এতে ৫ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আরও ৩ জন আহত এবং একটি পাকা ইমারতসহ ৬টি ঘর ভাঙচুরের ঘটনা ঘটেছে। এই ঘটনা ঘটেছে উপজেলার বয়রাগাদী ইউনিয়নের ভূইরা গ্রামে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, মোহাম্মদ আলী ও শফিউদ্দন মোল্লা (শফী) গত ২৬ ডিসেম্বর চতুর্থ ধাপে ইউপি নির্বাচনে হেরে গিয়ে গত ৪ মাসে ২ বার বিজয়ী ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম মন্ডলের সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে আহত ও বাড়িঘর ভাঙচুর করে লুটপাটের ঘটনা ঘটিয়েছে। এরই জেরে আজ বুধবার ফের হামলা চালিয়ে ৫ জন টেঁটাবিদ্ধসহ আরও ৩ জনকে আহত করে।
আহতরা হলেন—কামাল মন্ডল (৪০), আরবালী মোল্লা (৬০), সাবেক ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন মন্ডল (৫৫) আনোয়ার হোসেন মন্ডল এবং ইয়াসমিন বেগম। এর মধ্যে কামাল মন্ডল (৪০) ও ইয়াসমিন বেগম গুরুতর আহত হওয়ায় তাঁদের দুজনকে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। অন্যান্য আহতদের উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়েছে।
ভূইরা গ্রামের দরবেশ আলী বলেন, ‘আমার বাড়িঘর ভাঙচুর এবং প্রায় ২০ ভরি স্বর্ণালংকার এবং নগদ প্রায় ৫০ হাজার টাকার মতো লুটপাট করে নিয়ে গেছে। বাড়িঘর ভাঙচুরের সময় আমি দৌড়ে পালিয়েছি, তা না হলে আমারে সামনে পেলে ওরা মাইরা ফালাইত। এ ছাড়া আমার বাড়িঘরের মহিলারাও দৌড়ে অন্যদিকে আশ্রয় নিয়েছে। আমার ঘরের ভেতরের আসবাবপত্র ভেঙেচুরে তছনছ করে দিয়ে গেছে। আমরা এর বিচার চাই। পুলিশের সামনে এ ঘটনা ঘটেছে। কিন্তু পুলিশ কোনো কিছু করল না। বালুচর ইউনিয়নের নুরু বাউলের ছেলে নিজে মারামারি করছে। এ ছাড়া লতব্দী ইউনিয়নের জামাল মেম্বার নিজের থেকে এই মারামারি করছে। এ বিষয়ে আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
আহত সাবেক ইউপি সদস্য বিল্লাল হোসেন মন্ডল বলেন, ‘আমার ভাই এবারও ইউপি সদস্য নির্বাচিত হওয়ায় পরাজিত প্রার্থী মোহাম্মদ আলী ও শফিউদ্দিন মোল্লা শফীর লোকজন পায়ে পাড়া দিয়ে ঝগড়া করছে। এর আগেও আরও দুইবার মারামারি করেছে। গতকাল রাতে আমাদের আত্মীয় এবং সমর্থক তাদের ওপর একটি দোকানে চড়াও হয়। এ সময় তারা শুধু শুধুই কয়েকজনকে মারধর করে। এ ঘটনায় ফের আজকে সকালে বালুচর থেকে লোকজন এনে আমাদের বাড়িঘরের ওপর হামলা করে ভাঙচুর করে। এ ছাড়া আমাকেসহ অনেকেই মেরে আহত করেছে। আমরা এখন ইছাপুরা হাসপাতালে যাচ্ছি চিকিৎসা নিতে এবং কয়েকজনকে ঢামেকে পাঠানো হয়েছে। এ ছাড়া কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক রয়েছে।’
অভিযোগ অস্বীকার করে পরাজিত ইউপি সদস্যপ্রার্থী মোহাম্মদ আলী বলেন, ‘আমার বিরুদ্ধে শামসুল মেম্বারের সমর্থক ও পরিবারের সদস্যরা যে অভিযোগ করেছে, এটা সত্য নয়। আমার কোনো লোকজন যদি আজকের এই মারামারির ঘটনায় থাকে, কেউ দেখাতে পারে, তবে আমি এক লাখ টাকা পুরস্কার দেব। আর যে শাস্তি দেবে সেই শাস্তি মাথা পেতে নেব। এখানে আমার কোনো লোকজন মারামারিতে ছিলনা। এখানে শফীর (মেম্বার প্রার্থীর) লোকজন ছিল, তারা মারামারি করেছে।’
এ বিষয়ে জানতে অভিযুক্ত ইউপি সদস্যপ্রার্থী শফিউদ্দিন শফীর মোবাইলে একাধিকবার ফোন দিলেও তাঁর ফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।
বর্তমান ইউপি সদস্য শামসুল ইসলাম মন্ডল বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার রাতে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে আমার পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করেছে। এতে আমার ছোট ভাইয়ের বউ গুরুতর আহত হয়েছে। তাঁকে নিয়ে আমি মঙ্গলবার রাতেই ঢাকা মেডিকেলে এসেছি। আজকে বুধবার সকালে ফের মোহাম্মদ আলী এবং শফীর লোকজন ভাড়া করে লোকজন এনে আমার সমর্থক ও পরিবারের সদস্যদের ওপর হামলা করে। এতে অনেকেই আহত হয়েছে। অনেক বাড়িঘরে ভাঙচুর লুটপাট করেছে। আমরা এর সুষ্ঠু বিচার চাই। নির্বাচনের পর থেকেই এমন করে আসছে তারা। আমরা কোনো আইনি প্রতিকার পাচ্ছি না। আমরা প্রশাসনের হস্তক্ষেপ কামনা করছি।’
বয়রাগাদী ইউপি চেয়ারম্যান গোলাম হাবিবুর রহমান সোহাগ ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, ‘গত ইউপি নির্বাচনকে ঘিরেই উভয় পক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। সেই বিরোধকে কেন্দ্র করে তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে এবার সংঘর্ষ হয়।’
সিরাজদিখান থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মো. আজগর হোসেন বলেন, ‘আমরা খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে গিয়েছি। তবে শুনেছি, ইউপি সদস্যপ্রার্থী শফীর লোকজন এ ঘটনা ঘটিয়েছে। এখন পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে। এখনো কোনো লিখিত অভিযোগ করেনি।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
৩৩ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে