নিজস্ব প্রতিবেদক, ঢাকা
রিকশা চালক আবু সমাজের মাথা যেন আর কাজ করছে না। কঠোর লকডাউনের মধ্যে মানুষ বের না হওয়ায় রিকশার জমার টাকা তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি। বৃষ্টির মধ্যেও আজ শুক্রবার ভোরে রিকশা নিয়ে বের হয়ে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো খ্যাপ না পাওয়ার তার কপালে চিন্তার ভাঁজ।
যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা ষাটোর্ধ্ব আবু সমাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার আর বুদ্ধি নাই। ঠিক কী করি কী খাই। দেশেও (গ্রামের বাড়ি) যাতি পারি না। প্রতিদিন ১০০ টাকা জমা দেওন লাগে। ভাড়া পাই আর নাই পাই জমার টাকায় কোনো ছাড় নাই। লকডাউনের মধ্যিও জমার এক ট্যাহাও কম নেয় না।’
আবু সমাজ জানান, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুড়িলের মির্জাবাড়ি এলাকায় থাকেন তিনি। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলায়। ইচ্ছে থাকলেও গাড়ি বন্ধ থাকায় এখন আর গ্রামে যেতে পারছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। জরুরি কারণ ছাড়া সবার ঘরের বাইরে বের হওয়া মানা। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ঘর থেকে কম মানুষই বাইরে বের হয়েছেন। ঢাকার রাস্তায় খুবই কম গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
ফলে শুক্রবার বেশির ভাগ রিকশা চালকের অবস্থাই আবু সমাজের মতো। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে এদিন সকাল থেকে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় অলস বসে থাকতে দেখা যায় তাঁদের।
নওগাঁর বিজয় কুড়িলের ঘাটপাড় এলাকায় থাকেন। তিনিও ভোর ৬টায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন। বিজয় বলেন, ‘রিকশা নিয়ে বের না হলে যে ভাত হয় না। বের হয়েও আজ জমার টাকা উঠছে না।’ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মধ্যে রিকশা চালান বলে দিনে বিজয়কে ১৫০ টাকা জমা দিতে হয়।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্বরে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষা করছিলেন মিজানুর রহমান। তিনিও ভোর ৬টায় বের হয়েছেন। মিজান বলেন, ‘খ্যাপ নাই, এখনো এক টাকাও ভাড়া মারতে পারিনি।’
আজিজার রহমান রিকশা নিয়ে ভোরে বের হয়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত একটি ভাড়া পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাত থেকেই তো বৃষ্টি, তাঁর ওপরে আজ শুক্রবার। মানুষই নাই। মিরপুর-১০ নম্বরে বসে ছিলাম। লোক নাই। খ্যাপ পাই না। পরে একটা খ্যাপ নিয়ে এ্যানে আইলাম।’
আজ শুক্রবার ভোর ৬টারও কিছুটা আগে বের হয়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়া পেয়েছেন মো. খোকন। অন্যদিন এই সময়ের মধ্যে দুই-তিন শ টাকা ভাড়া পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
ইসিবি চত্বরে ইমাদাদুল নামে আরেকজন রিকশা চালক জানান, এক মেয়ে, দুই ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে বালুঘাটের তালতলায় থাকেন তিনি। শুক্রবার যাত্রী না পেয়ে তার মুখটা বেশ মলিন। ইমদাদুল বলেন, ‘কী করব বলেন? মানুষই তো নাই, ভাড়া পামু ক্যামনে?’
ইসিবি চত্বরে অন্তত ২০ জন রিকশার চালক রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন। সেখানে ২৫ মিনিট অবস্থান করে মাত্র একজন রিকশা চালককে যাত্রী পেতে দেখা যায়।
ভাটারা থানার সামনে অন্তত ১৫ জন রিকশা চালক ভাড়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কাউকে আশপাশে আসতে দেখলেই সবাই ডাকাডাকি শুরু করে দেন। একেবারেই ফাঁকা প্রধান সড়ক দেখিয়ে আবুল কালাম নামের একজন রিকশা চালক বলেন, ‘দ্যাহেন না কোনো মানুষ আজ বের হয়নি। যাগো কাম আছে তারাও মামলার ভয়ে বের হয় নাই।’
আবুল কালামের কথা সত্যতা মেলে পুলিশের দেওয়া তথ্যে। লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধ অমান্য করায় ঢাকায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২১২ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই বের হওয়ায় ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, রেকারিং করা হয়েছে ৭৭টি গাড়ি। আর ছয়টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৩৯১ জনকে।
রেডিসন হোটেলের সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। কি-না কারণে কেউ বের হয়েছে কি-না, তা যাচাই করছেন তারা। এখানে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, সবারই কোনো না কোনো অজুহাত আছে। আমাদের কাছে যেটা যৌক্তিক মনে হচ্ছে তাদের যেতে দিচ্ছি। যাদের কারণগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে না তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
রিকশা চালক আবু সমাজের মাথা যেন আর কাজ করছে না। কঠোর লকডাউনের মধ্যে মানুষ বের না হওয়ায় রিকশার জমার টাকা তোলা নিয়ে চিন্তায় পড়েছেন তিনি। বৃষ্টির মধ্যেও আজ শুক্রবার ভোরে রিকশা নিয়ে বের হয়ে সকাল সাড়ে ১০টা পর্যন্ত কোনো খ্যাপ না পাওয়ার তার কপালে চিন্তার ভাঁজ।
যমুনা ফিউচার পার্কের পাশে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় থাকা ষাটোর্ধ্ব আবু সমাজ আজকের পত্রিকাকে বলেন, ‘আমার আর বুদ্ধি নাই। ঠিক কী করি কী খাই। দেশেও (গ্রামের বাড়ি) যাতি পারি না। প্রতিদিন ১০০ টাকা জমা দেওন লাগে। ভাড়া পাই আর নাই পাই জমার টাকায় কোনো ছাড় নাই। লকডাউনের মধ্যিও জমার এক ট্যাহাও কম নেয় না।’
আবু সমাজ জানান, স্ত্রী-সন্তানদের নিয়ে কুড়িলের মির্জাবাড়ি এলাকায় থাকেন তিনি। গ্রামের বাড়ি গাইবান্ধার সদর উপজেলায়। ইচ্ছে থাকলেও গাড়ি বন্ধ থাকায় এখন আর গ্রামে যেতে পারছেন না।
গতকাল বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়েছে কঠোর লকডাউন। জরুরি কারণ ছাড়া সবার ঘরের বাইরে বের হওয়া মানা। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকে বৃষ্টি হওয়ায় ঘর থেকে কম মানুষই বাইরে বের হয়েছেন। ঢাকার রাস্তায় খুবই কম গাড়ি চলতে দেখা গেছে।
ফলে শুক্রবার বেশির ভাগ রিকশা চালকের অবস্থাই আবু সমাজের মতো। ঢাকার বিভিন্ন পয়েন্টে এদিন সকাল থেকে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় অলস বসে থাকতে দেখা যায় তাঁদের।
নওগাঁর বিজয় কুড়িলের ঘাটপাড় এলাকায় থাকেন। তিনিও ভোর ৬টায় রিকশা নিয়ে বের হয়েছেন। বিজয় বলেন, ‘রিকশা নিয়ে বের না হলে যে ভাত হয় না। বের হয়েও আজ জমার টাকা উঠছে না।’ বসুন্ধরা আবাসিক এলাকার মধ্যে রিকশা চালান বলে দিনে বিজয়কে ১৫০ টাকা জমা দিতে হয়।
ঢাকা ক্যান্টনমেন্টের ইসিবি চত্বরে রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষা করছিলেন মিজানুর রহমান। তিনিও ভোর ৬টায় বের হয়েছেন। মিজান বলেন, ‘খ্যাপ নাই, এখনো এক টাকাও ভাড়া মারতে পারিনি।’
আজিজার রহমান রিকশা নিয়ে ভোরে বের হয়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত একটি ভাড়া পেয়েছেন। তিনি বলেন, ‘রাত থেকেই তো বৃষ্টি, তাঁর ওপরে আজ শুক্রবার। মানুষই নাই। মিরপুর-১০ নম্বরে বসে ছিলাম। লোক নাই। খ্যাপ পাই না। পরে একটা খ্যাপ নিয়ে এ্যানে আইলাম।’
আজ শুক্রবার ভোর ৬টারও কিছুটা আগে বের হয়ে সকাল ১০টা পর্যন্ত ৩০ টাকা ভাড়া পেয়েছেন মো. খোকন। অন্যদিন এই সময়ের মধ্যে দুই-তিন শ টাকা ভাড়া পাওয়া যায় বলে জানান তিনি।
ইসিবি চত্বরে ইমাদাদুল নামে আরেকজন রিকশা চালক জানান, এক মেয়ে, দুই ছেলে আর স্ত্রীকে নিয়ে বালুঘাটের তালতলায় থাকেন তিনি। শুক্রবার যাত্রী না পেয়ে তার মুখটা বেশ মলিন। ইমদাদুল বলেন, ‘কী করব বলেন? মানুষই তো নাই, ভাড়া পামু ক্যামনে?’
ইসিবি চত্বরে অন্তত ২০ জন রিকশার চালক রিকশা নিয়ে যাত্রীর অপেক্ষায় ছিলেন। সেখানে ২৫ মিনিট অবস্থান করে মাত্র একজন রিকশা চালককে যাত্রী পেতে দেখা যায়।
ভাটারা থানার সামনে অন্তত ১৫ জন রিকশা চালক ভাড়ার জন্য অপেক্ষা করছিলেন। কাউকে আশপাশে আসতে দেখলেই সবাই ডাকাডাকি শুরু করে দেন। একেবারেই ফাঁকা প্রধান সড়ক দেখিয়ে আবুল কালাম নামের একজন রিকশা চালক বলেন, ‘দ্যাহেন না কোনো মানুষ আজ বের হয়নি। যাগো কাম আছে তারাও মামলার ভয়ে বের হয় নাই।’
আবুল কালামের কথা সত্যতা মেলে পুলিশের দেওয়া তথ্যে। লকডাউনের প্রথম দিন বৃহস্পতিবার বিধিনিষেধ অমান্য করায় ঢাকায় ৫৫০ জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। ভ্রাম্যমাণ আদালতের মাধ্যমে ২১২ জনকে সাজা দেওয়া হয়েছে। কোনো কারণ ছাড়াই বের হওয়ায় ২৭৪টি গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে, রেকারিং করা হয়েছে ৭৭টি গাড়ি। আর ছয়টি গাড়ি জব্দ করা হয়েছে। এ ছাড়া মুচলেকা নিয়ে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে ৩৯১ জনকে।
রেডিসন হোটেলের সামনে চেকপোস্ট বসিয়েছে পুলিশ। কি-না কারণে কেউ বের হয়েছে কি-না, তা যাচাই করছেন তারা। এখানে দায়িত্বরত একজন পুলিশ সদস্য বলেন, সবারই কোনো না কোনো অজুহাত আছে। আমাদের কাছে যেটা যৌক্তিক মনে হচ্ছে তাদের যেতে দিচ্ছি। যাদের কারণগুলো যৌক্তিক মনে হচ্ছে না তাদের গাড়ির বিরুদ্ধে মামলা দেওয়া হচ্ছে।
ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ হাসিনা পারভীন বলেন, সেলীম রেজা ফৌজদারি মামলার চার্জশিটভুক্ত আসামি। নিয়ম অনুযায়ী, ফৌজদারি মামলায় অভিযুক্ত হওয়ার পরই তাঁর সাময়িক বরখাস্ত হওয়ার কথা ছিল। কিন্তু আওয়ামী লীগ সরকারের আমলে মামলার চার্জশিট
১ মিনিট আগেমৌলভীবাজারের কমলগঞ্জ উপজেলার মাগুরছড়ায় খাসি (খাসিয়া) সম্প্রদায়ের বর্ষবিদায় ও নতুন বছরকে বরণের ঐতিহ্যবাহী উৎসব ‘খাসি সেং কুটস্নেম’ অনুষ্ঠিত হয়েছে। আজ শনিবার উপজেলার মাগুরছড়া খাসিয়া পুঞ্জির খেলার মাঠে খাসি সোশ্যাল কাউন্সিলের আয়োজনে উৎসবটি হয়।
১৯ মিনিট আগে৪৬ তম বিশ্ববিদ্যালয় দিবস উপলক্ষে সোমবার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) সব বিভাগের পূর্ব নির্ধারিত পরীক্ষাসমূহ স্থগিত করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ শনিবার বিশ্ববিদ্যালয়ের (ভারপ্রাপ্ত) পরীক্ষা নিয়ন্ত্রক আবুল কালাম আজাদ স্বাক্ষরিত বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়েছে।
২১ মিনিট আগেজামালপুরের চরাঞ্চলে শীতকালীন সবজির বাগানে বিপর্যয় দেখা দিয়েছে। এই মৌসুমে একদিকে অতিরিক্ত বৃষ্টি, অন্যদিকে খরার কারণে এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে। এই পরিস্থিতিতে সবজি গাছ মরে যাচ্ছে। কৃষকদের অভিযোগ, এই সময়ে কৃষি বিভাগের কোনো সহায়তা পাননি তাঁরা।
২৪ মিনিট আগে