নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
উচ্চ আদালতের নির্দেশে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস না যেতেই মো. জাকির হোসেনকে সরিয়ে সহকারী শিক্ষক আখলাক হোসেনকে দায়িত্বে বসিয়েছে অস্থায়ী পরিচালক (অ্যাডহক) কমিটি।
অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্তে আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষকেরা বলছেন, ‘সংকটের মুখে রাজধানীর অন্যতম বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উচ্চ আদালত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশে দায়িত্ব পাওয়া মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁকে বহাল করা না হলে কর্মবিরতি চলবে।’
মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস বালিকা শাখায় শিক্ষকেরা অবস্থান নিয়েছেন। অ্যাডহক কমিটির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা চান মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকুক।
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘তিল তিল করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। আমার প্রতিষ্ঠানে কোনো জামায়াত-শিবিরের লোক থাকবে না, স্বাধীনতাবিরোধী লোক থাকবে না।’ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনকে সরিয়ে আখলাক আহমদকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চাই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকুক। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলন এবং শিক্ষা শৃঙ্খলার স্বার্থে আমি ইস্তফা দিয়েছি। মন্ত্রীর (শিক্ষা মন্ত্রী) সঙ্গে কথা বলে এবং শিক্ষকদের একাংশের দাবির মুখে আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেছি। শিক্ষকেরা চাইলে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করব।’
কর্মবিরতি ভেঙে শিক্ষকেরা ক্লাসে না গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, যাঁরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, ক্লাসে না ফিরে বিক্ষোভ করছেন, কর্মবিরতি পালন করছেন, তাঁরা যদি আগামীকাল ক্লাসে না ফেরেন, তাহলে সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা করা হবে। আদালতের নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাকির হোসেনকে জামায়াত-শিবিরের লোক বলেও আখ্যায়িত করেন প্রতিমন্ত্রী।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলেন, বর্তমান অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আগে থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসা মো. জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ কমিটির মেয়াদ একেবারে শেষ পর্যায়ে। এমন অবস্থার মধ্যে কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এক চিঠিতে গতকাল বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে জাকির হোসেনকে অব্যাহতি ও আখলাক আহমদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। এরপরই সকাল থেকে আখলাককে সরিয়ে জাকির হোসেনকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব বহাল রাখার দাবি জানিয়ে শিক্ষকেরা কর্মবিরতিতে যান।
মনিপুর স্কুলের প্রশাসনিক সমন্বয়ক মো. রাশেদ কাঞ্চন বলেন, জাকির হোসেনের নিয়োগ বৈধ। তাঁকে মন্ত্রী বা কমিটি নিয়োগ দেয়নি। মাউশি ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। তিনি (জাকির) দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মধ্যে শিক্ষা শৃঙ্খলায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। করোনাকালে বেতন কমিয়ে শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছেন। শিক্ষকদের জন্য টিউশন ফি, আইডি কার্ড অনেক কিছু করেছেন।
মিজানুর রহমান নামে আরেক শিক্ষক বলেন, ভুয়া ভাউচারে স্বাক্ষর করেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন। তাঁর অবস্থান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এ জন্যই তাঁকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন কমিটির লোকজন।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদা হক সাবিনা বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জাকির হোসেন স্যারের পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছি বলে জামায়াত-শিবিরের তকমা পেয়েছি। অথচ আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।’
উচ্চ আদালতের নির্দেশে মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাস না যেতেই মো. জাকির হোসেনকে সরিয়ে সহকারী শিক্ষক আখলাক হোসেনকে দায়িত্বে বসিয়েছে অস্থায়ী পরিচালক (অ্যাডহক) কমিটি।
অ্যাডহক কমিটির সিদ্ধান্তে আজ বৃহস্পতিবার মিরপুরের মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ে সকাল থেকে ক্লাস বর্জন করে কর্মবিরতি পালন করেন শিক্ষকেরা।
শিক্ষকেরা বলছেন, ‘সংকটের মুখে রাজধানীর অন্যতম বড় শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান মনিপুর উচ্চবিদ্যালয় ও কলেজ। আমরা আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। উচ্চ আদালত এবং মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের (মাউশি) নির্দেশে দায়িত্ব পাওয়া মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করবেন। তাঁকে বহাল করা না হলে কর্মবিরতি চলবে।’
মনিপুর উচ্চবিদ্যালয়ের বালিকা শাখায় গিয়ে দেখা যায়, বিদ্যালয়ের মূল ক্যাম্পাস বালিকা শাখায় শিক্ষকেরা অবস্থান নিয়েছেন। অ্যাডহক কমিটির বিরুদ্ধে স্লোগান দিচ্ছেন। তাঁরা চান মো. জাকির হোসেনই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক থাকুক।
এ সময় শিল্প প্রতিমন্ত্রী ও প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সাবেক সভাপতি কামাল আহমেদ মজুমদার উপস্থিত হয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করেন। তিনি বলেন, ‘তিল তিল করে প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলেছি। আমার প্রতিষ্ঠানে কোনো জামায়াত-শিবিরের লোক থাকবে না, স্বাধীনতাবিরোধী লোক থাকবে না।’ ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনকে সরিয়ে আখলাক আহমদকে দায়িত্ব দেওয়ার কথাও জানান তিনি।
প্রতিমন্ত্রী সাংবাদিকদের বলেন, ‘আমি চাই এই প্রতিষ্ঠানের শিক্ষা শৃঙ্খলা অব্যাহত থাকুক। আমাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল কিন্তু শিক্ষকদের আন্দোলন এবং শিক্ষা শৃঙ্খলার স্বার্থে আমি ইস্তফা দিয়েছি। মন্ত্রীর (শিক্ষা মন্ত্রী) সঙ্গে কথা বলে এবং শিক্ষকদের একাংশের দাবির মুখে আমার দায়িত্ব থেকে ইস্তফাপত্র প্রত্যাহার করেছি। শিক্ষকেরা চাইলে আমি এখানে দায়িত্ব পালন করব।’
কর্মবিরতি ভেঙে শিক্ষকেরা ক্লাসে না গেলে ব্যবস্থা নেওয়ার হুমকি দিয়ে প্রতিষ্ঠানটির প্রতিষ্ঠাতা কামাল আহমেদ মজুমদার বলেন, যাঁরা বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করেছেন, ক্লাসে না ফিরে বিক্ষোভ করছেন, কর্মবিরতি পালন করছেন, তাঁরা যদি আগামীকাল ক্লাসে না ফেরেন, তাহলে সবার বিরুদ্ধে আইনগত ব্যবস্থা নেওয়া হবে। মামলা করা হবে। আদালতের নির্দেশে দায়িত্বপ্রাপ্ত জাকির হোসেনকে জামায়াত-শিবিরের লোক বলেও আখ্যায়িত করেন প্রতিমন্ত্রী।
আন্দোলনরত শিক্ষকেরা বলেন, বর্তমান অস্থায়ী পরিচালনা কমিটির সঙ্গে আগে থেকেই ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালন করে আসা মো. জাকির হোসেনের দ্বন্দ্ব ছিল। এ কমিটির মেয়াদ একেবারে শেষ পর্যায়ে। এমন অবস্থার মধ্যে কমিটির সভাপতি দেলোয়ার হোসেন এক চিঠিতে গতকাল বুধবার ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব থেকে জাকির হোসেনকে অব্যাহতি ও আখলাক আহমদকে ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব দেন। এরপরই সকাল থেকে আখলাককে সরিয়ে জাকির হোসেনকে প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব বহাল রাখার দাবি জানিয়ে শিক্ষকেরা কর্মবিরতিতে যান।
মনিপুর স্কুলের প্রশাসনিক সমন্বয়ক মো. রাশেদ কাঞ্চন বলেন, জাকির হোসেনের নিয়োগ বৈধ। তাঁকে মন্ত্রী বা কমিটি নিয়োগ দেয়নি। মাউশি ও উচ্চ আদালতের নির্দেশে তিনি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হয়েছেন। তিনি (জাকির) দায়িত্ব নেওয়ার দুই মাসের মধ্যে শিক্ষা শৃঙ্খলায় আমূল পরিবর্তন হয়েছে। করোনাকালে বেতন কমিয়ে শিক্ষকদের মানবেতর জীবনযাপনে বাধ্য করা হয়েছিল। তিনি শিক্ষকদের বেতন বাড়িয়েছেন। শিক্ষকদের জন্য টিউশন ফি, আইডি কার্ড অনেক কিছু করেছেন।
মিজানুর রহমান নামে আরেক শিক্ষক বলেন, ভুয়া ভাউচারে স্বাক্ষর করেননি ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেন। তাঁর অবস্থান শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের পক্ষে এবং দুর্নীতির বিরুদ্ধে। এ জন্যই তাঁকে সরানোর জন্য উঠেপড়ে লেগেছেন কমিটির লোকজন।
ইংরেজি বিভাগের শিক্ষক ফাহমিদা হক সাবিনা বলেন, ‘আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল হয়ে জাকির হোসেন স্যারের পুনর্বহালের দাবিতে আন্দোলন করছি বলে জামায়াত-শিবিরের তকমা পেয়েছি। অথচ আমি মুক্তিযোদ্ধা পরিবারের সন্তান।’
জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের (জবি) সহকারী প্রক্টর ও ভাস্কর্য বিভাগের সহকারী অধ্যাপক জাহিদুল হককে গুলি করে হত্যার হুমকি দেওয়ার অভিযোগ উঠেছে বিশ্ববিদ্যালয়ের অর্থ ও হিসাব দপ্তরের কর্মকর্তা সালাউদ্দিন মোল্লার বিরুদ্ধে...
১৫ মিনিট আগেগাজীপুরের শ্রীপুরে ইসলামিক ইউনিভার্সিটি অব টেকনোলজির (আইইউটি) পিকনিকের দোতলা বাস বিদ্যুতায়িত হয়ে তিন শিক্ষার্থীর মৃত্যু হয়েছে। আজ শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে উপজেলার তেলিহাটি ইউনিয়নের উদয়খালি গ্রামে এই ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আরও তিন শিক্ষার্থী আহত হয়েছেন।
১ ঘণ্টা আগেবঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্মৃতি সংরক্ষণ এবং তাঁর জীবন নিয়ে গবেষণার লক্ষ্যে ২০২০ সালে চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ে (চবি) প্রতিষ্ঠা করা হয় ‘বঙ্গবন্ধু চেয়ার’। নিয়োগ দেওয়া হয় ইতিহাসবিদ অধ্যাপক ড. মুনতাসীর উদ্দিন খান মামুনকে (মুনতাসীর মামুন)।
১ ঘণ্টা আগেকক্সবাজারে মাকে কুপিয়ে হত্যা করে থানায় আত্মসমর্পণ করেছেন ছেলে হোসাইন মোহাম্মদ আবিদ (২৮)। গতকাল শুক্রবার দিবাগত রাত আড়াইটার দিকে কক্সবাজার শহরের পশ্চিম বড়ুয়া পাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। নেশার টাকা না পেয়ে মাকে আবিদ হত্যা করেছে বলে জানিয়েছে পুলিশ। নিহত আনোয়ারা বেগম মেরী (৫৫) ওই এলাকার নিয়াজ আহমেদের স্ত্রী
১ ঘণ্টা আগে